পাওনা টাকার জেরে কৃষকের গরু নিয়ে গেলেন জামায়াত নেতা

পটুয়াখালীর দুমকিতে পাওনা টাকা আদায়ে কৃষকের গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে।  শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জলিল প্যাদা মুরাদিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক।  স্থানীরা জানান, কৃষক আব্দুল বারেক মজুমদারের দুটি গরু নিয়ে যান জলিল প্যাদা। পরে বারেক বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকানকে জানান। এ ঘটনায় পঞ্চায়েত বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান ফোরকান ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজার উপস্থিতিতে এক বৈঠক বসে। বৈঠকে অভিযুক্ত জলিল প্যাদা দাবি করেন— বারেকের ছেলের কাছে তার ভাই টাকা পাবেন। সেই পাওনা আদায় করতেই বারেকের গরু দুটি নিয়ে আসা হয়েছে।  তিনি জানান, এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলছে। কৃষক বারেক মজুমদার বলেন, আমাকে অসহায় দেখে গরু দুটি নিয়ে গেছে। ছেলের বিরুদ্ধে পাওনা দেখিয়ে আমার সম্পদ নিয়ে যাওয়ার কোনো নিয়ম নেই। জলিল প্যাদা এ ঘটনায় গরু নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও কোনো প্রমাণ বা কাগজপত্র বৈঠকে উপস্থাপন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান। তিনি বলেন, পাওনার কথা বললেও কোনো প্র

পাওনা টাকার জেরে কৃষকের গরু নিয়ে গেলেন জামায়াত নেতা

পটুয়াখালীর দুমকিতে পাওনা টাকা আদায়ে কৃষকের গরু নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় জামায়াত নেতার বিরুদ্ধে। 

শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দক্ষিণ মুরাদিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত জলিল প্যাদা মুরাদিয়া ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর সাধারণ সম্পাদক। 

স্থানীরা জানান, কৃষক আব্দুল বারেক মজুমদারের দুটি গরু নিয়ে যান জলিল প্যাদা। পরে বারেক বিষয়টি ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকানকে জানান।

এ ঘটনায় পঞ্চায়েত বাজার এলাকায় চেয়ারম্যান ফোরকান ও সাবেক ইউপি সদস্য রেজার উপস্থিতিতে এক বৈঠক বসে। বৈঠকে অভিযুক্ত জলিল প্যাদা দাবি করেন— বারেকের ছেলের কাছে তার ভাই টাকা পাবেন। সেই পাওনা আদায় করতেই বারেকের গরু দুটি নিয়ে আসা হয়েছে। 

তিনি জানান, এ বিষয়ে আদালতে একটি মামলা চলছে।

কৃষক বারেক মজুমদার বলেন, আমাকে অসহায় দেখে গরু দুটি নিয়ে গেছে। ছেলের বিরুদ্ধে পাওনা দেখিয়ে আমার সম্পদ নিয়ে যাওয়ার কোনো নিয়ম নেই।

জলিল প্যাদা এ ঘটনায় গরু নেওয়ার সত্যতা স্বীকার করলেও কোনো প্রমাণ বা কাগজপত্র বৈঠকে উপস্থাপন করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান ফোরকান। তিনি বলেন, পাওনার কথা বললেও কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি।

দুমকি থানার অফিসার ইনচার্জ জাকির হোসেন বলেন, এ বিষয়ে এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে সে অনুযায়ী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow