কালীগঞ্জে জমকালো আয়োজনে প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২৫। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে স্থানীয় খামারি এবং দর্শনার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই মেলা এক মিলনমেলায় পরিণত হয়। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালন এবং দেশের প্রাণিজ ও আমিষের চাহিদা পূরণে খামারিদের করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়। অনুষ্ঠানে পূর্বনির্ধারিত প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ. টি. এম কামরুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা। তিনি ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ মামুন মিয়া। ক্ষুদ্র খামারি আবু সাঈদ বলেন, আমি বায়োগ্যাস প্লান্টের উপকারিতা নিয়ে কথা বলব। আমার খামারে বায়োগ্যাস প্লান্ট থাকার কারণ
গাজীপুরের কালীগঞ্জে ‘স্মার্ট লাইভস্টক, স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয়ে উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে দিনব্যাপী প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী-২০২৫। উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালের আয়োজনে স্থানীয় খামারি এবং দর্শনার্থীদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এই মেলা এক মিলনমেলায় পরিণত হয়।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতাল চত্বরে এই প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে আধুনিক পদ্ধতিতে গবাদিপশু পালন এবং দেশের প্রাণিজ ও আমিষের চাহিদা পূরণে খামারিদের করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা করা হয়।
অনুষ্ঠানে পূর্বনির্ধারিত প্রধান অতিথি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ. টি. এম কামরুল ইসলামের অনুপস্থিতিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকিয়া সরোয়ার লিমা। তিনি ফিতা কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন কালীগঞ্জ উপজেলা ভেটেরিনারি সার্জন ডা. মোহাম্মদ মামুন মিয়া।
ক্ষুদ্র খামারি আবু সাঈদ বলেন, আমি বায়োগ্যাস প্লান্টের উপকারিতা নিয়ে কথা বলব। আমার খামারে বায়োগ্যাস প্লান্ট থাকার কারণে আমি প্রতি মাসে প্রায় ৭,২০০ টাকা সাশ্রয় করতে পারছি। আমার ৭ সদস্যের পরিবারে রান্নার জন্য মাসে যে দুটি এলপি গ্যাস সিলিন্ডার লাগত, যার দাম প্রায় ১৪০০ টাকা বা তার বেশি, সেই টাকাটা এখন আর খরচ হচ্ছে না। এই টাকাটা সাধারণত আমাদের প্রবাসী ভাইদের পাঠানো রেমিটেন্স দিয়ে কেনা হতো, যা মূলত দেশের বাইরে চলে যেত। কিন্তু বায়োগ্যাস ব্যবহারের ফলে আমি যেমন আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছি, তেমনি দেশের বৈদেশিক মুদ্রাও সাশ্রয় হচ্ছে। তাই আমি কর্তৃপক্ষের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাব, ইটকলের মাধ্যমে যদি আবারও এই বায়োগ্যাস প্লান্ট প্রকল্প ব্যাপকভাবে চালু করা হয়, তবে দেশের সকল খামারি এবং দেশ উভয়ই উপকৃত হবে।
প্রধান অতিথি জাকিয়া সরোয়ার লিমা তার বক্তব্যে বলেন, "দেশের অর্থনীতিতে প্রাণিসম্পদ খাতের অবদান অনস্বীকার্য। বেকারত্ব দূরীকরণ ও স্বাবলম্বী হতে যুব সমাজকে এই খাতে এগিয়ে আসতে হবে।" উদ্বোধনী আলোচনা শেষে তিনি অতিথিদের নিয়ে মেলায় স্থাপিত প্রতিটি স্টল পরিদর্শন করেন এবং খামারিদের সাথে তাদের পালিত পশুপাখির জাত ও যত্ন সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আলাউদ্দিনের প্রতিনিধি এসআই নাজমুল হক, উপজেলা প্রকৌশলী ইঞ্জিনিয়ার মো. রেজাউল হক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা নাহিদা খাতুন এবং যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা ইসমাইল ভুঁইয়া। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ও উপজেলা তথ্যসেবা কর্মকর্তা সোহা তামান্না।
প্রদর্শনীতে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা প্রান্তিক খামারিরা তাদের উন্নত জাতের গরু, ছাগল, ভেড়া, হাঁস-মুরগি এবং বিভিন্ন প্রজাতির শৌখিন পাখি প্রদর্শন করেন। মেলায় প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তির বিভিন্ন স্টলও স্থান পায়, যা দর্শনার্থীদের নজর কাড়ে।
সভাপতির বক্তব্যে ডা. মোহাম্মদ মামুন মিয়া বলেন, "এই প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য হলো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা এবং সাধারণ মানুষকে পুষ্টির চাহিদা পূরণে সচেতন করা।"
মেলা প্রাঙ্গণে স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মী, সেবা গ্রহীতা, বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং বিপুল সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়। সফলভাবে প্রদর্শনী সম্পন্ন করায় আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান অংশগ্রহণকারী খামারিরা। দিনব্যাপী এই প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণকারী সেরা খামারিদের মাঝে পরবর্তীতে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
What's Your Reaction?