কৃষিই শক্তি, কৃষকই ভিত্তি: মর্যাদা সুনিশ্চিত হোক
মানুষের সভ্যতার উৎস যে কৃষি, তা আমরা বইয়ে পড়ি, কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন খুব কমই চোখে পড়ে। আদিকাল থেকেই খাদ্যের নিশ্চয়তা মানবজীবনের অন্যতম প্রথম শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, এবং আধুনিকতার দ্রুতগামী জীবনে সেই সত্য এখনও অপরিবর্তিত। তবু শহুরে জীবনের চকমকে আলোতে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে প্রতিদিনের ভাতের থালার পেছনে যে মানুষের শ্রম রয়েছে, তিনি এখনও কাঙ্ক্ষিত সামাজিক মর্যাদা পাননি। প্রতিদিন খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের এই অমূল্য অবদান সত্ত্বেও কৃষক সমাজে এখনো সেই প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না। সমাজে কৃষকের প্রচলিত চিত্র হলো দরিদ্র, ক্লান্ত, রোদে পোড়া মুখ মাঠে পরিশ্রম করা মানুষ। যদিও উন্নত দেশগুলোতে এই কৃষকরাই দক্ষ উদ্যোক্তা, প্রযুক্তিবিদ এবং উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক হিসেবে স্বীকৃতি পান, আমাদের প্রেক্ষাপটে কৃষিকে এখনো কেবল অল্প আয়ের পেশা হিসেবে দেখা হয়। এই মানসিকতা বদলাতে না পারলে কৃষি ও কৃষক উভয়ই পিছিয়ে পড়বে। আমাদের উচিত কৃষিকে একটি পেশার চেয়ে বেশি, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার মূল স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করা। আজকের সমাজে স্থায়ী চাকরিকে সাফল্য ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। পরিবার ও সম
মানুষের সভ্যতার উৎস যে কৃষি, তা আমরা বইয়ে পড়ি, কিন্তু বাস্তবে তার প্রতিফলন খুব কমই চোখে পড়ে। আদিকাল থেকেই খাদ্যের নিশ্চয়তা মানবজীবনের অন্যতম প্রথম শর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে, এবং আধুনিকতার দ্রুতগামী জীবনে সেই সত্য এখনও অপরিবর্তিত। তবু শহুরে জীবনের চকমকে আলোতে আমরা প্রায়ই ভুলে যাই যে প্রতিদিনের ভাতের থালার পেছনে যে মানুষের শ্রম রয়েছে, তিনি এখনও কাঙ্ক্ষিত সামাজিক মর্যাদা পাননি। প্রতিদিন খাদ্য উৎপাদন ও সরবরাহের এই অমূল্য অবদান সত্ত্বেও কৃষক সমাজে এখনো সেই প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না।
সমাজে কৃষকের প্রচলিত চিত্র হলো দরিদ্র, ক্লান্ত, রোদে পোড়া মুখ মাঠে পরিশ্রম করা মানুষ। যদিও উন্নত দেশগুলোতে এই কৃষকরাই দক্ষ উদ্যোক্তা, প্রযুক্তিবিদ এবং উচ্চপ্রযুক্তি ব্যবস্থাপক হিসেবে স্বীকৃতি পান, আমাদের প্রেক্ষাপটে কৃষিকে এখনো কেবল অল্প আয়ের পেশা হিসেবে দেখা হয়। এই মানসিকতা বদলাতে না পারলে কৃষি ও কৃষক উভয়ই পিছিয়ে পড়বে। আমাদের উচিত কৃষিকে একটি পেশার চেয়ে বেশি, দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতার মূল স্তম্ভ হিসেবে চিহ্নিত করা।
আজকের সমাজে স্থায়ী চাকরিকে সাফল্য ও নিরাপত্তার প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। পরিবার ও সমাজের প্রত্যাশা একটি চাকরিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়, আর সেই দৌড়ে আমরা ভুলে যাই যে শক্তিশালী কৃষিভিত্তি ছাড়া দেশের অর্থনীতি নিরাপদ থাকতে পারে না। খাদ্যের ঘাটতি দেখা দিলে উন্নয়নের সকল অর্জনই শুধু কাগজে লেখা হিসেবেই থেকে যাবে। বিআইডিএসের পরিসংখ্যান জানায় যে উচ্চশিক্ষিত তরুণদের প্রায় ৪৬ শতাংশ কোনো স্থায়ী চাকরিতে নিয়োজিত নয়।
এই বিশাল যুবশক্তি যদি দক্ষতা নিয়ে কৃষিখাতে যুক্ত হতে পারে, তবে শুধু উৎপাদন নয়, উদ্যোক্তা সৃষ্টি, মূল্যসংযোজন শিল্প এবং রপ্তানি খাতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হতে পারে। দেশে প্রায় পাঁচ কোটি তরুণ রয়েছে। তাঁদের মাত্র এক তৃতীয়াংশ যদি আধুনিক ব্যবস্থাপনা, প্রযুক্তি ও কৃষি বিজ্ঞান শেখার পর কৃষিতে যুক্ত হন, বাংলাদেশ শুধু খাদ্যনিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না, আন্তর্জাতিক বাজারেও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হবে। এটি দেশের জন্য কেবল অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নয়, বরং সামাজিক ও পরিবেশগত স্থিতিশীলতারও নিশ্চয়তা।
কৃষির ঐতিহ্য, রূপান্তর এবং জ্ঞানভিত্তিক অগ্রযাত্রার দীর্ঘ পথচলা আমাদের সভ্যতার গভীর শেকড়কে স্মরণ করিয়ে দেয়। বাংলার ইতিহাস মূলত কৃষিকেন্দ্রিক এবং এই অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন বহু শতাব্দী ধরে কৃষি নির্ভর ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে আছে। উর্বর নদীবাহিত পলিমাটি, দেশজ বীজ এবং মৌসুমি বর্ষার নিয়মিত আবর্তন এই ভূখণ্ডের অর্থনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতির প্রধান স্তম্ভ হিসেবে কাজ করেছে। মোগল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শাসনের জমিদারি প্রথা পর্যন্ত, কৃষক নানা রকম শোষণ, অন্যায় এবং প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয়েছেন, তবু কৃষির চাকা কখনো থেমে থাকেনি। প্রতিকূলতা, দুর্যোগ এবং সামাজিক অব্যবস্থার মধ্যেও কৃষক তাঁর পরিশ্রম, ধৈর্য এবং মাটির প্রতি অটল নিষ্ঠা ধরে রেখেছেন। এই নিরলস প্রতিরোধ, অব্যাহত উদ্যম এবং পরিশ্রমী মনোভাবই আজকের প্রমাণ যে কৃষক শুধু খাদ্য উৎপাদনকারী নয়, বরং দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং সামাজিক ধারাবাহিকতার জীবন্ত ধারক।
স্বাধীনতার পর দুর্ভিক্ষ, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় এবং খাদ্যঘাটতির কঠিন বাস্তবতা দেশকে শিখিয়ে দেয় যে কৃষিই জাতীয় উন্নয়নের মেরুদণ্ড। এই উপলব্ধি থেকেই ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে বিএআরসি, বিএআরআই, বিআরআরআই, বিএডিসি, এসসিএ, এসআরডিআই, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ একাধিক গবেষণা ও প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। এসব প্রতিষ্ঠানের ধারাবাহিক কাজ, কৃষকের অভিজ্ঞতা, উন্নত বীজ উৎপাদন, সেচব্যবস্থার বিস্তার এবং যান্ত্রিকীকরণের ফলে গত চল্লিশ বছরে দেশের খাদ্য উৎপাদন চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। এটি শুধু পরিসংখ্যান নয়, বরং এক গভীর পরিবর্তনের সাক্ষ্য, যা প্রমাণ করে যে বিজ্ঞানের সহায়তায় কৃষি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।
যে দেশের পরিচয় গঠিত হয়েছে কৃষকের ঘাম, পরিশ্রম ও অবদানের ওপর। তাই কৃষির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা মানে শুধু একটি পেশাকে সম্মান দেওয়া নয়, এটি আমাদের জাতিগত আত্মপরিচয়কে সম্মান করার মানবিক দায়িত্ব। মাটির প্রতি কৃতজ্ঞতা, কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আধুনিক প্রযুক্তি, জ্ঞান ও সুশাসনভিত্তিক কৃষি গড়ে তোলার দায়িত্ব আজকের সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। কৃষি পেশা যেদিন প্রকৃত সম্মান পাবে, সেদিন দেশও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মানের আসনে স্থান করে নিবে। কৃষিকে মর্যাদা দেওয়া মানে আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা।
১৯৮০-এর দশক থেকে ধান, গম ও সবজি উৎপাদনে শুরু হওয়া কৃষি বিপ্লবের ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ আজ বিশ্বে খাদ্য উৎপাদনে অন্যতম সফল দেশ হিসেবে স্বীকৃত। গবেষণা, সম্প্রসারণ কার্যক্রম, প্রযুক্তির দ্রুত বিস্তার এবং কৃষকের অক্লান্ত পরিশ্রম এই চারটির সমন্বয়ে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা দৃঢ় হয়েছে। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ধান উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম দেশ, আর সবজি উৎপাদনেও তৃতীয় স্থানে অবস্থান করছে এবং বাংলাদেশের সবজি আজ বিশ্বের চল্লিশটির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ফল উৎপাদনে আম ও কাঁঠালে যথাক্রমে অষ্টম ও দ্বিতীয় স্থান দখল, যা দেশের উপউষ্ণমণ্ডলীয় কৃষির দক্ষতা তুলে ধরে।
মাছ উৎপাদনেও অগ্রগতি চমকপ্রদ; একুয়াক্যালচারে বাংলাদেশ পঞ্চম এবং মিঠা পানির উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরায় তৃতীয়। পশুপালন খাতেও বাংলাদেশের অবস্থান সমানভাবে শক্ত; দুধ এবং গবাদিপশুর মাংস উৎপাদনে বিশ্বের চতুর্থ স্থানে রয়েছে। এসব সাফল্য প্রমাণ করে যে কৃষি আর কাস্তে, হাঁড়ি বা কোদালের শ্রমঘন পেশা হিসেবে সীমাবদ্ধ নেই। এটি এখন আধুনিক শিল্পক্ষেত্র, যেখানে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, বাজারব্যবস্থা এবং উদ্ভাবন একসঙ্গে কাজ করে। কৃষির এই রূপান্তর শুধু খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিই নয়, দেশের অর্থনীতি, কর্মসংস্থান এবং বৈশ্বিক বাজারে অবস্থানকে শক্তিশালী করেছে।
কৃষির প্রযুক্তিগত রূপান্তর আজ এমন উচ্চতায় পৌঁছেছে যেখানে স্মার্ট ফার্মিং এবং নারীর অগ্রগতি একসঙ্গে কৃষিক্ষেত্রকে বদলে দিচ্ছে। একসময় কৃষিতে প্রযুক্তি মানে ছিল সেচ, বীজ বা সার ব্যবস্থাপনা; আজ ড্রোন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্যাটেলাইটভিত্তিক পূর্বাভাস কৃষিকে আরও বৈজ্ঞানিক করেছে। ড্রোন মাঠ ঘুরে রোগ শনাক্ত করছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা জমির বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে জানাচ্ছে কোন জায়গায় পুষ্টির ঘাটতি আছে, আর স্যাটেলাইট ডেটা আগেই ধরতে পারছে বৃষ্টি, খরা বা লবণাক্ততার প্রবণতা।
