ট্রাইব্যুনাল বললেন, আইন সবার জন্য সমান
‘আইনের চোখে সবাই সমান। ব্যক্তিবিশেষের জন্য আইন ভিন্ন হয় না। আইন হলো সর্বজনীন। সমাজের সকল ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে সমান। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র সবার জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য। সকলে সমানভাবে আইনের আশ্রয় লাভ করতে পারে। এজন্য বলা হয় আইন সকলের জন্য সমান।’ রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে হাজির করা হয়েছিল। তারা ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে ভার্চ্যুয়ালি হাজিরা চেয়ে আবেদন জানান। আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম, খুনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তাদের সশরীরে হাজির না করে ভার্চ্যুয়ালি শুনানির ওই আবেদন শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বললেন, ‘আইন সবার জন্য সমান।’ সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক মন্ত্রীরা সশরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পারলে গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তারা কেন পারবেন না, তাদের আইনজীবীকে সেই প্রশ্ন করেন ট্রাইব্যুনাল। ভার্চ্যুয়ালি হাজিরা চেয়ে সেনা কর্মকর্তাদের করা আবেদন উপস্থাপন করা হলে এমন প্রশ্ন করেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় আইন সবার জন্য সমান বলেও মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিষয়ে পৃথক দুই আবেদনের শুনানির জন্য
‘আইনের চোখে সবাই সমান। ব্যক্তিবিশেষের জন্য আইন ভিন্ন হয় না। আইন হলো সর্বজনীন। সমাজের সকল ব্যক্তি আইনের দৃষ্টিতে সমান। জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোত্র, নারী-পুরুষ, ধনী-দরিদ্র সবার জন্য আইন সমানভাবে প্রযোজ্য। সকলে সমানভাবে আইনের আশ্রয় লাভ করতে পারে। এজন্য বলা হয় আইন সকলের জন্য সমান।’
রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে গুমের অভিযোগে ১৩ সেনা কর্মকর্তাকে হাজির করা হয়েছিল। তারা ট্রাইব্যুনালের বিচার কার্যক্রমে ভার্চ্যুয়ালি হাজিরা চেয়ে আবেদন জানান। আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুম, খুনের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দুই মামলার গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তাদের সশরীরে হাজির না করে ভার্চ্যুয়ালি শুনানির ওই আবেদন শুনানিতে ট্রাইব্যুনাল বললেন, ‘আইন সবার জন্য সমান।’
সাবেক প্রধান বিচারপতি ও সাবেক মন্ত্রীরা সশরীরে ট্রাইব্যুনালে হাজির হতে পারলে গ্রেফতার সেনা কর্মকর্তারা কেন পারবেন না, তাদের আইনজীবীকে সেই প্রশ্ন করেন ট্রাইব্যুনাল। ভার্চ্যুয়ালি হাজিরা চেয়ে সেনা কর্মকর্তাদের করা আবেদন উপস্থাপন করা হলে এমন প্রশ্ন করেন ট্রাইব্যুনাল। এ সময় আইন সবার জন্য সমান বলেও মন্তব্য করেন ট্রাইব্যুনাল। পরে এ বিষয়ে পৃথক দুই আবেদনের শুনানির জন্য ৩ ডিসেম্বর দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।
রোববার (২৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ সেনা কর্মকর্তাদের সশরীরে হাজির না করে পরবর্তীতে ভার্চুয়াল শুনানির আবেদন করেন তার আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেজবাহ।
আরও পড়ুন
বিদেশি আইনজীবী নিয়োগ দিতে চান জিয়াউল আহসান
জিয়াউল আহসান শত শত মানুষকে পেট কেটে নদীতে ফেলে দিয়েছেন
সেনা কর্মকর্তাদের আইনজীবী ব্যারিস্টার হামিদুল মিসবাহ আসামিদের ভার্চ্যুয়ালি হাজিরা সংক্রান্ত আবেদন উপস্থাপন করে শুনানির জন্য দিন ধার্য করতে সময় নির্ধারণের আর্জি জানান। এ সময় ট্রাইাব্যুনাল বলেন, ‘এসব আবেদন আমরা নিতে চাই না। আপনারা আজকেই শুনানি করুন।’
ট্রাইব্যুনাল বলেন, ‘বিভিন্ন মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি কারাগারে রয়েছেন। তিনি সশরীরে হাজির হচ্ছেন। আপিল বিভাগের সিনিয়র মোস্ট বিচারপতি নিয়মিত হাজির হচ্ছেন। সাবেক কয়েকজন মন্ত্রীও সশরীরে নিয়মিত হাজিরা দিচ্ছেন। ওনারা (সেনা কর্মকর্তা) কেন পারবেন না। তারা কি এসবের বাইরে। ল’ ইজ ইকুয়্যাল ফর অল। অর্থাৎ আইন সবার জন্য সমান। আপনাদের সমস্যা থাকলে সরকারকে বলুন ব্যবস্থা নিতে।’
সেই সঙ্গে গুমের এই দুই মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বিষয়ে শুনানির জন্য আগামী ৩ ও ৭ ডিসেম্বর ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল। আর এই দুই মামলায় পলাতক আসামি শেখ হাসিনার পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী জেড আই খান পান্নাকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী নিয়োগ দেওয়া হয়।
আজ ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউসনের পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম শুনানি করেন। এসময় অপর প্রসিকিউটর ও আসামিপক্ষের আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।
এফএইচ/বিএ
What's Your Reaction?