দীর্ঘমেয়াদি মুখোমুখি সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া: ন্যাটো মহাসচিব

ন্যাটোর গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতেই কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব মার্ক রুটে। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি মুখোমুখি সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে দেশটি ন্যাটোর প্রতিরোধ শক্তিকে বারবার পরীক্ষা করছে। সবমিলিয়ে জোট এখন বাস্তব ও দীর্ঘস্থায়ী হুমকির মুখে। রুটে জানান, রাশিয়া যুদ্ধবিমান ও ড্রোন পাঠিয়ে বিভিন্ন দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, নাশকতা চালিয়েছে ও গুপ্তচর জাহাজ পাঠিয়েছে ন্যাটোর জলসীমায়। এই আচরণকে তিনি ‘অবিবেচনাপ্রসূত ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দেন। তার ভাষায়, রাশিয়া এখন চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যার উদ্দেশ্য পশ্চিমা সমাজগুলোতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা ও বৈশ্বিক নিয়মকানুন ভেঙে ফেলা। রুটে বলেন, এসবই ইঙ্গিত দেয় যে মস্কো দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে। তিনি আরও জানান, ন্যাটো সদস্যরা প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ালেও, সব দেশকে তাদের দায়িত্ব আরও জোরালোভাবে পালন করতে হবে। বিশেষ করে ইউক্রেনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শীত আসছে, রুশ হামলাও অব্যাহত। এমন সময়ে ইউক্রেন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সহায়তার দাবিদার। এদিকে, ‘মিথ্যা শান্তি আলোচনায়’ র

দীর্ঘমেয়াদি মুখোমুখি সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া: ন্যাটো মহাসচিব

ন্যাটোর গোলটেবিল বৈঠকের শুরুতেই কঠোর সতর্কবার্তা দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব মার্ক রুটে। তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি মুখোমুখি সংঘর্ষের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে রাশিয়া। সেই সঙ্গে দেশটি ন্যাটোর প্রতিরোধ শক্তিকে বারবার পরীক্ষা করছে। সবমিলিয়ে জোট এখন বাস্তব ও দীর্ঘস্থায়ী হুমকির মুখে।

রুটে জানান, রাশিয়া যুদ্ধবিমান ও ড্রোন পাঠিয়ে বিভিন্ন দেশের আকাশসীমা লঙ্ঘন করেছে, নাশকতা চালিয়েছে ও গুপ্তচর জাহাজ পাঠিয়েছে ন্যাটোর জলসীমায়। এই আচরণকে তিনি ‘অবিবেচনাপ্রসূত ও বিপজ্জনক’ বলে আখ্যা দেন।

তার ভাষায়, রাশিয়া এখন চীন, উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে, যার উদ্দেশ্য পশ্চিমা সমাজগুলোতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করা ও বৈশ্বিক নিয়মকানুন ভেঙে ফেলা। রুটে বলেন, এসবই ইঙ্গিত দেয় যে মস্কো দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতের প্রস্তুতি নিচ্ছে।

তিনি আরও জানান, ন্যাটো সদস্যরা প্রতিরক্ষা খাতে বিনিয়োগ বাড়ালেও, সব দেশকে তাদের দায়িত্ব আরও জোরালোভাবে পালন করতে হবে। বিশেষ করে ইউক্রেনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শীত আসছে, রুশ হামলাও অব্যাহত। এমন সময়ে ইউক্রেন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি সহায়তার দাবিদার।

এদিকে, ‘মিথ্যা শান্তি আলোচনায়’ রাশিয়া ন্যাটোকে বিভক্ত করতে চাইছে বলে মন্তব্য করেছেন জোটভুক্ত একাধিক দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। ব্রাসেলসে ইউক্রেন যুদ্ধ ও চলমান ‘শান্তি আলোচনা’ নিয়ে ন্যাটো পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে এমন স্পষ্ট সতর্কতা দেন তারা।

জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোহান ভাডেফুল বলেন, তিনি যুদ্ধ শেষের উদ্দেশ্যে সব ধরনের আলোচনাকে স্বাগত জানান, তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো প্রকৃত আলোচনার আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।

এস্তোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্গুস সাখনা বলেন, ইউরোপের ভবিষ্যৎ ইউরোপকেই ঠিক করতে হবে। তার মন্তব্য, পুতিন আমাদের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন না। যুক্তরাষ্ট্রও আমাদের হয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।

লাটভিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাইবা ব্রাজে আরও একধাপ এগিয়ে বলেন, রাশিয়া এসব কথিত শান্তি আলোচনার মাধ্যমে ন্যাটোকে বিভক্ত করতে চাইছে।

ফিনল্যান্ডের এলিনা ভালতোনেন পুতিনের সাম্প্রতিক বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় জানান, যেখানে রুশ প্রেসিডেন্ট দাবি করেছিলেন ইউরোপের সঙ্গে সংঘাত চায় না মস্কো, তবে সর্বদা যুদ্ধে ‘প্রস্তুত’। ভালতোনেন বলেন, এটি শুধু ভয় দেখানোর কৌশল।

যুক্তরাষ্টের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, এই দাম্ভিকতা ও রক্তপাত বন্ধ করুন।

নরওয়ের এসপেন বার্থ আইডে বলেন, ইউক্রেনকে শক্ত থাকতে হবে ও ন্যাটোকেও অটল প্রতিশ্রুতি নিয়ে তার পাশে থাকতে হবে।

ন্যাটোর শীর্ষ বৈঠকের আগেই এসব মন্তব্য স্পষ্ট করে দিয়েছে, জোট আসন্ন শীতের আগেই ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে আরও কঠোর অবস্থান নিতে চলেছে।

সূত্র: বিবিসি

এসএএইচ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow