তিন বছরেও শেষ হয়নি আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে (জঙ্গি) ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত তিন বছর পরও শেষ হয়নি। আদালত সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে যাওয়ায় মামলার কার্যক্রমে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। ২০২২ সালের ২০ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর পিপার স্প্রে ব্যবহার করে দুই আসামি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। আদালতের নথি অনুযায়ী, এ হামলায় আরও কয়েকজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে পুলিশের বাধায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মামলায় গ্রেফতার হওয়া ২৪ জনের বিষয়ে আদালতের একজন আইনজীবী বলেন, অনেককে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কিন্তু পরে প্রমাণের যথেষ্ট ভিত্তি না থাকায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন তারা। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তারা। তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বারবার পরিবর্তনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, সং
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামিকে (জঙ্গি) ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত তিন বছর পরও শেষ হয়নি। আদালত সূত্র জানায়, তদন্ত প্রতিবেদন বারবার পিছিয়ে যাওয়ায় মামলার কার্যক্রমে অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
২০২২ সালের ২০ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে পুলিশের ওপর পিপার স্প্রে ব্যবহার করে দুই আসামি মইনুল হাসান শামীম ও আবু সিদ্দিক সোহেলকে ছিনিয়ে নেন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সদস্যরা।
আদালতের নথি অনুযায়ী, এ হামলায় আরও কয়েকজনকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল, তবে পুলিশের বাধায় সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়।
মামলায় গ্রেফতার হওয়া ২৪ জনের বিষয়ে আদালতের একজন আইনজীবী বলেন, অনেককে তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতার করা হয়েছিল, কিন্তু পরে প্রমাণের যথেষ্ট ভিত্তি না থাকায় জামিন পেয়ে মুক্তি পেয়েছেন তারা। তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে তদন্ত সংস্থা কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইমের (সিটিটিসি) সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি তারা।
তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের সময়সীমা বারবার পরিবর্তনের বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, সংবেদনশীল মামলায় তদন্তে সময় লাগাটাই স্বাভাবিক। কারণ প্রক্রিয়াটি আইনগতভাবে সঠিকভাবে সম্পন্ন না হলে তা আদালতে টিকতে অসুবিধা হয়।
তিনি বলেন, তদন্ত শেষ হলে যাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করা হবে। বর্তমানে জামিনে থাকা ব্যক্তিরাও অভিযুক্ত হতে পারেন।
ঘটনার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়ন সম্পর্কে মামলার এজাহারে বলা হয়, সংগঠনটির সামরিক শাখার নেতা চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হকের নির্দেশে সশস্ত্র সদস্যরা আদালত এলাকায় অবস্থান নেয়। মোটরসাইকেলে করে আসা সদস্যদের পাশাপাশি আশপাশে আরও ১০–১২ জন অবস্থান করেছিল বলে তদন্ত নথিতে উল্লেখ রয়েছে।
এমডিএএ/এমএএইচ/জেআইএম
What's Your Reaction?