বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ১০ শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ 

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের একটি স্বর্ণালি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতার কারণে। দীর্ঘ এক দশক পর আয়োজিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা, ফলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়। অভিযোগ রয়েছে, বৃত্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত সরকারি পত্র সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছালেও প্রধান শিক্ষক বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা কোনোভাবেই এ বিষয়টি অভিভাবক বা শিক্ষার্থীদের জানাননি। এমনকি নোটিশ বোর্ডে বা শ্রেণিকক্ষে কোনো প্রকার ঘোষণাও দেওয়া হয়নি। এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহমুদা আক্তার শিল্পী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি শেষ মুহূর্তে প্রধান শিক্ষককে ফোন করলে তাকে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গাইবা

বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অবহেলায় ১০ শিক্ষার্থীর স্বপ্নভঙ্গ 

গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ১০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবনের একটি স্বর্ণালি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলা ও ব্যবস্থাপনাগত ব্যর্থতার কারণে। দীর্ঘ এক দশক পর আয়োজিত প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ থেকে বঞ্চিত হয়েছে তারা, ফলে শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ও তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

ঘটনার সূত্রপাত হয় যখন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নির্ধারিত ২০ থেকে ২৩ অক্টোবর তারিখের মধ্যে শিক্ষার্থীদের অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে ব্যর্থ হয়। অভিযোগ রয়েছে, বৃত্তি পরীক্ষা-সংক্রান্ত সরকারি পত্র সময়মতো বিদ্যালয়ে পৌঁছালেও প্রধান শিক্ষক বা সংশ্লিষ্ট শিক্ষকরা কোনোভাবেই এ বিষয়টি অভিভাবক বা শিক্ষার্থীদের জানাননি। এমনকি নোটিশ বোর্ডে বা শ্রেণিকক্ষে কোনো প্রকার ঘোষণাও দেওয়া হয়নি।

এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক মাহমুদা আক্তার শিল্পী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, তিনি শেষ মুহূর্তে প্রধান শিক্ষককে ফোন করলে তাকে রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেওয়া হলেও বাস্তবে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে তিনি গাইবান্ধার জেলা শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

আরেক অভিভাবক আব্দুল মালেকের বক্তব্য, ‘বৃত্তি পরীক্ষার জন্য আমাদের মেয়েরা মাসের পর মাস অতিরিক্ত মেহনত করেছে, কোচিং করেছে, নতুন বই কিনেছে। কিন্তু বিদ্যালয়ের একটিমাত্র অব্যবস্থাপনা তাদের সমস্ত পরিশ্রমকে ম্লান করে দিয়েছে। এই ব্যর্থতার জন্য কর্তৃপক্ষকেই জবাবদিহি করতে হবে।’

বঞ্চিত শিক্ষার্থী জান্নাতীর আকুতি, ‘আমরা কী করে জানব রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে? আগে কোনো নোটিশ হলে ক্লাসরুমেই শোনানো হতো। এবার তাও করা হয়নি। খুবই কষ্ট লাগছে।’

মুশফিরাত, জিসা, তানসির, রোশনি, আরোবী, ইমা ও রুমাইয়াসহ অন্যরাও একই ধরনের অভিযোগ জানায়।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমি অফিস সহকারীকে নোটিশ দিতে বলেছিলাম, কিন্তু সে তা দেয়নি। নিবন্ধনের সময়সীমাও খুব কম ছিল। আমি বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছি।’

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি আব্দুস সালাম শেখ প্রধান শিক্ষকের ভুল স্বীকার করার পাশাপাশি বলেন, ‘সময়মতো অভিভাবকদের ফোন করলেই বিষয়টি সামাল দেওয়া যেত। এখানে স্পষ্টতই গাফিলতি হয়েছে।’

গাইবান্ধা জেলা শিক্ষা অফিসার আতাউর রহমান অভিভাবকের দেওয়া অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। অন্যদিকে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম চৌধুরী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নিবন্ধনের সময়সীমা শেষ হয়ে যাওয়ায় এখন আর কোনোভাবেই এই শিক্ষার্থীদের জন্য রেজিস্ট্রেশন খোলা সম্ভব নয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow