তাইওয়ান ইস্যুতে জাপান ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সাম্প্রতিক তাইওয়ান সংক্রান্ত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে টোকিও ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হচ্ছে। চীন দাবি করে, গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ান তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড। সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক এখন বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে। সবশেষ ২০ নভেম্বর জাপান–দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে চীন। এর আগে ১৯ নভেম্বর চীন জানায় জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানির প্রক্রিয়া ‘অপর্যাপ্ত’, ফলে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত মিলছে। তাছাড়া জাপান থেকে গরুর মাংস আমদানি পুনরায় চালুর আলোচনা স্থগিত করেছে বেইজিং। চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাইওয়ান বিষয়ক মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ১৮ নভেম্বর বেইজিংয়ে জাপান–চীনের কূটনৈতিক বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। চীন আবারো তাকাইচির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তোলে। জাপান জানায়, মন্তব্যটি তাদের দীর্ঘদিনের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং চীনে অবস্থানরত জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়
জাপানের প্রধানমন্ত্রী সানায়ে তাকাইচির সাম্প্রতিক তাইওয়ান সংক্রান্ত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে টোকিও ও বেইজিংয়ের সম্পর্ক দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
চীন দাবি করে, গণতান্ত্রিকভাবে পরিচালিত তাইওয়ান তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড। সানায়ে তাকাইচির মন্তব্যের পর একের পর এক পদক্ষেপ নিয়ে দুই দেশের সম্পর্ক এখন বহু বছরের মধ্যে সবচেয়ে উত্তেজনাপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে।
সবশেষ ২০ নভেম্বর জাপান–দক্ষিণ কোরিয়ার সংস্কৃতি মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করেছে চীন।
এর আগে ১৯ নভেম্বর চীন জানায় জাপানি সামুদ্রিক খাবার আমদানির প্রক্রিয়া ‘অপর্যাপ্ত’, ফলে আংশিক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার ইঙ্গিত মিলছে।
তাছাড়া জাপান থেকে গরুর মাংস আমদানি পুনরায় চালুর আলোচনা স্থগিত করেছে বেইজিং।
চীন হুঁশিয়ারি দিয়েছে তাইওয়ান বিষয়ক মন্তব্য প্রত্যাহার না করলে আরও পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
১৮ নভেম্বর
বেইজিংয়ে জাপান–চীনের কূটনৈতিক বৈঠক ফলপ্রসূ হয়নি। চীন আবারো তাকাইচির মন্তব্য প্রত্যাহারের দাবি তোলে।
জাপান জানায়, মন্তব্যটি তাদের দীর্ঘদিনের নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং চীনে অবস্থানরত জাপানি নাগরিকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর আহ্বান জানায়।
১৭ নভেম্বর
চীনা পরিবেশকরা অন্তত দুটি জাপানি চলচ্চিত্রের দেশীয় প্রদর্শন বন্ধ করে দেয়।
চীন ঘোষণা করে, দক্ষিণ আফ্রিকায় জি২০ সম্মেলনের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী লি চিয়াং তাকাইচির সঙ্গে কোনো বৈঠক করবেন না।
১৬ নভেম্বর
জাপানে পড়তে যাওয়া বা পড়ার পরিকল্পনা থাকা চীনা শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপত্তা সতর্কতা জারি করে বেইজিং।
তাছাড়া এদিন জাপান নিয়ন্ত্রিত সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জের কাছে চীনা কোস্টগার্ডের জাহাজ চলাচল করে।
১৫ নভেম্বর
তিনটি চীনা এয়ারলাইনস জাপানগামী ফ্লাইটে রিফান্ড বা টিকিট পরিবর্তনের সুযোগ দেয়।
১৪ নভেম্বর
চীন সতর্ক করে যে, তাইওয়ান নিয়ে জাপান যদি সামরিক হস্তক্ষেপ করে তবে ধ্বংসাত্মক পরাজয় বরণ করতে হবে। চীনা নাগরিকদের জাপানে ভ্রমণে সতর্কতা দেওয়া হয়।
একই দিনে জাপানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওসাকার চীনা কনসাল জু জিয়ানের মন্তব্যের প্রতিবাদে চীনা রাষ্ট্রদূতকে তলব করে।
১৩ নভেম্বর
চীন তাকাইচির মন্তব্যকে বিকৃত ও গুরুতর বলে আখ্যা দিয়ে তা অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানায়, অন্যথায় পরিণতি ভোগ করতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেয়।
১২ নভেম্বর
চীনা রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম তাকাইচির মন্তব্যের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় সমালোচনামূলক প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
১১ নভেম্বর
কয়েকজন জাপানি রাজনীতিবিদ ওসাকার চীনা কনসাল জু জিয়ানকে বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
১০ নভেম্বর
বেইজিং তাকাইচির মন্তব্যের বিরুদ্ধে ‘কঠোর প্রতিবাদ’ জানায়।
একই দিনে তাকাইচি বলেন, মন্তব্যটি ছিল কাল্পনিক পরিস্থিতি, এবং তিনি ভবিষ্যতে সংসদে এমন মন্তব্য থেকে বিরত থাকবেন।
৭ নভেম্বর জাপানি সংসদে তাকাইচি বলেন, তাইওয়ানের ওপর হামলা হলে তা জাপানের অস্তিত্বের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, ফলে সেখানে সেনা পাঠানো হতে পারে। এর পরপরই চীনের দিক থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে থাকে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম
What's Your Reaction?