নরসিংদীতে ভূমিকম্পে নিহত ৩, আহত অর্ধশতাধিক, বিদ্যুৎকেন্দ্রে আগুন
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ভবন। আগুন লেগে বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিহতরা হলেন নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকার দেলোয়ারের ছেলে ওমর (১১), পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাজম আলী (৭৫) এবং পলাশের ডাঙ্গা কাজিরচর এলাকায় সিরাজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন (৬৫)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বলে জানা গেছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে সারাদেশের ন্যায় নরসিংদীতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসময় মানুষ আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ঘোড়াশাল এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকায় ছয়তলা নির্মাণাধীন ভবনের দেওয়াল ধসে একতলা ভবনের ওপর পড়লে বাড়ির মালিক দেলোয়ার, ছেলে ওমর ও মেয়ে তাসফিয়া আহত হন। তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবা-ছেলেকে ঢাকায় পাঠানোর পথে দুজনেরই মৃত্যু হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূমি
নরসিংদীতে ভূমিকম্পে তিনজন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অর্ধশতাধিক। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অনেক ভবন। আগুন লেগে বিদ্যুৎকেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
নিহতরা হলেন নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকার দেলোয়ারের ছেলে ওমর (১১), পলাশ উপজেলার চরসিন্দুর ইউনিয়নের মালিতা পশ্চিমপাড়া গ্রামের বাসিন্দা কাজম আলী (৭৫) এবং পলাশের ডাঙ্গা কাজিরচর এলাকায় সিরাজ উদ্দিনের ছেলে নাসির উদ্দিন (৬৫)। এদের মধ্যে নাসির উদ্দিন আতঙ্কে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে সারাদেশের ন্যায় নরসিংদীতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এসময় মানুষ আতঙ্কে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল হিসেবে নরসিংদীর পলাশ উপজেলা ঘোড়াশাল এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, নরসিংদী শহরের গাবতলী এলাকায় ছয়তলা নির্মাণাধীন ভবনের দেওয়াল ধসে একতলা ভবনের ওপর পড়লে বাড়ির মালিক দেলোয়ার, ছেলে ওমর ও মেয়ে তাসফিয়া আহত হন। তাদের উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাবা-ছেলেকে ঢাকায় পাঠানোর পথে দুজনেরই মৃত্যু হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভূমিকম্পে ঘোড়াশালে ছয়টি বাড়ি ও এস এ প্লাজা নামের সাততলা শপিংমলে ফাটল ধরেছে। বাজার এলাকার বিভিন্ন ভবনের ছাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের আঙিনায় মাটি দেবে গেছে।
ঘোড়াশাল বাজারের জুতার দোকানি আলম মিয়া বলেন, ‘দোকানে জুতাসহ বিভিন্ন ধরনের মালামাল ছিল। ভূমিকম্প শুরু হলে সবকিছু পড়ে যায়। আসবাবপত্র ভেঙে গেছে।’
বাজারের মুদি দোকানদার আসলাম মিয়া বলেন, ‘আমার দোকানের কাচের মালামালগুলো পড়ে ভেঙে গেছে। ভূমিকম্প হচ্ছে প্রথমে বুঝতে পারিনি। মনে হয়েছে কেউ হামলা করেছে। পরক্ষণেই বুঝতে পেরেছি, এটি হামলা নয় ভূমিকম্প।’
ঘোড়াশাল ঈদগাহ রোডের মারকাসুল সুন্নাহ তাহফিজুল কুরআন সুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মুফতি সালা উদ্দিন আনসারী বলেন, ‘আমাদের ছয়তলা ভবনের ৪-৫ জায়গায় ফাটল দেখা দিয়েছে। শিক্ষার্থীরা ভয় পেয়েছে। তারা আতঙ্কিত ছিল।’
একটি ভবনের মালিক আমানউল্লাহ। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভূমিকম্পে আমার ভবনে কয়েক জায়গায় ফাটল ধরেছে। ভবনের সব দোকানপাট বন্ধ করে দিয়েছে দোকানদাররা। কেউ ভয়ে দোকান খুলছে না।’
ভূমিকম্পে ঘোড়াশাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের সাবস্টেশনের একটি ট্রান্সফরমারে আগুন লেগে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
পলাশ ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুস সহিদ জানান, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনে।
এ বিষয়ে জানতে চেয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রধান প্রকৌশলী এনামুল হককে বারবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
এদিকে ঘোড়াশালসহ পলাশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। বিকল্প উপায়ে বিদ্যুৎ সঞ্চালনের চেষ্টা করছে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষ।
নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) ডা. গুলশানা কবির বলেন, ভূমিকম্পে আহত হয়ে অর্ধশতাধিক নারী-পুরুষ চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনো রোগীরা আসছেন।
দুপুরে গাবতলী এলাকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন নরসিংদী পুলিশ সুপার মেনহাজুল আলম। এসময় তিনি বলেন, ‘ভূমিকম্পে জেলায় অর্ধশতাধিক আহত হওয়ার খবর পেয়েছি। তবে যে কোনো দুর্যোগে জেলা পুলিশ সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছে।’
সঞ্জিত সাহা/এসআর/এএসএম
What's Your Reaction?