ফাঁসির রশি গলায় নিয়েছি, কিন্তু দেশ থেকে পালাইনি: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা বলেছিলেন, আমরা পালাই না তারা জানেন না এখন কীভাবে কোথায় গেলেন। আমরা কোনোদিন এটা বলি নাই যে, আমরা পালাই না। তবে রাব্বুল ইজ্জত আমাদের এটুকু মেহেরবানি করেছেন যে, আসলেই আমরা পালাইনি। আমরা ফাঁসির রশি গলায় নিয়েছি, কিন্তু দেশ থেকে পালাইনি। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে রূপসী প্রো একটিভ ভিলেজ রোডে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর সমাবেশটির আয়োজন করে। শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা সংস্কারের দিকে যতবার এগোতে চেয়েছি, কেউ না কেউ আমাদের কোমর ধরে পিছের দিকে টেনে রেখেছে- এটা চাই না, ওইটা চাই না, এটার দরকার নাই, শুধু ইলেকশন। নির্বাচন তো আগেও হয়েছে। এই দেশের মানুষকে কল্যাণ এবং মুক্তি তো দিতে পারেনি। নির্বাচন অবশ্যই প্রয়োজন। তবে নির্বাচনের মতো নির্বাচন প্রয়োজন। পুরোনো স্টাইলে নির্বাচন দিয়ে দেশে কোনো কল্যাণ কেউ দিতে পারবে না। আমরা একটা অর্থবহ নির্বাচন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি- এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে বন্ধ সব সংগঠন, সব প্রার্থী, প্রার্থীর যারা কর্মী, সহ

ফাঁসির রশি গলায় নিয়েছি, কিন্তু দেশ থেকে পালাইনি: জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, যারা বলেছিলেন, আমরা পালাই না তারা জানেন না এখন কীভাবে কোথায় গেলেন। আমরা কোনোদিন এটা বলি নাই যে, আমরা পালাই না। তবে রাব্বুল ইজ্জত আমাদের এটুকু মেহেরবানি করেছেন যে, আসলেই আমরা পালাইনি। আমরা ফাঁসির রশি গলায় নিয়েছি, কিন্তু দেশ থেকে পালাইনি।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে রূপসী প্রো একটিভ ভিলেজ রোডে আয়োজিত এক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর সমাবেশটির আয়োজন করে।

শফিকুর রহমান আরও বলেন, আমরা সংস্কারের দিকে যতবার এগোতে চেয়েছি, কেউ না কেউ আমাদের কোমর ধরে পিছের দিকে টেনে রেখেছে- এটা চাই না, ওইটা চাই না, এটার দরকার নাই, শুধু ইলেকশন। নির্বাচন তো আগেও হয়েছে। এই দেশের মানুষকে কল্যাণ এবং মুক্তি তো দিতে পারেনি। নির্বাচন অবশ্যই প্রয়োজন। তবে নির্বাচনের মতো নির্বাচন প্রয়োজন। পুরোনো স্টাইলে নির্বাচন দিয়ে দেশে কোনো কল্যাণ কেউ দিতে পারবে না।

আমরা একটা অর্থবহ নির্বাচন, একটা সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি- এমনটি জানিয়ে তিনি বলেন, এই ক্ষেত্রে বন্ধ সব সংগঠন, সব প্রার্থী, প্রার্থীর যারা কর্মী, সহযোগী, নেতারা- সবাইকে আমরা অনুরোধ জানাবো, রাজনীতিটা রাজনীতি দিয়ে যেন হয়। রাজনীতিটা যেন নীতি দিয়ে হয়। রাজনীতিতে নেমে আমরা যেন কাদা ছোড়াছুড়ি না করি। আমরা যেন পরিবেশ কেউ নষ্ট না করি। আমরা যেন কেউ গায়ের জোর খাটানোর চেষ্টা না করি, কালো টাকা দিয়ে কেউ মানুষের বিবেক কেনার দুঃসাহস না দেখাই।

জামায়াত আমির বলেন, আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, দুর্নীতি- তোমাকে লাল কার্ড। সন্ত্রাস- তোমাকে একেবারে কালো কার্ড। অবিচার তোমার জায়গা সমাজে হবে না। একটা দুর্নীতিমুক্ত, সামাজিক সুবিচারে পরিপূর্ণ, একটা ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বুক চিতিয়ে যুদ্ধ করা যুবকদের হাতে, তাদের মেধার মূল্যায়ন করে, তাদেরকে দেশ গঠনে কাজে লাগানো- সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে জামায়াত।

ক্ষমতায় গেলে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অঙ্গীকার করেন জামায়াত আমির। এ ছাড়াও দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, সবার জন্য ন্যায়বিচার, ভাঙাচোরা অর্থনীতিকে পুনরায় গড়ার এবং আমূল পরিবর্তন করার অঙ্গীকারও করেন তিনি।

তিনি বলেন, দেশ আমাদের হাতে যদি পড়ে, আমাদের অঙ্গীকার- আমাদের মা, আমাদের বোন, আমাদের জায়া তাদের নিরাপত্তা এবং তাদের সম্মানটুকু আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণে নিশ্চিত করবো, ইনশাআল্লাহ। এটা ঘরে, চলাচলে, কর্মস্থলে সব জায়গায় এটা নিশ্চিত হবে, ইনশাআল্লাহ।

জামায়াত আমির আরও বলেন, মায়েদের ব্যাপারে ভয় দেখানো হয়- জামায়াত ক্ষমতায় আসলে সবাইকে একটা করে কালো চাদর পরাবে, শুধু চোখ খোলা রাখবে। ইসলামের বিধানে চোখ খোলা রাখারও আছে, আবার মুখ খোলা রাখারও নিয়ম আছে। হ্যাঁ, কেউ যদি চোখও না ঢাকেন, মুখও না ঢাকেন- জামায়াতে ইসলামী কাউকে জোর করে বলবে না। এই কল্যাণ রাষ্ট্রের সৌন্দর্য উপলব্ধি করে। আলহামদুলিল্লাহ, আগ্রহী হয়ে নারীরাই তারা সৌন্দর্যের শালীন পোশাক কবুল করে নেবেন, ইনশাআল্লাহ।

আরএএস/এএমএ

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow