গবেষণা প্রকাশ: মস্তিষ্কের ক্ষয় শুরু হওয়ার আগেই থামানো সম্ভব

জাপানের টকিও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি (Tokyo Metropolitan University)–এর গবেষকেরা এমন একটি নতুন প্রাথমিক ধাপ চিহ্নিত করেছেন, যা Alzheimer’s রোগ শুরু হওয়ার আগেই মস্তিষ্কের ক্ষয় ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণাটি প্রকাশের পর বিজ্ঞানীরা বলছেন—এটি ভবিষ্যতে রোগের অগ্রগতি থামানোর নতুন থেরাপির পথ দেখাতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, বিষাক্ত tau প্রোটিন জমে বড় ফাইব্রিল তৈরি করার আগেই খুব ছোট, নরম ন্যানো-ক্লাস্টার তৈরি হয়। এ ক্লাস্টারগুলো এমন পর্যায়ে থাকে, যেখান থেকে এখনো ক্ষতিকর ফাইব্রিল তৈরি হয়নি। গবেষকদের দাবি, এই নরম ক্লাস্টারগুলো “গলিয়ে” (dissolve) দিলে পরবর্তী ধাপে ফাইব্রিল তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কের অবনতি থামানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়। এই পরীক্ষাগুলো আপাতত ল্যাবে (in-vitro) সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এক্স-রে ও ফ্লুরোসেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র কয়েক ন্যানোমিটার আকারের এই প্রাথমিক ক্লাস্টার শনাক্ত করেন। তারা জানান, Alzheimer’s রোগ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণায় বড় ফাইব্রিলগুলোকে প্রধান অপরাধী হিসেবে দেখা হলেও আসল ক্ষতির শুরু আরও আগেই হয়, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য নতুন টার্গেট।

গবেষণা প্রকাশ: মস্তিষ্কের ক্ষয় শুরু হওয়ার আগেই থামানো সম্ভব

জাপানের টকিও মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি (Tokyo Metropolitan University)–এর গবেষকেরা এমন একটি নতুন প্রাথমিক ধাপ চিহ্নিত করেছেন, যা Alzheimer’s রোগ শুরু হওয়ার আগেই মস্তিষ্কের ক্ষয় ঠেকাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। গবেষণাটি প্রকাশের পর বিজ্ঞানীরা বলছেন—এটি ভবিষ্যতে রোগের অগ্রগতি থামানোর নতুন থেরাপির পথ দেখাতে পারে।

গবেষণায় দেখা গেছে, বিষাক্ত tau প্রোটিন জমে বড় ফাইব্রিল তৈরি করার আগেই খুব ছোট, নরম ন্যানো-ক্লাস্টার তৈরি হয়। এ ক্লাস্টারগুলো এমন পর্যায়ে থাকে, যেখান থেকে এখনো ক্ষতিকর ফাইব্রিল তৈরি হয়নি। গবেষকদের দাবি, এই নরম ক্লাস্টারগুলো “গলিয়ে” (dissolve) দিলে পরবর্তী ধাপে ফাইব্রিল তৈরি হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কের অবনতি থামানোর সম্ভাবনা তৈরি হয়।

এই পরীক্ষাগুলো আপাতত ল্যাবে (in-vitro) সম্পন্ন হয়েছে। বিজ্ঞানীরা এক্স-রে ও ফ্লুরোসেন্স প্রযুক্তি ব্যবহার করে মাত্র কয়েক ন্যানোমিটার আকারের এই প্রাথমিক ক্লাস্টার শনাক্ত করেন। তারা জানান, Alzheimer’s রোগ সম্পর্কে প্রচলিত ধারণায় বড় ফাইব্রিলগুলোকে প্রধান অপরাধী হিসেবে দেখা হলেও আসল ক্ষতির শুরু আরও আগেই হয়, যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য নতুন টার্গেট।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই আবিষ্কার রোগ প্রতিরোধ ও চিকিৎসার কৌশলে বড় পরিবর্তন আনতে পারে। Fox News–এর মেডিকেল বিশ্লেষক ড. মার্ক সিগাল মন্তব্য করেন, Alzheimer’s সাধারণত তিনটি কারণে গড়ে ওঠে—beta-amyloid, tau, এবং নিউরো-ইনফ্ল্যামেশন। ভবিষ্যতের থেরাপি এগুলোকে একসঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করবে বলে তিনি মনে করেন।

তবে গবেষণাটি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে। Alzheimer’s Association–এর বিজ্ঞানী ড. কোর্টনি ক্লোস্কোর মতে, এই ফলাফল “খুবই সম্ভাবনাময়”, কিন্তু এটি কার্যকর ও নিরাপদ কিনা—তা জানতে প্রাণী ও মানুষের ওপর আরও বিস্তৃত গবেষণা প্রয়োজন। তিনি বলেন, “বর্তমান থেরাপিগুলো রোগের গতি কমাতে পারে, কিন্তু রোগ শুরু হওয়ার আগেই থামানো গেলে সবচেয়ে বড় সুফল পাওয়া যাবে।”

গবেষকেরা মনে করেন, tau-এর এই প্রাথমিক নরম ক্লাস্টারগুলোর ওপর ভিত্তি করে নতুন ওষুধ বা থেরাপি তৈরি করা গেলে Alzheimer’s-এর মতো জটিল নিউরোডিজেনারেটিভ রোগ প্রতিরোধে বড় অগ্রগতি সম্ভব। ভবিষ্যতে এই মডেল Parkinson’s বা অন্যান্য মস্তিষ্কজনিত রোগেও প্রযোজ্য হতে পারে।

বিশ্বে যখন কোটি মানুষ Alzheimer’s ঝুঁকিতে রয়েছে, তখন এই আবিষ্কারকে বিজ্ঞানীরা সম্ভাবনাময় নতুন দিক বলে মনে করছেন—যা হয়তো একদিন রোগ প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার আগেই প্রতিরোধের পথ খুলে দেবে।

সূত্র-ফক্সনিউজ।

 

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow