বিদেশ থেকে নির্দেশ, যুবদল নেতা হত্যায় জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া (৪৭) হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান ওরফে মামুনের নাম উঠে এসেছে। মালয়েশিয়াপ্রবাসী মামুন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তদন্তে প্রাথমিক ধারণা করছে পুলিশ। গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরের বি ব্লকে ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ দোকানে হেলমেট–পরিহিত তিন সন্ত্রাসী ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে যুবদল পল্লবী থানা কমিটির সদস্যসচিব কিবরিয়াকে হত্যা করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশা চালাতে দেরি হওয়ায় চালক আরিফ হোসেনকেও গুলি করে আহত করে তারা। রক্তাক্ত অবস্থায় কিবরিয়াকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে জনি ভূঁইয়া (২৫) নামে এক অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরদিন মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দীনা পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে জনি, মনির হোসেন ওরফে পাতা সোহেল, সোহাগ ওরফে কা

বিদেশ থেকে নির্দেশ, যুবদল নেতা হত্যায় জানা গেল চাঞ্চল্যকর তথ্য

ঢাকার মিরপুরের পল্লবীতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়া (৪৭) হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মফিজুর রহমান ওরফে মামুনের নাম উঠে এসেছে। মালয়েশিয়াপ্রবাসী মামুন এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও লেনদেন নিয়ে বিরোধের জেরে ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের দিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে তদন্তে প্রাথমিক ধারণা করছে পুলিশ।

গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে মিরপুর ১২ নম্বরের বি ব্লকে ‘বিক্রমপুর হার্ডওয়্যার অ্যান্ড স্যানিটারি’ দোকানে হেলমেট–পরিহিত তিন সন্ত্রাসী ঢুকে খুব কাছ থেকে গুলি করে যুবদল পল্লবী থানা কমিটির সদস্যসচিব কিবরিয়াকে হত্যা করে। পালিয়ে যাওয়ার সময় অটোরিকশা চালাতে দেরি হওয়ায় চালক আরিফ হোসেনকেও গুলি করে আহত করে তারা।

রক্তাক্ত অবস্থায় কিবরিয়াকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে জনি ভূঁইয়া (২৫) নামে এক অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

পরদিন মঙ্গলবার নিহতের স্ত্রী সাবিহা আক্তার দীনা পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও সাত-আটজনকে আসামি করে পল্লবী থানায় মামলা করেন। আসামিদের মধ্যে জনি, মনির হোসেন ওরফে পাতা সোহেল, সোহাগ ওরফে কালু, মাসুম ওরফে ভাগিনা মাসুম এবং রোকন রয়েছেন।

তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পলাতক সন্ত্রাসী মামুন মালয়েশিয়ায় এবং তার ভাই মশিউর ওরফে মশি ভারতে অবস্থান করছেন। চাঁদাবাজি, খুন, মাদক ও ডাকাতিসহ মামুনের বিরুদ্ধে পল্লবী থানায় মোট ২৭টি মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৫টি গ্রেফতারি পরোয়ানা ও ২টি সাজা পরোয়ানাও আছে। ২০২১ সালে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত মামুনকে গ্রেপ্তার করা হলেও পরে জামিনে মুক্তি পেয়ে বিদেশে পালিয়ে যান।

পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি এলাকায় আধিপত্য ও মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কিবরিয়ার সঙ্গে মামুনের বিরোধ তীব্র আকার ধারণ করে। কিবরিয়া ‘দাবি অনুযায়ী সহযোগিতা’ না করায় মামুন ক্ষুব্ধ হয়ে ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে হত্যার পরিকল্পনা করেন।

মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান বলেন, আটক জনি প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন। হত্যার নেপথ্যে থাকা ব্যক্তি ও কারণও শনাক্ত করা হয়েছে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow