ডা. আসিবুলের বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না : আদালত
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং তার বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত। আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালে দায়েরকৃত এক মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় রোববার (৭ ডিসেম্বর) ওই চিকিৎসা কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) মো. মুজাহিদুর রহমান। আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। জানা গেছে, মামলাটি ২০১৮ সনের একটি পুরাতন মামলা। এ মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি চার্জ গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ৩৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছে। মামলার ১৫নং সাক্ষী ডা. মো. আসিবুল আহসান চৌধুরীকে গত ৪ আগস্ট ও ২৭ অক্টোবর সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও তিনি এ মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করতে আদালতে হাজির হননি। শুনানিকালে চাঁদপুরের সিজেএম বিষয়টি লক্ষ্য করেন। পরে ওই চিকিৎসা কর্মকর্তাকে শোকজ দেন। আদালত তার আদেশে উল্লেখ করেন, এ মামলাটি দীর্ঘদিন যা
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. আসিবুল আহসান চৌধুরীর বিরুদ্ধে কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং তার বেতন বন্ধের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না তার কারণ দর্শাতে বলেছেন আদালত।
আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে ২০১৮ সালে দায়েরকৃত এক মামলায় সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির না হওয়ায় রোববার (৭ ডিসেম্বর) ওই চিকিৎসা কর্মকর্তাকে শোকজ করেছেন চাঁদপুরের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সিজেএম) মো. মুজাহিদুর রহমান। আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি এ মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।
জানা গেছে, মামলাটি ২০১৮ সনের একটি পুরাতন মামলা। এ মামলার একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ১৫ জানুয়ারি চার্জ গঠন করা হয়। এখন পর্যন্ত এ মামলায় মোট ৩৫ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেছে। মামলার ১৫নং সাক্ষী ডা. মো. আসিবুল আহসান চৌধুরীকে গত ৪ আগস্ট ও ২৭ অক্টোবর সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য আদেশের অনুলিপি প্রেরণ করা হলেও তিনি এ মামলায় সাক্ষ্য প্রদান করতে আদালতে হাজির হননি। শুনানিকালে চাঁদপুরের সিজেএম বিষয়টি লক্ষ্য করেন। পরে ওই চিকিৎসা কর্মকর্তাকে শোকজ দেন।
আদালত তার আদেশে উল্লেখ করেন, এ মামলাটি দীর্ঘদিন যাবৎ বিচারের তালিকায় রয়েছে, যার কারণে বিচারপ্রার্থীরা হয়রানির শিকার হচ্ছে, সরকারের ব্যয় বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং বিচারপ্রাপ্তির আকাঙ্ক্ষা পরাজিত হচ্ছে। তাছাড়া রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্য উপস্থাপনে গাফিলতির কারণে দীর্ঘ ৭ বছর ধরে এ মামলাটি বিচার নিষ্পত্তি করা সম্ভব হয়নি। চার্জশিটের ১৫নং সাক্ষী হলেন চাঁদপুর সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মো. আসিবুল আহসান চৌধুরী। তিনি বর্তমানেও আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে চাঁদপুরে কর্মরত আছেন মর্মে রাষ্ট্রপক্ষের বিজ্ঞ কৌঁসুলি নিশ্চিত করেন। তার প্রতি উপরোক্ত তারিখসমূহে অজামিনযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা এবং আদেশের কপি প্রেরণ করা হলেও তিনি অন্য আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করতে হাজির হননি।
এমতাবস্থায় তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪৮৫ (এ) ধারা মোতাবেক কেন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এবং সাক্ষ্য না দেওয়া পর্যন্ত তার বেতন বন্ধের জন্য জেলা হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হবে না তা পরবর্তী ধার্য তারিখে আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা করার জন্য নির্দেশ দেওয়া গেল।
What's Your Reaction?