মোবাইল অ্যাপভিত্তিক কৃষিসেবা কৃষকের হাতে ন্যায্য তথ্য নিয়ে এসেছে। জমির মাটির স্বাস্থ্য, রোগের ঝুঁকি, বাজারদর এবং নিকটবর্তী চাহিদা এসব তথ্য সহজেই জানা সম্ভব। এর ফলে উৎপাদন বৃদ্ধি, ব্যয় হ্রাস এবং ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণ সহজ হয়েছে। নারীর অংশগ্রহণ এখন কৃষির অপরিহার্য শক্তি। বীজ উৎপাদন, চারা পরিচর্যা, দুগ্ধশিল্প, প্রক্রিয়াজাত পণ্য এবং অনলাইন মার্কেটিং সব ক্ষেত্রেই নারীর উপস্থিতি গ্রামীণ অর্থনীতিকে প্রাণবন্ত রাখছে। আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা জানিয়েছে যে বাংলাদেশে কৃষিক্ষেত্রে নারীশ্রমের অংশগ্রহণ চার দশমিক শূন্য শতাংশের বেশি, যা খাতটিকে স্থিতিশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করেছে।
তবে জলবায়ু পরিবর্তন বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দাঁড়িয়েছে। লবণাক্ততা বৃদ্ধি, দীর্ঘ খরা বা হঠাৎ বন্যা উৎপাদনকে অনিশ্চিত করে। তবু বাংলাদেশের উদ্ভাবনী স্মার্ট কৃষি মডেল বিশ্বে দৃষ্টান্ত হয়ে রয়েছে। লবণসহনশীল ধান, ভাসমান কৃষি, সোলারচালিত সেচ, ড্রিপ ও স্প্রিঙ্কলার সেচ এসব প্রমাণ করে যে প্রয়োজনের মুখে কৃষকরাই সবচেয়ে বড় উদ্ভাবক। তাঁদের অভিজ্ঞতা, দক্ষতা ও পরিস্থিতি মোকাবিলার ক্ষমতা ভবিষ্যতের কৃষিকে আরও টেকসই করে তুলবে।
কৃষিপণ্যের ন্যায্যমূল্য, বাজারসংস্কার এবং ভবিষ্যতের দায়িত্বও অপরিহার্য। দেশে মোট শ্রমশক্তির প্রায় চল্লিশ শতাংশ মানুষ সরাসরি কৃষিতে যুক্ত থাকলেও জাতীয় অর্থনীতিতে অবদান মাত্র তেরো থেকে চৌদ্দ শতাংশ। দীর্ঘ মধ্যস্বত্বভোগী শৃঙ্খল কৃষকের ন্যায্য লাভ কমিয়ে দেয়। সংরক্ষণ ব্যবস্থা দুর্বল, ঠান্ডা অবকাঠামো ও প্রক্রিয়াজাতকরণ ব্যর্থ হলে খাদ্যের অপচয় প্রকট হয়। কৃষি বীমা কার্যকর না থাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আর্থিকভাবে অনিশ্চিত হয়ে পড়েন।
ভবিষ্যতের কৃষিকে হতে হবে প্রযুক্তিনির্ভর, জলবায়ু সহনশীল, ন্যায্যমূল্যভিত্তিক এবং উদ্যোক্তা-বান্ধব। সরাসরি বিপণন ব্যবস্থা, ডিজিটাল ট্রেসিং, ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে সরকারি উদ্যোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ এখন জরুরি। কারণ কৃষক শুধু খাদ্য উৎপাদনকারী নন; তিনি দেশের উন্নয়নচক্রের মূল শক্তি। ২০০৮ সালে প্রথম অগ্রহায়ণকে জাতীয় কৃষি দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। নতুন ধান ঘরে তোলার আনন্দ, কৃষকের পরিশ্রমের প্রতি কৃতজ্ঞতা এবং কৃষির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার প্রতীক হিসেবে দিনটি আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে বাংলাদেশের মাটি, মানুষ ও ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দুতেই কৃষি অবস্থান করে।
পরিশেষে বলা যায় যে দেশের পরিচয় গঠিত হয়েছে কৃষকের ঘাম, পরিশ্রম ও অবদানের ওপর। তাই কৃষির মর্যাদা প্রতিষ্ঠা মানে শুধু একটি পেশাকে সম্মান দেওয়া নয়, এটি আমাদের জাতিগত আত্মপরিচয়কে সম্মান করার মানবিক দায়িত্ব। মাটির প্রতি কৃতজ্ঞতা, কৃষকের প্রতি শ্রদ্ধা এবং আধুনিক প্রযুক্তি, জ্ঞান ও সুশাসনভিত্তিক কৃষি গড়ে তোলার দায়িত্ব আজকের সময়ের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ। কৃষি পেশা যেদিন প্রকৃত সম্মান পাবে, সেদিন দেশও আন্তর্জাতিক মঞ্চে সম্মানের আসনে স্থান করে নিবে। কৃষিকে মর্যাদা দেওয়া মানে আগামী প্রজন্মের জন্য নিরাপদ ভবিষ্যৎ নির্মাণ করা।
লেখক: কৃষিবিদ, গবেষক।
[email protected]
এইচআর/জেআইএম
What's Your Reaction?