কাদের-সাদ্দামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন—অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এই সাতজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে এ বিষয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়। মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহা

কাদের-সাদ্দামসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

চব্বিশের জুলাই-আগস্ট হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় দায়ের করা মামলায় কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনসহ সাতজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন।

ট্রাইব্যুনালের অপর দুই সদস্য হলেন—অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর।

এর আগে বৃহস্পতিবার সকালে এই সাতজনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর রেজিস্ট্রারের কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। পরে এ বিষয়ে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম এবং প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।

শুনানি শেষে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। একইসঙ্গে মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর দিন নির্ধারণ করা হয়।

মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হলেন—আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক ওয়ালি আসিফ ইনান।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ ডিসেম্বর এই সাতজনের বিরুদ্ধে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে বলে জানানো হয়। তদন্তে জুলাই-আগস্টের গণআন্দোলন দমন, হত্যাযজ্ঞ, উসকানি ও সংগঠিত সহিংসতায় সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনা হয়েছে।

উল্লেখ্য, জুলাই হত্যাযজ্ঞের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার প্রক্রিয়া শুরু হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow