দ্রুতই ঘটতে পারে ভয়াবহ ভূমিকম্প, কঠোর ‘সতর্কবার্তা’
সাম্প্রতিক একের পর এক ভূকম্পনকে “সতর্কবার্তা” হিসেবে বিবেচনা করছেন দেশের ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বাংলাদেশ ভূকম্পন-ঝুঁকির উচ্চমাত্রার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় যে কোনো সময় বড় মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটতে পারে। গত কয়েক সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার একাধিক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব কম্পনের পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন— ভূগর্ভে সঞ্চিত শক্তি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বড় ধরনের কম্পন ঘটার সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না। ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দেশজুড়ে মধুপুর ফল্ট, ডাউকি ফল্ট ও বঙ্গোপসাগরের সাবডাকশন জোন দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। এসব স্থানে “সিসমিক গ্যাপ” বা ভূমিকম্পের ফাঁকা সময় বাড়তে থাকায় শক্তি জমে থেকে বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কিছু সাম্প্রতিক কম্পনকে বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য ফোরশক বা আগাম সংকেত বলেও মন্তব্য করেছেন। তবে তারা স্পষ্ট করে বলেন, বড় ভূমিকম্প “দ্রুতই” ঘটতে পারে— কিন্তু ঠিক কোন দিন, কোন সময়ে তা হওয়া সম্ভব নয়। এখনকার সতর্কতার মূল কারণ হলো ভূগঠনের অস্বাভাবিক সক্রিয়তা এবং একাধিক ফল্টলাইনে শক্তি সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি। এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্
সাম্প্রতিক একের পর এক ভূকম্পনকে “সতর্কবার্তা” হিসেবে বিবেচনা করছেন দেশের ভূতাত্ত্বিক বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, বাংলাদেশ ভূকম্পন-ঝুঁকির উচ্চমাত্রার অঞ্চলে অবস্থিত হওয়ায় যে কোনো সময় বড় মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্প ঘটতে পারে।
গত কয়েক সপ্তাহে রাজধানী ঢাকা, ময়মনসিংহ, সিলেটসহ বিভিন্ন অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার একাধিক ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। এসব কম্পনের পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন— ভূগর্ভে সঞ্চিত শক্তি বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে এবং বড় ধরনের কম্পন ঘটার সম্ভাবনা অস্বীকার করা যায় না।
ভূতত্ত্ববিদদের মতে, দেশজুড়ে মধুপুর ফল্ট, ডাউকি ফল্ট ও বঙ্গোপসাগরের সাবডাকশন জোন দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয় রয়েছে। এসব স্থানে “সিসমিক গ্যাপ” বা ভূমিকম্পের ফাঁকা সময় বাড়তে থাকায় শক্তি জমে থেকে বিপর্যয়ের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে। কিছু সাম্প্রতিক কম্পনকে বিশেষজ্ঞরা সম্ভাব্য ফোরশক বা আগাম সংকেত বলেও মন্তব্য করেছেন।
তবে তারা স্পষ্ট করে বলেন, বড় ভূমিকম্প “দ্রুতই” ঘটতে পারে— কিন্তু ঠিক কোন দিন, কোন সময়ে তা হওয়া সম্ভব নয়। এখনকার সতর্কতার মূল কারণ হলো ভূগঠনের অস্বাভাবিক সক্রিয়তা এবং একাধিক ফল্টলাইনে শক্তি সঞ্চয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি।
এদিকে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বড় ধরনের ভূমিকম্প হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে রাজধানী ঢাকায়। নরম মাটি, ঘনবসতি, অনিয়মিত ভবন নির্মাণ এবং ভূমিকম্প-সহনশীল কোড লঙ্ঘনের কারণে যুক্ত হয়েছে অতিরিক্ত ঝুঁকি।
সরকারি সংস্থাগুলোও ঝুঁকির বিষয়টি স্বীকার করছে। তবে জরুরি প্রস্তুতি পরিকল্পনা, ভবন ঝুঁকি মূল্যায়ন, উদ্ধার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা আরও জোরদারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তাদের ভাষায়- “গুজব নয়, প্রস্তুতিই এখন সবচেয়ে জরুরি।” দেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলকে বড় ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হলেও বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, ভূমিকম্প বাংলাদেশের যেকোনো স্থানেই প্রভাব ফেলতে পারে। তাই পরিবার, প্রতিষ্ঠান ও সরকারি দপ্তর—সবারই নিজস্ব জরুরি প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।
What's Your Reaction?