বদলি আদেশ অমান্য: যুগ্ম কমিশনার লুৎফুল কবির চাকরিচ্যুত
কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকা, বদলি আদেশ অমান্য, ব্যাকডেট দিয়ে ছুটির আবেদন গ্রহণ করানোসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. লুৎফুল কবিরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে ইস্যু করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবরের আদেশে মো. লুৎফুল কবিরকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ) থেকে যশোরে বদলি করা হয়। একই দিনে ঢাকা (দক্ষিণ) কমিশনারেট তাকে অবমুক্তও করে। তবে তিনি আদেশ অমান্য করে যশোরে যোগদান না করে অদ্যাবধি অনুপস্থিত থাকেন। এরপর তিনি ছুটির আবেদন করলেও বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যাকডেট দিয়ে অধীনস্থ কর্মচারীর মাধ্যমে তা রেজিস্টারে রিসিভ করান। ছুটি অনুমোদিত না হওয়া সত্ত্বেও তিনি কর্মস্থলে ফেরেননি। ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ২(খ)(অ) ও ২(চ) অনুযায়ী আদেশ অমান্য ও ৬০ দিনের বেশি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণ করা হয়। এ জন্য ২০২৫ সালের ২ মার্চ তাকে
কর্মস্থলে যোগ না দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অননুমোদিতভাবে অনুপস্থিত থাকা, বদলি আদেশ অমান্য, ব্যাকডেট দিয়ে ছুটির আবেদন গ্রহণ করানোসহ একাধিক গুরুতর অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কাস্টমসের যুগ্ম কমিশনার মো. লুৎফুল কবিরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে ইস্যু করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ২০২৪ সালের ২৮ অক্টোবরের আদেশে মো. লুৎফুল কবিরকে কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনারেট ঢাকা (দক্ষিণ) থেকে যশোরে বদলি করা হয়। একই দিনে ঢাকা (দক্ষিণ) কমিশনারেট তাকে অবমুক্তও করে। তবে তিনি আদেশ অমান্য করে যশোরে যোগদান না করে অদ্যাবধি অনুপস্থিত থাকেন।
এরপর তিনি ছুটির আবেদন করলেও বিধিবহির্ভূতভাবে ব্যাকডেট দিয়ে অধীনস্থ কর্মচারীর মাধ্যমে তা রেজিস্টারে রিসিভ করান। ছুটি অনুমোদিত না হওয়া সত্ত্বেও তিনি কর্মস্থলে ফেরেননি। ফলে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর বিধি ২(খ)(অ) ও ২(চ) অনুযায়ী আদেশ অমান্য ও ৬০ দিনের বেশি কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা গ্রহণ করা হয়। এ জন্য ২০২৫ সালের ২ মার্চ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, অভিযোগনামা প্রেরণের পর লুৎফুল কবির লিখিত জবাব দেন ও ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নেন। পরে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পান মূসক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের কমিশনার মোহাম্মদ আকবর হোসেন। তদন্ত কর্মকর্তা ১৫ জুন ২০২৫ দাখিলকৃত প্রতিবেদনে অনুযায়ী অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় কর্তৃপক্ষ গুরুদণ্ড আরোপের সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিতীয় কারণ দর্শানো নোটিশ দেয়। তিনি জবাব দিলেও তা ‘অসন্তোষজনক’ বিবেচিত হয়।
পরবর্তীতে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) মতামত ও সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র যাচাই-বাছাই শেষে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সুপারিশ করা হয়। মো. লুৎফুল কবিরকে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮-এর ৪(৩)(ঘ) বিধি অনুযায়ী ‘চাকরি হতে বরখাস্তকরণ’ সূচক গুরুদণ্ড প্রদান করা হয়।
এসএম/কেএএ/
What's Your Reaction?