কে হবেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান, পরিস্কার করলেন আইনজীবী

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের ঐতিহাসিক রায়ের পর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাখ্যা দিয়েছেন আপিলকারী জামায়াতে ইসলামীর জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শিশির মনির। তিনি জানান, সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরে এলেও বর্তমান সরকারের ‘ফর্মেশন’ অনুযায়ী সবশেষ অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতিই হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান। কিন্তু এটা বর্তমানে কার্যকর হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণার পর সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “জুলাই সনদ যেটা গণভোটে পাঠানো হচ্ছে, সেটা পাস হলে এবং নতুন সংসদের সংবিধান সংস্কার সভায় তা গৃহীত হলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফরম্যাটে বড় পরিবর্তন আসতে পারে। সবকিছু নির্ভর করছে গণভোটে জুলাই সনদ পাস হয় কি না।”

এর আগে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায়কে অবৈধ ঘোষণা করে, একইসঙ্গে ত্রয়োদশ সংশোধনী বৈধ ঘোষণা করে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করেন।

শিশির মনির আরও বলেন “আজকের রায়ের পর সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিরে এসেছে। তবে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে। চতুর্দশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার কার্যকর হবে। সংসদ ভেঙে দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে।”

এর আগে সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে বলা হয়েছে—তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল হলেও আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। আর চতুর্দশ সংসদ নির্বাচন থেকে নতুন তত্ত্বাবধায়ক মডেল কার্যকর হবে।