ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিলো চেলসি

স্প্যানিশ লা লিগায় যেমনই হোক, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যা তা অবস্থা বার্সেলোনার। এবার তো তাদেরকে চেলসির মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে এসে ৩-০ গোলে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে যেতে হয়েছে। ম্যাচটায় পুরোপুরিই দুর্ভাগ্য নিয়ে খেলতে হয়েছে সম্ভবত বার্সেলোনাকে। শুরুতে আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়া, এরপর প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখে রোনাল্ড আরাউহোর মাঠ থেকে বহিষ্কার এবং ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া- সবকিছুই ছিল যেন বার্সার বিপক্ষে। এই প্রতিকুল পরিবেশে পরাজয়ছাড়া আর ভালোকিছু বার্সার কপালে জোটার কথাও না। বরং, বার্সাকে হারিয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের গতি ফিরে পেল চেলসি। ব্রাজিলিয়ান তরুণ তারকা এস্তেভাও’র দুর্দান্ত একক গোল এবং শেষদিকে লিয়াম ডেলাপের নির্ভুল ফিনিশিংয়ে ১০ সদস্যের বার্সেলোনাকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে এনজো মারের্সকার দল। ম্যাচের শুরু থেকেই চেলসি যেন বিদ্যুতের গতিতে খেলা শুরু করে। বার্সেলোনার আক্রমণে আগের ধার ছিল না, চেলসির সামনে যেন পুরোপুরি ছন্নছাড়া দেখাল পাঁচবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। আক্রমণ, বল পুনরুদ্ধার, মিডফিল্ড দখলে রাখা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধিপত্য ছিল চেলসির। ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এনজ

ঘরের মাঠে বার্সেলোনাকে উড়িয়ে দিলো চেলসি

স্প্যানিশ লা লিগায় যেমনই হোক, উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে যা তা অবস্থা বার্সেলোনার। এবার তো তাদেরকে চেলসির মাঠ স্টামফোর্ড ব্রিজে এসে ৩-০ গোলে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে যেতে হয়েছে।

ম্যাচটায় পুরোপুরিই দুর্ভাগ্য নিয়ে খেলতে হয়েছে সম্ভবত বার্সেলোনাকে। শুরুতে আত্মঘাতি গোলে পিছিয়ে পড়া, এরপর প্রথমার্ধেই লাল কার্ড দেখে রোনাল্ড আরাউহোর মাঠ থেকে বহিষ্কার এবং ১০ জনের দলে পরিণত হওয়া- সবকিছুই ছিল যেন বার্সার বিপক্ষে। এই প্রতিকুল পরিবেশে পরাজয়ছাড়া আর ভালোকিছু বার্সার কপালে জোটার কথাও না।

বরং, বার্সাকে হারিয়ে স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে চ্যাম্পিয়নস লিগে নিজেদের গতি ফিরে পেল চেলসি। ব্রাজিলিয়ান তরুণ তারকা এস্তেভাও’র দুর্দান্ত একক গোল এবং শেষদিকে লিয়াম ডেলাপের নির্ভুল ফিনিশিংয়ে ১০ সদস্যের বার্সেলোনাকে নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছে এনজো মারের্সকার দল।

ম্যাচের শুরু থেকেই চেলসি যেন বিদ্যুতের গতিতে খেলা শুরু করে। বার্সেলোনার আক্রমণে আগের ধার ছিল না, চেলসির সামনে যেন পুরোপুরি ছন্নছাড়া দেখাল পাঁচবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নদের। আক্রমণ, বল পুনরুদ্ধার, মিডফিল্ড দখলে রাখা— প্রতিটি ক্ষেত্রেই আধিপত্য ছিল চেলসির।

ম্যাচের তৃতীয় মিনিটেই এনজো ফার্নান্দেজ গোল করেছিলেন, তবে হাতের স্পর্শের কারণে ভিএআর–এ তা বাতিল হয়ে যায়। অন্যদিকে ফেরান তোরেস চেলসির ডিফেন্সের ভুলের সুযোগ পেয়েও গোল পোস্টের বাইরে বল মেরে দেন— যা বার্সার জন্য ছিল বড় হতাশার শুরু।

দারুণ চাপের ফলেই আসে প্রথম গোল। মার্ক চুচুরেয়ার ক্রস থেকে পেদ্রো নেতোর টোকা গোললাইন থেকে ফেরান তোরেস ক্লিয়ার করতে গেলেও বল ফিরে লাগে হুলেস কুন্দের গায়ে এবং বল গড়িয়ে ঢুকে যায় বার্সার জালে। আত্মঘাতি গোল, চেলসি ১–০।

ম্যাচের গতি একেবারে চেলসির দিকে ঘুরে যায় তখনই, যখন বার্সা অধিনায়ক রোনাল্ড আরাউহো ১২ মিনিটের ব্যবধানে দুইবার হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন। ৪৪ মিনিটে তার লাল কার্ডের কারণে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বার্সা। এরপর চেলসির দমবন্ধ করা ফুটবল সামলানো প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে বার্সার পক্ষে।

এস্তেভাওয়ের ম্যাজিক — যা স্ট্যামফোর্ড ব্রিজ বছরের পর বছর মনে রাখবে। দ্বিতীয়ার্ধের ১০ মিনিট পরই আসে ম্যাচের সবচেয়ে উজ্জ্বল মুহূর্ত। রিস জেমসের ফ্লিক পেয়ে ডান দিক দিয়ে ছুটে আসেন মাত্র ১৮ বছর বয়সী এস্তেভাও। প্রথমে পাও কুবারসিকে কাটিয়ে ভেতরে ঢোকেন, তারপর আলেহান্দ্রো বালদেকে চোখ ধাঁধানো ড্রিবলে হারিয়ে জোরালো শটে বল পাঠান বার্সার— প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের কোনো সুযোগই ছিল না সেটাকে ফেরানোর। এটি নিঃসন্দেহে চ্যাম্পিয়নস লিগের এই মৌসুমের অন্যতম সেরা ব্যক্তিগত গোল।

শেষদিকে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে লিয়াম ডেলাপ করেন দলের তৃতীয় গোল। এনজো ফার্নান্দেজের নিখুঁত পাস থেকে ডেলাপ শান্তভাবে বল জালে জড়ান। ৩–০, চেলসি তখন যেন উড়ছে।

শেষ বাঁশির সঙ্গে সঙ্গেই উল্লাসে ফেটে পড়ে স্টামফোর্ড ব্রিজ। এনজো মারের্সকার অধীনে ১৮ মাসে এটিই চেলসির সেরা পারফরম্যান্স। চেলসি এখন আর শুধু ভবিষ্যতের দল নয়, বরং সেটাই দেখাতে শুরু করেছে যে তারা আবার সেই পুরনো ইউরোপসেরা চেলসিতে ফিরে যাচ্ছে— যাদের ছিল চ্যাম্পিয়নস লিগের ইতিহাসে দৃঢ় অবস্থান।

আইএইচএস/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow