ইয়ানসেনের ছয় উইকেটে বিপদে ভারত

টেস্ট ক্রিকেটে চাপ সামলানোর ক্ষমতা যে মুহূর্তেই পাল্টে যেতে পারে—কেপটাউনে তারই নিখুঁত উদাহরণ দিলেন মার্কো ইয়ানসেন। ব্যাট হাতে আগের দিন দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার পর তৃতীয় দিনে বল হাতে ছয় উইকেটের ঝড় তুললেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেস-অলরাউন্ডার। তার বিধ্বংসী স্পেলে মাত্র ২০১ রানে গুটিয়ে গেল ভারত, আর ম্যাচের লাগাম শক্তভাবে ধরে ফেলল প্রোটিয়ারা। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৮৯ রান তাড়া করতে নেমে জুটিতে ভালো শুরু করে ভারত। যশস্বী জয়সওয়াল (৫৮) ও লোকেশ রাহুল শান্ত ইনিংসে তুলেছিলেন ৬৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। কিন্তু সেই দৃঢ়তা টিকে থাকেনি বেশিক্ষণ। কেশব মহারাজ ও সায়মন হারমারের স্পিন সামলে ওঠার আগেই জ্যানসেনের গতি ও বাউন্সে ধসে পড়ে মিডল অর্ডার। ৬৫/০ থেকে ১০২/৪—এরপর শুরু হয় প্রকৃত পতন। ঋষভ পান্ত, ধ্রুভ জুরেল, নীতিশ রেড্ডি—কেউই পারেননি ইয়ানসেনের ছোট লেন্থ আর নিশ্ছিদ্র লাইন সামলাতে। ১২২/৭ অবস্থায় একমাত্র রোখার চেষ্টা আসে ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদবের জুটিতে। ২০০ বলের বেশি স্থায়ী এই জুটি এনে দেয় কিছুটা স্থিরতা। সুন্দর ৪৮ করে আউট হন, কুলদীপ ১৩৪ বল লড়াই করে করেন ১৯। শেষ পর্যন্ত ইয়ানসেন ৬-৪৮ নিয়ে ভা

ইয়ানসেনের ছয় উইকেটে বিপদে ভারত

টেস্ট ক্রিকেটে চাপ সামলানোর ক্ষমতা যে মুহূর্তেই পাল্টে যেতে পারে—কেপটাউনে তারই নিখুঁত উদাহরণ দিলেন মার্কো ইয়ানসেন। ব্যাট হাতে আগের দিন দলকে বিপর্যয় থেকে টেনে তোলার পর তৃতীয় দিনে বল হাতে ছয় উইকেটের ঝড় তুললেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান পেস-অলরাউন্ডার। তার বিধ্বংসী স্পেলে মাত্র ২০১ রানে গুটিয়ে গেল ভারত, আর ম্যাচের লাগাম শক্তভাবে ধরে ফেলল প্রোটিয়ারা।

প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার ৪৮৯ রান তাড়া করতে নেমে জুটিতে ভালো শুরু করে ভারত। যশস্বী জয়সওয়াল (৫৮) ও লোকেশ রাহুল শান্ত ইনিংসে তুলেছিলেন ৬৫ রানের ওপেনিং পার্টনারশিপ। কিন্তু সেই দৃঢ়তা টিকে থাকেনি বেশিক্ষণ। কেশব মহারাজ ও সায়মন হারমারের স্পিন সামলে ওঠার আগেই জ্যানসেনের গতি ও বাউন্সে ধসে পড়ে মিডল অর্ডার।

৬৫/০ থেকে ১০২/৪—এরপর শুরু হয় প্রকৃত পতন। ঋষভ পান্ত, ধ্রুভ জুরেল, নীতিশ রেড্ডি—কেউই পারেননি ইয়ানসেনের ছোট লেন্থ আর নিশ্ছিদ্র লাইন সামলাতে। ১২২/৭ অবস্থায় একমাত্র রোখার চেষ্টা আসে ওয়াশিংটন সুন্দর ও কুলদীপ যাদবের জুটিতে। ২০০ বলের বেশি স্থায়ী এই জুটি এনে দেয় কিছুটা স্থিরতা। সুন্দর ৪৮ করে আউট হন, কুলদীপ ১৩৪ বল লড়াই করে করেন ১৯। শেষ পর্যন্ত ইয়ানসেন ৬-৪৮ নিয়ে ভারতের লেজ মুড়িয়ে দেন।

ভারতকে ২৮৮ রানের বিশাল লিডে থামিয়ে ফলোঅন না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন টেম্বা বাভুমা। দ্বিতীয় ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ওপেনার রায়ান রিকেলটন ও আইডেন মার্করাম শুরু থেকে ইতিবাচক ব্যাটিংয়ে দিন শেষ করেন ২৬/০–তে। লিড তখন ৩১৪ রানের।

সিরিজ ২-০ ব্যবধানে শেষ করার সব সম্ভাবনা এখনই দক্ষিণ আফ্রিকার দিকে ঝুঁকে পড়েছে। ভারতের সামনে বাকি দুই দিনে প্রত্যাবর্তনের পাহাড়সম চ্যালেঞ্জ।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow