নামের জটিলতা কাটিয়ে শুরু হচ্ছে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ
নামের জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে শুরু হচ্ছে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের কাজ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নসহ মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, খুলনা-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-২ আসনের জামায়াতের প্রার্থী মহানগরের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন, খুলনা-৩ আসনের জামায়াতের প্রার্থী খুলনা মহানগর আমির মাহফুজুর রহমান, ড্যাব খুলনা মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. পলাশসহ খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৮টি অনুষদ থাকবে। এগুলো হচ্ছে- মেডিসিন, সার্জারি, বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স, ডেন্টাল, নার্সিং, বায়োটেকনোলজি ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল টেকনোলজি ও প্রিভেনটিভ অ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদ। সঙ্গে থাকবে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের সঙ্গে স্নাতকোত্তর এমডি, এমএস, এমফিল থাকবে।
বর্তমানে সরকারি খুলনা, যশোর,
নামের জটিলতা কাটিয়ে অবশেষে শুরু হচ্ছে খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের কাজ। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে ভূমি অধিগ্রহণ ও ভূমি উন্নয়নসহ মৌলিক অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন, খুলনা-২ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু, খুলনা-২ আসনের জামায়াতের প্রার্থী মহানগরের সেক্রেটারি শেখ জাহাঙ্গীর হুসাইন, খুলনা-৩ আসনের জামায়াতের প্রার্থী খুলনা মহানগর আমির মাহফুজুর রহমান, ড্যাব খুলনা মেডিকেল কলেজ শাখার সাধারণ সম্পাদক ডা. পলাশসহ খুলনায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়টিতে ৮টি অনুষদ থাকবে। এগুলো হচ্ছে- মেডিসিন, সার্জারি, বেসিক সাইন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সাইন্স, ডেন্টাল, নার্সিং, বায়োটেকনোলজি ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং, মেডিকেল টেকনোলজি ও প্রিভেনটিভ অ্যান্ড স্যোশাল মেডিসিন অনুষদ। সঙ্গে থাকবে বিশ্বমানের একটি হাসপাতাল। বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকের সঙ্গে স্নাতকোত্তর এমডি, এমএস, এমফিল থাকবে।
বর্তমানে সরকারি খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা ও মাগুরা মেডিকেল কলেজ, ৪টি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ এবং ৫টি নার্সিং কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হয়েছে। ২০২১ সালের ১ নভেম্বর থেকে খুলনা নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এসএম আবু নাসের ফারুক বলেন, শুরু থেকেই বটিয়াঘাটা উপজেলার ভেতরে লবণচর থানার পাশে ক্যাম্পাস স্থাপনের জন্য ৫০ একর জমি চূড়ান্ত করা হয়। সেখানেই স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ হবে। এজন্য ২০২৪ সালের ৯ মে একনেকে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন পায়। গত ২৭ অক্টোবর জিও হয়েছে। আমরা সঙ্গে সঙ্গে কাজ শুরু করেছি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. রুহুল আমিন বলেন, সবার প্রচেষ্টায় পর প্রকল্পের জটিলতা দূর হয়েছে। আমরা দ্রুত কাজ শুরুর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি। অতীতের মতো সবার সহযোগিতা চাই।
২০১৯ সালে প্রকল্পের অনুমোদন পাওয়ার পর নাম দেওয়া হয় ‘শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা’। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থবির হয়ে পড়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রকল্পের কার্যক্রম। পরে খুলনায় মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা ও যৌক্তিকতা জানতে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। শেখ হাসিনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা নামের কারণে অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে প্রকল্পটি। অবশেষে গত ১৩ এপ্রিল অধ্যাদেশ জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধন ও নতুন নামকরণ হয় ‘খুলনা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়’।
এ বছর, গত ২৭ অক্টোবর প্রকল্পের সরকারি অনুমোদনপত্র জারি করেছে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। এর মাধ্যমে একনেকে অনুমোদনের ১৭ মাস পর বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন প্রকল্পে আলো ফুটেছে। চলতি মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৫০ একর জমি অধিগ্রহণের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করতে জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রকল্পের মাস্টার প্ল্যান অনুযায়ী প্রকল্পে ৫০ একর জমির মধ্যে সাড়ে ১৪ একর এলাকায় স্থাপনা নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৯ একর এলাকায় সড়ক, প্রায় ৪ দশমিক ৯১ একর জায়গায় ফুটপাথ, ১ দশমিক ৩৬ একর জলাশয় এবং ২০ একর এলাকাজুড়ে সবুজায়ন করা হবে।
প্রথম পর্যায়ে ১১ তলা ডে সার্জারি ভবন (দিনের মধ্যে সার্জারি শেষ হবে) কাম একাডেমিক ভবন, সাত তলা ইউটিলিটি কমপ্লেক্স এবং ১৪ তলা ডরমিটরি ভবন, ১২ তলা প্রশাসনিক ভবন, ১১ তলা একাডেমিক ভবন, সীমানা প্রাচীর, অভ্যন্তরীণ সড়ক, পুকুর খনন, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট, এফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট ও সুয়ারেজ ট্রিটমেন্ট, রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং প্লান্ট নির্মাণ হবে। দ্বিতীয় পর্যায়ে বিশ্বমানের হাসপাতালসহ অন্যান্য ভবন হবে।