জুলাইয়ের ভুক্তভোগীরা এর চেয়ে ভালো বিচারপ্রক্রিয়ার যোগ্য

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়কে ‘অন্যায্য, তড়িঘড়ি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির দাবি, এই রায় ২০২৪ সালের জুলাই হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের পথ আরও সংকুচিত করবে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এটি ন্যায্য বিচার ছিল না। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ভুক্তভোগীরা এর চেয়ে ভালো বিচারপ্রক্রিয়ার যোগ্য। বাংলাদেশে এমন একটি বিচারব্যবস্থা প্রয়োজন, যা পক্ষপাতহীন, সন্দেহমুক্ত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি থেকে সরে আসবে। সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব তথ্য জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সময় যেসব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, সেগুলোর দায়ীদের ন্যায়সংগতভাবে বিচারের আওতায় আনা জরুরি। কিন্তু এই বিচার ও রায় কোনোটিই ন্যায্য নয়। ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার চান, অথচ মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকা

জুলাইয়ের ভুক্তভোগীরা এর চেয়ে ভালো বিচারপ্রক্রিয়ার যোগ্য

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মানবতাবিরোধী অপরাধে তাদের অনুপস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার রায়কে ‘অন্যায্য, তড়িঘড়ি ও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

সংস্থাটির দাবি, এই রায় ২০২৪ সালের জুলাই হত্যাকাণ্ডের ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচারের পথ আরও সংকুচিত করবে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, এটি ন্যায্য বিচার ছিল না। ২০২৪ সালের জুলাইয়ের ভুক্তভোগীরা এর চেয়ে ভালো বিচারপ্রক্রিয়ার যোগ্য। বাংলাদেশে এমন একটি বিচারব্যবস্থা প্রয়োজন, যা পক্ষপাতহীন, সন্দেহমুক্ত এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী মৃত্যুদণ্ডের মতো শাস্তি থেকে সরে আসবে।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এসব তথ্য জানিয়েছে।

এক বিবৃতিতে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব অ্যাগনেস কালামার্ড বলেন, ২০২৪ সালের জুলাই–আগস্টে শিক্ষার্থী নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সময় যেসব গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘন ঘটেছে, সেগুলোর দায়ীদের ন্যায়সংগতভাবে বিচারের আওতায় আনা জরুরি। কিন্তু এই বিচার ও রায় কোনোটিই ন্যায্য নয়। ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার চান, অথচ মৃত্যুদণ্ড মানবাধিকার লঙ্ঘনকে আরও বাড়িয়ে দেয়।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের আন্দোলনে ১ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ নিহত ও হাজারো আহত হওয়ার ঘটনায় একটি স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসারে বিচারপ্রক্রিয়া হওয়া উচিত ছিল।

‘কিন্তু যে আদালতে এই বিচার হয়েছে, তাকে স্বাধীনতার অভাব ও পূর্ববর্তী অন্যায্য প্রক্রিয়ার জন্য আমরা দীর্ঘদিন ধরে সমালোচনা করে আসছি।’ যোগ করেন তিনি।

কালামার্ড জানান, আসামিদের অনুপস্থিতিতে পরিচালিত এই মামলার নজিরবিহীন দ্রুততা, প্রতিপক্ষের প্রস্তুতির অপ্রতুল সময় এবং বিরোধপূর্ণ প্রমাণ জেরা করতে না দেওয়ার অভিযোগ—সবকিছুই ন্যায্য বিচারের মানদণ্ডকে ক্ষুণ্ন করেছে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল পুনর্ব্যক্ত করেছে যে, তারা সব পরিস্থিতিতে মৃত্যুদণ্ডের বিরোধী; অপরাধের ধরন, প্রেক্ষাপট বা অভিযুক্তের অবস্থা যাই হোক না কেন।

জেপিআই/ইএ/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow