টাঙ্গাইল-৮ আসনে গণপদত্যাগ; বিএনপি প্রার্থীর বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ
টাঙ্গাইল–৮ (সখীপুর–বাসাইল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পুনর্বাসন, সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতা এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ তুলে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ১১ জন নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এসব পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সখীপুরে বিএনপির রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়। পদত্যাগকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাস্টার, সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, সদস্য আশরাফুল আলম, গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ এবং বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লতিফ মিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে আরও ছয়জন নেতা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু, গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মজিবর ফকির, যুবদল নেতা রবিউল আউয়াল, বিপ্লব, শামীম আহমেদ ও সাজিদুর রহমান। জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো পদ
টাঙ্গাইল–৮ (সখীপুর–বাসাইল) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের পুনর্বাসন, সাংগঠনিক স্বেচ্ছাচারিতা এবং দীর্ঘদিনের ত্যাগী নেতাদের প্রতি অবহেলার অভিযোগ তুলে উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ের ১১ জন নেতা একযোগে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার গভীর রাত থেকে মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) দুপুর পর্যন্ত এসব পদত্যাগপত্র সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সখীপুরে বিএনপির রাজনীতিতে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
পদত্যাগকারী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাছেদ মাস্টার, সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, সদস্য আশরাফুল আলম, গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রউফ এবং বহুরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক লতিফ মিয়া। মঙ্গলবার দুপুরে আরও ছয়জন নেতা পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন সম্প্রতি অব্যাহতি পাওয়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু, গজারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্যসচিব মজিবর ফকির, যুবদল নেতা রবিউল আউয়াল, বিপ্লব, শামীম আহমেদ ও সাজিদুর রহমান।
জেলা সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রগুলোয় অভিযোগ করা হয়েছে যে, দল পুনর্গঠনের নামে বহুদিনের ত্যাগী নেতা–কর্মীদের বাদ দিয়ে বিতর্কিত এবং আওয়ামী লীগঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় নেতাদের মতামত অগ্রাহ্য করে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। পদত্যাগপত্রে আরও বলা হয়, পুলিশি হয়রানি ও নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও যারা দীর্ঘদিন ধরে দলকে সংগঠিত রেখেছেন, তাঁদের উপেক্ষা করে নতুন করে আনুগত্যহীন ও অরাজনৈতিক ব্যাক্তিকে প্রাধান্য দিচ্ছেন প্রার্থী আহমেদ আযম খান।
সদ্য পদত্যাগ করা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শাজাহান সাজু বলেন, স্থানীয় সংগঠনের পরামর্শ উপেক্ষা করে প্রার্থী তার ঘনিষ্ঠ ব্যক্তিদের বিভিন্ন কমিটিতে চাপিয়ে দিচ্ছেন। তিনি দাবি করেন, ত্যাগী কর্মীদের সঙ্গে অশোভন আচরণ করা হচ্ছে এবং দীর্ঘদিনের সাংগঠনিক নেতৃত্বকে বাইরের লোকের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চলছে। তাঁর ভাষায়, “এভাবে দল চালানো সম্ভব নয়; তাই সম্মান রক্ষার্থে পদত্যাগ করেছি।”
পদত্যাগপত্রগুলো ভাইরাল হওয়ার পর সখীপুর–বাসাইল এলাকায় বিএনপির কর্মী–সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে এমন গণপদত্যাগকে স্থানীয় রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বিএনপির সাংগঠনিক দুর্বলতার বড় একটি লক্ষণ হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতৃত্বে যে সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা মাঠের রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থানকে নড়বড়ে করে দিতে পারে।
এ বিষয়ে প্রার্থী অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। জেলা বা উপজেলা বিএনপির পক্ষ থেকেও এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
অ্যাডভোকেট আহমেদ আযম খান বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি ২০০১ ও ২০০৮ সালে টাঙ্গাইল–৮ আসনে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করলেও পরাজিত হয়েছিলেন।
What's Your Reaction?