পঞ্চগড়ে কৃষকের শসাক্ষেত কেটে নষ্ট, থানায় অভিযোগ

পঞ্চগড়ে এক কৃষকের আবাদী শসাক্ষেত রাতের অন্ধকারে কেটে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জিয়াউর রহমান (৪৫) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিষ্ণু নারায়নী মৌজার জে.এল. নং ২৪, খতিয়ান নং ১৭৩ ও দাগ নং ১১৫৬–এর ৫০ শতক জমিতে কৃষক জিয়াউর রহমান শসা চাষ করেছিলেন। প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার টাকার শসা বিক্রি হতো এবং ক্ষেতে এখনো প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকার শসা অবিক্রিত ছিল। কৃষকের অভিযোগ, গত ২৮ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ২৯ নভেম্বর ভোর ৫টার মধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার শসাক্ষেতে ঢুকে প্রায় সব গাছ কেটে ফসল নষ্ট করে দেয়। সকালে পানি দিতে এসে তিনি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি লক্ষ্য করেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন। জিয়াউর রহমান জানান, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে পার্শ্ববর্তী মোস্তফা, মনির হোসেন, মাহাবুব ও কাজিরুল ইসলাম পূর্বে আমাক হুমকি দিয়েছিলেন। সেই বিরোধের প্রেক্ষিতে তিনি সম্প্রতি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৭ ধারায় একটি

পঞ্চগড়ে কৃষকের শসাক্ষেত কেটে নষ্ট, থানায় অভিযোগ

পঞ্চগড়ে এক কৃষকের আবাদী শসাক্ষেত রাতের অন্ধকারে কেটে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক জিয়াউর রহমান (৪৫) অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পঞ্চগড় সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, বিষ্ণু নারায়নী মৌজার জে.এল. নং ২৪, খতিয়ান নং ১৭৩ ও দাগ নং ১১৫৬–এর ৫০ শতক জমিতে কৃষক জিয়াউর রহমান শসা চাষ করেছিলেন। প্রতিদিন প্রায় ৮ হাজার টাকার শসা বিক্রি হতো এবং ক্ষেতে এখনো প্রায় ১ লাখ ১০ হাজার টাকার শসা অবিক্রিত ছিল।

কৃষকের অভিযোগ, গত ২৮ নভেম্বর রাত ৮টা থেকে ২৯ নভেম্বর ভোর ৫টার মধ্যে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা তার শসাক্ষেতে ঢুকে প্রায় সব গাছ কেটে ফসল নষ্ট করে দেয়। সকালে পানি দিতে এসে তিনি ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি লক্ষ্য করেন। পরে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধিদের বিষয়টি জানালে তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তাকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেন।

জিয়াউর রহমান জানান, জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জেরে পার্শ্ববর্তী মোস্তফা, মনির হোসেন, মাহাবুব ও কাজিরুল ইসলাম পূর্বে আমাক হুমকি দিয়েছিলেন। সেই বিরোধের প্রেক্ষিতে তিনি সম্প্রতি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১০৭/১১৭ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। তার ধারণা, ওই মামলার প্রতিশোধ নিতেই দুর্বৃত্তরা রাতের আঁধারে তার শসাক্ষেত কেটে নষ্ট করেছে।

সন্দেহভাজন মনির হোসেন বলেন, আমরা কারও জমির শসাগাছ কেটে দিইনি। আমরা শুধু আমাদের নিজের ৫ বিঘা জমি পুনরুদ্ধার করেছি, যে জমি তারা দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিল। আমাদের সকল জমির কাগজপত্র সম্পূর্ণ বৈধ ও সঠিক আছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জিয়াউর রহমান জিয়া বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি শসাক্ষেতের প্রায় প্রতিটি গাছের গোড়া কেটে ফেলা হয়েছে। যেই বা যারা কাজটি করেছে, তারা অত্যন্ত অন্যায় ও নিন্দনীয় কাজ করেছে। জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলে তার সমাধান আইন-আদালতের মাধ্যমেই হওয়া উচিত, তবে ফসল নষ্ট করা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।

অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পঞ্চগড় সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ হিল জামান। তদন্ত করে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow