প্রবাসীদের ভোটাধিকার: পোস্টাল ব্যালটে প্রত্যাশা ও উদ্বেগ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাস থেকে প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগের সংবাদে উচ্ছ্বসিত তরুণ প্রবাসীরা। পোস্টাল ভোট অ্যাপে নিবন্ধনকারী প্রবাসী ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশভিত্তিক পাঁচদিন করে নিবন্ধনের সময় বেধে দিয়েছে ইসি। কুয়েত প্রবাসীরা নিবন্ধনের সময় পাচ্ছেন আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। নিবন্ধনের পরে ব্যালট পেপার আসা এবং ব্যালট পেপার পাঠানো সঠিক স্থানে পৌঁছাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে কুয়েত প্রবাসীদের মাঝে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেক প্রবাসীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। দুই-তিন মাসের জন্য দেশে স্বল্পকালীন ছুটিতে গিয়ে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে করতে সময় শেষ হয়ে যায়। ফলে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রথম ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন অসংখ্য প্রবাসী। যদি কোনো ভোটার শুধু ভোট দিয়ে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যালট পেপার বাংলাদেশে পাঠান সেক্ষেত্রে ওই ভোটটি বাতিল ভোট হিসেবেই গণ্য করবে রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন বলছে, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারদের ভোট আয়োজনে ভোটার প্রতি ইসির খরচ পড়বে ৭০০ টাকা। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সাথে চুক্তিও করেছে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাস থেকে প্রথম ভোটাধিকার প্রয়োগের সংবাদে উচ্ছ্বসিত তরুণ প্রবাসীরা। পোস্টাল ভোট অ্যাপে নিবন্ধনকারী প্রবাসী ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশভিত্তিক পাঁচদিন করে নিবন্ধনের সময় বেধে দিয়েছে ইসি। কুয়েত প্রবাসীরা নিবন্ধনের সময় পাচ্ছেন আগামী ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
নিবন্ধনের পরে ব্যালট পেপার আসা এবং ব্যালট পেপার পাঠানো সঠিক স্থানে পৌঁছাবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে কুয়েত প্রবাসীদের মাঝে। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকায় অনেক প্রবাসীর জাতীয় পরিচয়পত্র নেই। দুই-তিন মাসের জন্য দেশে স্বল্পকালীন ছুটিতে গিয়ে কাগজপত্র সংগ্রহ করতে করতে সময় শেষ হয়ে যায়। ফলে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচনে প্রথম ভোট দেওয়া থেকে বঞ্চিত হবেন অসংখ্য প্রবাসী।
যদি কোনো ভোটার শুধু ভোট দিয়ে ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর ছাড়াই ব্যালট পেপার বাংলাদেশে পাঠান সেক্ষেত্রে ওই ভোটটি বাতিল ভোট হিসেবেই গণ্য করবে রিটার্নিং কর্মকর্তা।
নির্বাচন কমিশন বলছে, পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে প্রবাসী ভোটারদের ভোট আয়োজনে ভোটার প্রতি ইসির খরচ পড়বে ৭০০ টাকা। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এরই মধ্যে বাংলাদেশের ডাক বিভাগের সাথে চুক্তিও করেছে নির্বাচন কমিশন।
ব্যালট পেপার যে খামে পাঠানো হবে তার সঙ্গে থাকবে একটি ঘোষণাপত্র। ব্যালট পেপারে ভোট দেওয়ার পাশাপাশি ওই ঘোষণাপত্রেও স্বাক্ষর করতে হবে ভোটারকে। ভোটার যে নিজে ভোট দিয়েছেন সেটি তিনি ঘোষণাপত্রে উল্লেখ করবেন এবং সেটিতে স্বাক্ষর করবেন। নির্দিষ্ট সময়ে নির্দিষ্ট স্থানে পৌঁছাবে ব্যালট পেপার।
প্রবাসের ঠিকানাসহ যখন একজন ভোটারের নিবন্ধন সম্পন্ন হবে, তিনি বাংলাদেশের যে আসনের ভোটার সেই আসন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ভোটারের তথ্য চলে যাবে। সে অনুযায়ী হবে পৃথক ভোটার তালিকা।
ইসির ধারণা, প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন শেষ হওয়ার চলমান থাকা অবস্থায়ই ঘোষণা হবে আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। তখন প্রবাসী ভোটারদের অপেক্ষা করতে হবে ব্যালট পেপারের জন্য।
প্রযুক্তির কল্যাণ এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেলো চিঠি আদান-প্রদান। অলস সময় পার করছে এক সময়ে ব্যস্ত থাকা পোস্ট অফিসের কর্মকর্তারা। চিঠি আদান-প্রদান বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অচল হয়ে গেছে দেশে-বিদেশে অনেক পোস্ট অফিস।
ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে দেশের পরিবর্তন প্রবাস থেকে প্রবাসীদের প্রথম সঠিক স্থানে সঠিক সময়ে পৌঁছেছে কি না? এছাড়া অ্যাপের মাধ্যমে ভোট প্রক্রিয়া সহজ করার দাবি প্রবাসীদের।
এমআরএম/এমএস
What's Your Reaction?