‘বাবাকে গ্রেফতারের পর নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর নিতেন খালেদা জিয়া’
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দুঃশাসনামলে যখন আমার শহীদ বাবাকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত আমাদের পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। তিনি প্রায়ই আমাদের তার বাসায়-অফিসে ডেকে নিতেন ও আন্তরিকভাবে সান্ত্বনা-সাহস দিতেন। বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দেওয়া বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন। মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ৯০’র গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যেকটি পর্বে বেগম জিয়ার দৃঢ়তা, দেশপ্রেম ও নেতৃত্ব জাতীয় জীবনে গভীর প্রভাব রেখেছে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বহু প্রজন্ম তাকে দেখেছে সাহস, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতীক হিসেবে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে খালেদা জিয়া কয়েক দশক ধরে অবিচল ভূমিকা পালন করেছেন। ফ
মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে ও পিরোজপুর-১ আসনের জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, স্বৈরাচার শেখ হাসিনার দুঃশাসনামলে যখন আমার শহীদ বাবাকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া নিয়মিত আমাদের পরিবারের খোঁজখবর নিতেন। তিনি প্রায়ই আমাদের তার বাসায়-অফিসে ডেকে নিতেন ও আন্তরিকভাবে সান্ত্বনা-সাহস দিতেন।
বিএনপি চেয়ারপারসন ও তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দেওয়া বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
মাসুদ সাঈদী বলেন, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় বেগম খালেদা জিয়ার দীর্ঘ অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। ৯০’র গণঅভ্যুত্থান ও পরবর্তী সময়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রত্যেকটি পর্বে বেগম জিয়ার দৃঢ়তা, দেশপ্রেম ও নেতৃত্ব জাতীয় জীবনে গভীর প্রভাব রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বহু প্রজন্ম তাকে দেখেছে সাহস, সহনশীলতা ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতীক হিসেবে। দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষার আন্দোলনে খালেদা জিয়া কয়েক দশক ধরে অবিচল ভূমিকা পালন করেছেন। ফ্যাসিবাদী হাসিনার নির্যাতন, মিথ্যা মামলার পরিক্রমা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার ভয়াবহতার মাঝেও তার অটল মনোবল ও আপসহীন অবস্থান বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মাসুদ সাঈদী আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কেবল একজন রাজনৈতিক অভিভাবকই ছিলেন না বরং আমাদের পারিবারিক জীবনের সুখ-দুঃখেরও আপনজন ছিলেন। আমার ছোট ভাই নাসিম সাঈদীর বিবাহ অনুষ্ঠানে এবং বড় ভাই রাফীক বিন সাঈদীর কন্যার বিয়েতেও বেগম খালেদা জিয়ার সশরীরে উপস্থিতি হয়েছিলেন।
তিনি বলেন, আমার শহীদ পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বেগম খালেদা জিয়া অকৃত্রিম শ্রদ্ধা করতেন ও একই সাথে আল্লামা সাঈদীও তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধাশীল ছিলেন। আমরা নানা মতে বিভিন্ন দলে বিভক্ত থাকতে পারি কিন্তু বেগম খালেদা জিয়ার প্রশ্নে আমাদের কোনো বিভেদ নেই। তিনি দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ গঠনের রাজনীতি করেছেন। ভারতের পরিকল্পনায় তাদেরই সেবাদাস আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় ২০১৩ সালে শাহবাগে ইসলামবিদ্বেষী ষড়যন্ত্র বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যাখ্যান করেছিলেন, বিপরীতে তিনি শাপলা চত্বরের ইসলাম প্রিয় জনতার পাশে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, জালিমের কারাগারে বন্দি দেশবরেণ্য আলেম ও আধিপত্যবাদ বিরোধী রাজনৈতিক নেতাদের মুক্তির দাবিতে তার আপসহীন অবস্থান ছিল বিরল সাহসের দৃষ্টান্ত। তিনি আলেমদের অসম্ভব রকম শ্রদ্ধা করতেন এবং সকল ঘরানার আলেমও তার নেতৃত্বের জোটে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। বাংলাদেশে রাজনৈতিক সহাবস্থান, নাগরিক অধিকার ও জাতীয় সার্বভৌমত্বের সংগ্রামে তার অবদান যুগ যুগ ধরে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে।
বেগম খালেদা জিয়ার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মাসুদ সাঈদী বলেন, মহান রাব্বুল আলামিন যেন বেগম খালেদা জিয়াকে জান্নাতুল ফেরদৌসের মেহমান হিসেবে কবুল করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবার ও রাজনৈতিক সহযোদ্ধাদের এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি দান করেন।
মো. তরিকুল ইসলাম/এমএন/এমএস
What's Your Reaction?