ঠোঁটে লিপজেল দিয়ে অজু করলে কি অজু শুদ্ধ হবে?
প্রশ্ন: ঠোঁটে লিপজেল লাগানো অবস্থায় অজু করলে কি অজু শুদ্ধ হবে? অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য ঠোঁট ভালো করে ধুয়ে লিপজেল দূর করা জরুরি? উত্তর: অজুতে যে অঙ্গগুলো ধোয়া ফরজ, অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য সে অঙ্গগুলোর প্রতিটি অংশে পানি পৌঁছানো জরুরি। যদি অজুর অঙ্গে এমন কিছু লেগে থাকে যা চামড়ার ওপর আলাদা আবরণ তৈরি করে এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, তাহলে অজু শুদ্ধ হবে না। লিপজেল, লোশন বা গ্লিসারিন ইত্যাদি চামড়ার সঙ্গে মিশে যায় এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই লিপজেল, গ্লিসারিন বা যে কোনো ধরনের লোশন ঠোঁটে লাগানো অবস্থায় অজু করলে অজু শুদ্ধ হবে। ঠোঁটে লিপজেল লাগানো অবস্থায় অজু করার সময় অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য সাধারণভাবে ঠোঁটসহ পুরো চেহারা ধোয়া ও কুলি করাই যথেষ্ট, ভালো করে ধুয়ে লিপজেল দূর করা জরুরি নয়। অজুর সময় অজুর অঙ্গগুলো সচেতনতার সঙ্গে ভালোভাবে ধোয়া জরুরি যেন কোনো অংশ শুকনো থেকে না যায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, এক সফরে রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে রয়ে গিয়েছিলেন। আমরা আসরের নামাজ শুরু করতে দেরি করে ফেলেছিলাম। তিনি যখন আমাদের কাছে পৌঁছলেন, আমরা অজু করছিলাম এবং তাড়াহুড়ার কারণে আমাদের
প্রশ্ন: ঠোঁটে লিপজেল লাগানো অবস্থায় অজু করলে কি অজু শুদ্ধ হবে? অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য ঠোঁট ভালো করে ধুয়ে লিপজেল দূর করা জরুরি?
উত্তর: অজুতে যে অঙ্গগুলো ধোয়া ফরজ, অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য সে অঙ্গগুলোর প্রতিটি অংশে পানি পৌঁছানো জরুরি। যদি অজুর অঙ্গে এমন কিছু লেগে থাকে যা চামড়ার ওপর আলাদা আবরণ তৈরি করে এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা দেয়, তাহলে অজু শুদ্ধ হবে না। লিপজেল, লোশন বা গ্লিসারিন ইত্যাদি চামড়ার সঙ্গে মিশে যায় এবং চামড়া পর্যন্ত পানি পৌঁছতে বাধা সৃষ্টি করে না। তাই লিপজেল, গ্লিসারিন বা যে কোনো ধরনের লোশন ঠোঁটে লাগানো অবস্থায় অজু করলে অজু শুদ্ধ হবে। ঠোঁটে লিপজেল লাগানো অবস্থায় অজু করার সময় অজু শুদ্ধ হওয়ার জন্য সাধারণভাবে ঠোঁটসহ পুরো চেহারা ধোয়া ও কুলি করাই যথেষ্ট, ভালো করে ধুয়ে লিপজেল দূর করা জরুরি নয়।
অজুর সময় অজুর অঙ্গগুলো সচেতনতার সঙ্গে ভালোভাবে ধোয়া জরুরি যেন কোনো অংশ শুকনো থেকে না যায়। আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) বলেন, এক সফরে রাসুল (সা.) আমাদের পেছনে রয়ে গিয়েছিলেন। আমরা আসরের নামাজ শুরু করতে দেরি করে ফেলেছিলাম। তিনি যখন আমাদের কাছে পৌঁছলেন, আমরা অজু করছিলাম এবং তাড়াহুড়ার কারণে আমাদের পা মাসেহ করার মত হালকাভাবে ধুয়ে নিচ্ছিলাম। তখন রাসুল (সা.) উচ্চৈস্বরে বললেন, ‘পায়ের গোড়ালির জন্য জাহান্নামের শস্তি রয়েছে।’ দুবার অথবা তিনবার তিনি এ কথা বললেন। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম)
অর্থাৎ তিনি তাদেরকে সাবধান করেছেন তারা যেন অজুর অঙ্গগুলো সচেতনতার সঙ্গে ভালোভাবে ধুয়ে নেন, তাহাহুড়োর কারণে কোনো অংশ শুকনো না রেখে দেন।
অজুর সময় অজুর কোনো অঙ্গের কিছু অংশ শুকনো থেকে, কোনো কিছু লেগে থাকার কারণে পানি না পৌঁছলে অজু হবে না। এ অবস্থায় নামাজ পড়লে নামাজও হবে না। অজু করার পর কোনো অঙ্গের কিছু অংশ শুকনো মনে হলে তা ধুয়ে নিতে হবে। ওমর (রা.) বলেন, একবার এক ব্যক্তি অজু করে এলে দেখা গেলো তার পায়ের এক নখ পরিমাণ জায়গা শুকনো রয়ে গেছে। রাসুল (সা.) তাকে বললেন, ফিরে গিয়ে সুন্দরভাবে আবার অজু করুন। ওই ব্যক্তি ফিরে গিয়ে আবার অজু করে তারপর নামাজ আদায় করলো। (সহিহ মুসলিম)
ওএফএফ/জেআইএম
What's Your Reaction?