নীলফামারীতে সাবেক কাউন্সিলর-প্রকৌশলীসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা
নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন। এ ঘটনায় দুদক ব্যবসায়ী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন। শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহা। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর নীলফামারী সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন তিনি। মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের জমিতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়। মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন, সৈয়দপর পৌরসভার সাবেক পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে লালমনিরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আইয়ুব আলী। পৃথকভাবে করা দুই মামলার একটিতে ওই তিনজনকে এবং আরেকটিতে শুধু ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪-১৬ সাল পর্যন্ত শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক ও শহীদ জহুরুল হক সড়কের পাশে রেলের জায়গায় ৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করেন ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন। এর মধ্য
নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে গড়ে তোলা হয়েছে বহুতল ভবন। এ ঘটনায় দুদক ব্যবসায়ী, সাবেক পৌর কাউন্সিলর ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছেন।
শনিবার (২২ নভেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহা। এর আগে গত ১৬ নভেম্বর নীলফামারী সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে মামলা করেন তিনি।
মামলায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে প্রতারণা ও অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে রেলওয়ের জমিতে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- সৈয়দপুর ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আলতাফ হোসেন, সৈয়দপর পৌরসভার সাবেক পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু ও সৈয়দপুর পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী বর্তমানে লালমনিরহাট পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী আইয়ুব আলী। পৃথকভাবে করা দুই মামলার একটিতে ওই তিনজনকে এবং আরেকটিতে শুধু ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৪-১৬ সাল পর্যন্ত শহরের শহীদ ডা. জিকরুল হক ও শহীদ জহুরুল হক সড়কের পাশে রেলের জায়গায় ৫টি অবকাঠামো নির্মাণ করেন ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন। এর মধ্যে ৩ হাজার ৬৫৬ বর্গফুটের বহুতল ভবনে রয়েছে একাধিক ব্যাংক, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক ভবন। অন্য ভবনগুলোতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও আবাসিক রয়েছে। ওই সময় নিয়মবহির্ভূতভাবে বিএনপি নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পুর সুপারিশে নির্বাহী প্রকৌশলী রেলে জমিতে ভবন নির্মাণের নকশা অনুমোদন করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রেলওয়ের এক কর্মকর্তা জানান, সৈয়দপুর পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু ও পৌরসভার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আইয়ুব আলী পরস্পর যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনকে সৈয়দপুর শহরের রেলওয়ে জমিতে বহুতল ভবনে স্থায়ী স্থাপনা নির্মাণে সহায়তা করেছেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের রংপুর সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের তৎকালীন সহকারী পরিচালক (এডি) হোসাইন শরীফ সরেজমিনে একাধিকবার সৈয়দপুরে এসে বিষয়টি তদন্ত করে এর সত্যতা মিলে।
তবে রেলওয়ের জমি দখলে নিয়ে ভবন নির্মাণের কথা অস্বীকার করেছেন ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেন।
তিনি বলেন, কিছু অংশ আমার মায়ের নামে আগে থেকে পজিশন নেওয়া ছিল। বাকি অংশ বিভিন্ন ব্যক্তির থেকে পজিশন কিনে নিয়েছি। এছাড়া রেল পৌরসভাকে দেয়া ২৫.৭৫ একের জায়গার মধ্যেই স্থাপনা রয়েছে। তাই পৌরসভার কাছে নকশা অনুমোদন নিয়েই স্থাপনা করা হয়েছে।
পৌর কাউন্সিলর এরশাদ হোসেন পাপ্পু জানান, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে দুদক মামলা করেছে। ব্যবসায়ী আলতাফ হোসেনের রেলের জমিতে বহুতল ভবন নির্মাণের সঙ্গে তার কোনো সম্পৃক্তা নেই।
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সমন্বিত রংপুর জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক জয়ন্ত সাহা মামলার করার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আমিরুল হক/এনএইচআর
What's Your Reaction?