ঠাকুরগাঁওয়ে উষ্ণতা খুঁজতে ফুটপাতে উপচে পড়া ভিড়

পৌষের শুরুতেই ঠাকুরগাঁওয়ে বইতে শুরু করেছে কনকনে হিমেল হাওয়া। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডায় জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত। শীতের এই কামড় থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কিনতে সাধারণ মানুষ এখন ভিড় করছেন শহরের ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের বড় মাঠের পূর্ব পাশের সড়ক ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এখন শীতবস্ত্রের বিশাল পসরা। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, শাল ও কম্বলের নানা সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের জন্য এসব ফুটপাতের দোকানই এখন প্রধান ভরসাস্থল। আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে ঠাকুরগাঁও জেলায় দিনের তাপমাত্রা ১৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভোর ও গভীর রাতে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে। ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, শীত বাড়ায় পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতেই তারা এখানে আসছেন। তুলনামূলকভাবে সাধ্যের মধ্যে কাপড় পাওয়া যায় বলে ফুটপাতের দোকানই তাদের পছন্দ। তবে অনেকেই অভিযোগ করেন,

ঠাকুরগাঁওয়ে উষ্ণতা খুঁজতে ফুটপাতে উপচে পড়া ভিড়

পৌষের শুরুতেই ঠাকুরগাঁওয়ে বইতে শুরু করেছে কনকনে হিমেল হাওয়া। ভোর থেকে ঘন কুয়াশা আর তীব্র ঠান্ডায় জনজীবন অনেকটা বিপর্যস্ত। শীতের এই কামড় থেকে বাঁচতে প্রয়োজনীয় গরম কাপড় কিনতে সাধারণ মানুষ এখন ভিড় করছেন শহরের ফুটপাতের অস্থায়ী দোকানগুলোতে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শহরের বড় মাঠের পূর্ব পাশের সড়ক ও পুরাতন বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে এখন শীতবস্ত্রের বিশাল পসরা। সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, শাল ও কম্বলের নানা সংগ্রহ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন বিক্রেতারা। বিশেষ করে নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের জন্য এসব ফুটপাতের দোকানই এখন প্রধান ভরসাস্থল।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি সপ্তাহে ঠাকুরগাঁও জেলায় দিনের তাপমাত্রা ১৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলেও রাতের তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। ভোর ও গভীর রাতে শীতের তীব্রতা সবচেয়ে বেশি অনুভূত হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে উষ্ণতা খুঁজতে ফুটপাতে উপচে পড়া ভিড়

ফুটপাতের দোকানে গরম কাপড় কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, শীত বাড়ায় পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রয়োজনীয় কাপড় কিনতেই তারা এখানে আসছেন। তুলনামূলকভাবে সাধ্যের মধ্যে কাপড় পাওয়া যায় বলে ফুটপাতের দোকানই তাদের পছন্দ। তবে অনেকেই অভিযোগ করেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর কিছু কিছু কাপড়ের দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেশি।

সৈয়েদা আক্তার নামের এক ক্রেতা বলেন, বাজারের দোকানে দাম বেশি, তাই ফুটপাত থেকেই কিনছি। মান মোটামুটি, কিন্তু দামের কারণে বাধ্য হয়েই এখানেই আসতে হচ্ছে।

মিলয় ইসলাম বাবু ও জুলফিকার আলী জানান, শীত যত বাড়ছে, ততই গরম কাপড়ের প্রয়োজন বাড়ছে। পরিবার নিয়ে শীত মোকাবেলায় ফুটপাতের দোকানই আসছেন তারা।

অন্যদিকে বিক্রেতারা বলছেন, ১৫ ডিসেম্বরের পর থেকে শীতের প্রকোপ বাড়ায় ক্রেতার সংখ্যাও বাড়ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে উষ্ণতা খুঁজতে ফুটপাতে উপচে পড়া ভিড়

শীতবস্ত্র বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিক্রি মোটামুটি ভালো হচ্ছে। সকাল থেকে রাত ১০টা–১১টা পর্যন্ত দোকানে ক্রেতার ভিড় থাকে।

আরেক বিক্রেতা মো. মনির হোসেন বলেন, এ বছর পাইকারি বাজারে বেল্ট ও কাপড় আগের তুলনায় ১–২ হাজার টাকা বেশি দামে কিনতে হয়েছে। তাই খুচরা দাম কিছুটা বাড়তি।

তবে পৌষের এই হাড়কাঁপানো শীতে ফুটপাতের দোকানগুলো সাধারণ মানুষের উষ্ণতার জোগান দিলেও, বিত্তবানদের প্রতি শীতার্ত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন মহল।

তানভীর হাসান তানু/কেএইচকে/এএসএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow