বিসিএস প্রার্থীদের জীবন থেকে ৩-৪ বছর হারিয়ে যেতে দিতে চাই না

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে কিছু প্রার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখেও ‘অনড়’ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বরই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। চাকরিপ্রার্থীদের এত আন্দোলনের পরও কেন দাবি বিবেচনা করা হয়নি, তা নিয়ে কথা বলেছেন পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম। তিনি বলেন, ‘আমরা চাকরিপ্রার্থীদের জীবন থেকে তিন-চারটা বছর আর হারিয়ে দিতে চাই না। বিজ্ঞপ্তির পর দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করতে চাই। এজন্য রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পথ ধরেই আমরা এগোচ্ছি। ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা হচ্ছে। অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘বিসিএসের জট কমানোই পিএসসির প্রধান লক্ষ্য। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ৪৭তম বিসিএসের রোডম্যাপও অনেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। যখন লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়েছিল, তখন থেকে ৬ মাস সময় প্রার্থীরা পেয়েছেন। হঠাৎ করে যে আমরা পরীক্ষার তারিখ দিয়েছি, বিষয়টি মোটেও তেমন নয়।’ জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৪৭তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৪৪ জন প্রার্থী। তারাই লিখিত প

বিসিএস প্রার্থীদের জীবন থেকে ৩-৪ বছর হারিয়ে যেতে দিতে চাই না

৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষা পেছানোর দাবিতে কিছু প্রার্থীদের টানা আন্দোলনের মুখেও ‘অনড়’ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি)। পূর্বঘোষণা অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বরই এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

চাকরিপ্রার্থীদের এত আন্দোলনের পরও কেন দাবি বিবেচনা করা হয়নি, তা নিয়ে কথা বলেছেন পিএসসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাকরিপ্রার্থীদের জীবন থেকে তিন-চারটা বছর আর হারিয়ে দিতে চাই না। বিজ্ঞপ্তির পর দ্রুত পরীক্ষা নিয়ে দ্রুত চূড়ান্ত নিয়োগের সুপারিশ করতে চাই। এজন্য রোডম্যাপ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই পথ ধরেই আমরা এগোচ্ছি। ৪৭তম বিসিএসের লিখিত পরীক্ষাও নির্ধারিত সময়ে আয়োজন করা হচ্ছে।

অধ্যাপক মোবাশ্বের মোনেম বলেন, ‘বিসিএসের জট কমানোই পিএসসির প্রধান লক্ষ্য। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। ৪৭তম বিসিএসের রোডম্যাপও অনেক আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। যখন লিখিত পরীক্ষার তারিখ জানানো হয়েছিল, তখন থেকে ৬ মাস সময় প্রার্থীরা পেয়েছেন। হঠাৎ করে যে আমরা পরীক্ষার তারিখ দিয়েছি, বিষয়টি মোটেও তেমন নয়।’

জানা যায়, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ৪৭তম বিসিএসের প্রিলির ফল প্রকাশ করা হয়। এতে সাময়িকভাবে উত্তীর্ণ হন ১০ হাজার ৬৪৪ জন প্রার্থী। তারাই লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন। ২৬ অক্টোবর লিখিত পরীক্ষার পূর্ণাঙ্গ সূচি প্রকাশ করে পিএসসি। তাতে বলা হয়, ঢাকাসহ আটটি বিভাগীয় শহরে আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে লিখিত পরীক্ষা শুরু হবে, যা চলবে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত।

আরও পড়ুন
লিখিত পরীক্ষা পেছাতে আন্দোলনে ‘নতুন প্রার্থীরা’, সাড়া নেই পিএসসির

তবে এ পরীক্ষা পিছিয়ে ‘যৌক্তিক সময়ে’ নেওয়ার দাবিতে প্রায় এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন কিছু চাকরিপ্রার্থী। পিএসসির সামনে বিক্ষোভ-অবস্থানের পর তাদের কর্মসূচি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। খুলনা, রাজশাহী, ময়মনসিংহে প্রার্থীরা রেলপথ অবরোধ করেছেন। এতে কোথাও কোথাও টানা ৬-৭ ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

প্রার্থীদের মধ্যে আন্দোলনকারী অংশটি বলছে, বিগত বিসিএসগুলোতে প্রিলিমিনারি পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর অন্তত ছয় মাস প্রস্তুতির জন্য সময় পেয়েছেন প্রার্থীরা। অথচ এবার মাত্র ৬০ দিনের মধ্যে লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে। এ কারণে তাদের প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়েছে।

প্রার্থীদের আরেকটি অংশের দাবি, প্রিলিতে উত্তীর্ণদের মধ্যে স্বল্পসংখ্যক প্রার্থী রয়েছেন, যারা আগে লিখিত পরীক্ষা পর্যন্ত যাওয়ার সুযোগ পাননি। এবার প্রিলিতে উত্তীর্ণ হয়েই তারা লিখিত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে বসেছেন। কিন্তু প্রস্তুতি ঠিকমতো নিতে পারেননি। এমন পরিস্থিতিতে আন্দোলনে নেমেছেন অল্পকিছু পরীক্ষার্থী। তবে প্রার্থীদের মধ্যে বড় অংশেই চান ২৭ নভেম্বরই পরীক্ষা শুরু করা হোক।

এদিকে, লিখিত পরীক্ষা ২৭ নভেম্বরই অনুষ্ঠানের সব প্রস্তুতি শেষ করেছে পিএসসি। এখন এ পরীক্ষা আর পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন পিএসসির কর্মকর্তারা।

পিএসসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এস এম মতিউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘২৭ নভেম্বর থেকে ঘোষিত সমযসূচি অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা হবে।’

অন্যদিকে পিএসসি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার লিখিত পরীক্ষা শুরুর তারিখ গত ৩ জুনেই নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছিল। অর্থাৎ প্রায় ছয় মাস আগেই ৪৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রার্থীরা লিখিত পরীক্ষা শুরুর তারিখ সম্পর্কে অবহিত ছিলেন। সুতরাং, লিখিত পরীক্ষার জন্য মাত্র দুই মাস সময় দেওয়া হয়েছে বলে প্রচারিত তথ্য মোটেই সঠিক নয়।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, লিখিত পরীক্ষার ঘোষিত সময়সূচি অনুযায়ী যথাসময়ে যেন পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় বহু প্রার্থীর এমন দাবি সম্পর্কেও কমিশন অবহিত। কমিশন মনে করে যে, বিসিএস পরীক্ষার প্রস্তুতি একজন প্রার্থীর গোটা শিক্ষাজীবনের পাঠাভ্যাসের সঙ্গে অন্তর্গতভাবে সম্পৃক্ত এবং এ পরীক্ষার প্রস্তুতিকাল কোনোভাবেই পরীক্ষার আগের দুই থেকে চার মাস নয়।

এএএইচ/ইএ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow