ঢাকার ৯০ শতাংশ ভবনেরই কোনো অনুমোদন নেই: পরিবেশ উপদেষ্টা
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমার মনে হয় ভূমিকম্পের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ঢাকা এবং পুরনো ঢাকা। আমাদের এখনকার বিল্ডিংগুলো কোড মেনে চললেও, রাজউকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রচুর বিল্ডিং হয়ে গেছে যেগুলোর ৯০ শতাংশেরই কোনো অনুমোদন নেই। এগুলোর কী হবে, যদি এরকম ভূমিকম্প রিপিট করতে থাকে? শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে আদিবাসী খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় গত পাঁচ বছরে যে কয়বার ভূমিকম্প হলো এইরকম জোরে এত শক্তিশালীভাবে ভূমিকম্পটা আমরা এর আগে কখনো অনুভব করিনি। এটা বারবার আমাদের একটা সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, ভূমিকম্প অন্য একটা জায়গায় অরিজিনেট করে, তার টেলের দিকে আমরা থাকি। সেখানেই যদি আমাদের এই অবস্থা হয় তাহলে যেখানে অরিজিনেট করে, নিশ্চয়ই সেখানে আরও অনেক শক্তিশালী হয়। তিনি বলেন, বারবার যে আমাদের সতর্কবাণীটা দেওয়া হচ্ছে, এটাকে তো আমাদের আসলে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার। সেটি নিচ্ছি না। যেমন ধরেন, আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে যে অনুষ্ঠানে ছিলাম, সেখানে দ্রুততার
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, আমার মনে হয় ভূমিকম্পের দিক দিয়ে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে আছে ঢাকা এবং পুরনো ঢাকা। আমাদের এখনকার বিল্ডিংগুলো কোড মেনে চললেও, রাজউকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রচুর বিল্ডিং হয়ে গেছে যেগুলোর ৯০ শতাংশেরই কোনো অনুমোদন নেই। এগুলোর কী হবে, যদি এরকম ভূমিকম্প রিপিট করতে থাকে?
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিরপুরে আদিবাসী খাদ্য ও শস্যমেলার উদ্বোধনের পর তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, আমার মনে হয় গত পাঁচ বছরে যে কয়বার ভূমিকম্প হলো এইরকম জোরে এত শক্তিশালীভাবে ভূমিকম্পটা আমরা এর আগে কখনো অনুভব করিনি। এটা বারবার আমাদের একটা সতর্কবার্তা দেওয়া হচ্ছে যে, ভূমিকম্প অন্য একটা জায়গায় অরিজিনেট করে, তার টেলের দিকে আমরা থাকি। সেখানেই যদি আমাদের এই অবস্থা হয় তাহলে যেখানে অরিজিনেট করে, নিশ্চয়ই সেখানে আরও অনেক শক্তিশালী হয়।
তিনি বলেন, বারবার যে আমাদের সতর্কবাণীটা দেওয়া হচ্ছে, এটাকে তো আমাদের আসলে বিবেচনায় নিয়ে প্রস্তুতিটা নেওয়া দরকার। সেটি নিচ্ছি না। যেমন ধরেন, আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে যে অনুষ্ঠানে ছিলাম, সেখানে দ্রুততার সঙ্গে নেমে আমি একটা খোলা জায়গায় দাঁড়াতে পেরেছি। কিন্তু বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গাতে তো খোলা জায়গায় দাঁড়ানোর কোনো উপায়ই নেই।
তিনি বলেন, দুর্যোগের জন্য সতর্কবাণী এবং ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুতিটা আরও অনেক আগেই শুরু হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু এখন দেরি না করে দ্রুত শুরু করা উচিত। পুরনো বিল্ডিংগুলোকে মজবুত করার যে প্রকৌশলগত সমাধান আছে সেদিকে যাওয়া দরকার।
দুর্যোগের প্রস্ততি বাড়ানো উচিত উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যত নিয়ম-কানুন মেনেই সবকিছু করেন না কেন তারপরেও দুর্যোগ যখন তার থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে যায়, তখন আসলে কী করবেন। একটা সাধারণ অগ্নিকাণ্ডেও আমাদের ফায়ার সার্ভিস যখন যায়, তাদের ভলেন্টিয়াররাও কিন্তু মারা যায়। তার মানে আমাদের আরও বেশি প্রশিক্ষণের প্রয়োজন আছে। আমাদের অগ্নিঝুঁকি আর ভূমিকম্প ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে আমার মনে হয় তিন বছরের একটা কর্মসূচি নেওয়া উচিৎ। যেখানে আমাদের ঘাটতি আছে সেগুলো পূরণ করা।
আরএএস/এএমএ
What's Your Reaction?