বার্নলেকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে দুইয়ে চেলসি

পর্তুগিজ তারকা পেদ্রো নেতো এবং আর্জেন্টাইন তারকা এনজো ফের্নান্দেজের গোলের ভর করে বার্নলির মাঠে গিয়ে ২-০ গোলে জয় নিয়ে ফিরেছে চেলসি। আন্তর্জাতিক বিরতির পর সপ্তাহের শুরুটা দারুণভাবে করেছে ব্লুজরা। এ জয়ের ফলে শেষ ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে পঞ্চম জয় তুলে নিল তারা এবং সে সঙ্গে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে উঠে এসেছে দুই নম্বরে। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। ২২ পয়েন্ট নিয়ে ৩য় ম্যানসিটি। ৩৭তম মিনিটে চমকপ্রদ ডাইভিং হেডে নেতো দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে, ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে মার্স গুইউয়ের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে নেতোর আরও একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে। কোচ এনজো মারেসকা আন্তর্জাতিক বিরতির আগে উলভসের বিপক্ষে জয় পাওয়া দল থেকে চারটি পরিবর্তন এনেছিলেন আজ টার্ফ মুরে। ইকুয়েডরের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলে আসায় মোইসেস কাইসেদোকে বেঞ্চে রাখা হয়। ওয়েসলি ফোফানা ছিলেন না দলে; বদলি হিসেবে রাখা হয় আলেহান্দ্রো গারনাচোকে। মূল একাদশে সুযোগ পান রিস জেমস, জেমি গিটেনস, তাসিন আদারাবায়োও এবং আন্দ্রে সান্তোস। শুরুর দিকে কাইসে

বার্নলেকে হারিয়ে প্রিমিয়ার লিগে দুইয়ে চেলসি

পর্তুগিজ তারকা পেদ্রো নেতো এবং আর্জেন্টাইন তারকা এনজো ফের্নান্দেজের গোলের ভর করে বার্নলির মাঠে গিয়ে ২-০ গোলে জয় নিয়ে ফিরেছে চেলসি। আন্তর্জাতিক বিরতির পর সপ্তাহের শুরুটা দারুণভাবে করেছে ব্লুজরা।

এ জয়ের ফলে শেষ ছয়টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচে পঞ্চম জয় তুলে নিল তারা এবং সে সঙ্গে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট টেবিলে উঠে এসেছে দুই নম্বরে। ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২৩। ১১ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আর্সেনাল। ২২ পয়েন্ট নিয়ে ৩য় ম্যানসিটি।

৩৭তম মিনিটে চমকপ্রদ ডাইভিং হেডে নেতো দলকে এগিয়ে দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে, ম্যাচের ৮৮তম মিনিটে মার্স গুইউয়ের পাস থেকে গোল করে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এনজো ফার্নান্দেজ। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে নেতোর আরও একটি শট পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

কোচ এনজো মারেসকা আন্তর্জাতিক বিরতির আগে উলভসের বিপক্ষে জয় পাওয়া দল থেকে চারটি পরিবর্তন এনেছিলেন আজ টার্ফ মুরে। ইকুয়েডরের হয়ে দুটি ম্যাচ খেলে আসায় মোইসেস কাইসেদোকে বেঞ্চে রাখা হয়। ওয়েসলি ফোফানা ছিলেন না দলে; বদলি হিসেবে রাখা হয় আলেহান্দ্রো গারনাচোকে। মূল একাদশে সুযোগ পান রিস জেমস, জেমি গিটেনস, তাসিন আদারাবায়োও এবং আন্দ্রে সান্তোস।

শুরুর দিকে কাইসেদোর অনুপস্থিতি স্পষ্ট ছিল। উইং দিয়ে আক্রমণ তুলে বার্নলি বেশ কিছু গোলের সুযোগ তৈরি করে। লুম চৌনা ও জাইডন অ্যান্থনি ছিলেন সবচেয়ে উজ্জ্বল। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের শটগুলো রবার্ট সানচেজ বা ব্লুজ ডিফেন্ডারদের কাছে থেমে যায়।

ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় চেলসি। নেতো ও লিয়াম ডেলাপ কয়েকবার বার্নলি রক্ষণের পেছনে দৌড় দেন। ৩৪ মিনিটে গিটেনসকে দারুণ ট্যাকলে থামিয়ে গোলরোধ করেন কাইল ওয়াকার। তবে তিন মিনিট পর আর রুখতে পারেনি বার্নলি। চুচুরেলার দীর্ঘ পাস ধরে গিটেনসকে দেন, আর তার ক্রস থেকে অ্যাক্রোব্যাটিক ভলিতে জাল খুঁজে নেন নেতো।

দ্বিতীয়ার্ধে রিস জেমসের জায়গায় চোট কাটিয়ে ফিরে আসা বেনোয়া বাদিয়াশিল মাঠে নামেন। রেফারির কমিউনিকেশন যন্ত্রে ত্রুটির কারণে কিছু সময় খেলা বন্ধ থাকলেও এরপর চাপ ধরে রাখে চেলসি। ৬৩ মিনিটে নেতোর শট পোস্টে লেগে ফেরে।

একইসময়ে বার্নলি দ্বিতীয়ার্ধে খুব কমই চেলসির অর্ধে বল নিয়ে উঠতে পেরেছে। তবে ৬৯ মিনিটে হাটম্যানের ক্রসে জিয়ান ফ্লেমিং ভালো সুযোগ পেয়েও উড়িয়ে মারেন।

স্কট পার্কার তিন বদলি নামালেও চেলসির আধিপত্য কমেনি। আরেক বদলি মালো গুত্সোর শট বার্নলি গোলকিপার ডুব্রাভকা কর্নারে ঠেলে দেন। কর্নারে বাদিয়াশিলে ও জ্যাকব ব্রুন লারসেনের ধস্তাধস্তিতে বার্নলির লাল কার্ডের দাবি থাকলেও রেফারি শুধু হলুদ কার্ড দেন ফরাসি ডিফেন্ডারকে।

শেষ পর্যন্ত ৮৮ মিনিটে আসে চেলসির দ্বিতীয় গোল। সানচেজের শুরু করা আক্রমণে গুইউ বল ধরে এগিয়ে এনজোর সামনে বাড়ান। ফার্নান্দেজের শট দুই ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে জালে পৌঁছালে নিশ্চিত হয় চেলসির জয়।

এই জয়ে উজ্জীবিত ব্লুজরা এখন বার্সেলোনা (চ্যাম্পিয়নস লিগ) ও আর্সেনালের বিপক্ষে পরবর্তী দুই গুরুত্বপূর্ণ হোম ম্যাচকে সামনে রেখে লন্ডনে ফিরছে আত্মবিশ্বাস নিয়েই।

আইএইচএস/

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow