বেওয়ারিশ কুকুরের প্রতি সামিনের ‘অদ্ভুত’ ভালোবাসা
১০ বছরের শিশু সাইহান সামিন। এ বয়সে যার কুকুর দেখলে ভয়ে কাঁপার কথা। কিংবা কুকুরকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই সামিনের কাছেই সবচেয়ে নিরাপদ কুকুর। কেবল পোষা কুকুরই নয়, রাস্তার বেওয়ারশি কুকুরের ঠাঁই মিলে সামিনের বাড়িতে। আর সামিন পরম যত্নে পুষে।
যে সমাজে নিরীহ কুকুরছানাকে হত্যার মতো নির্মম ঘটনা ঘটছে, সেখানে সামিনের কুকুরের প্রতি ভালোবাসা অনেকটা বিরল। সামিন সিলেটের সাংবাদিক দম্পতি সাদিকুর রহমান সাকি ও সুবর্ণা হামিদের দ্বিতীয় সন্তান।
সিলেট নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার গোয়াইটুলায় সামিনদের বাসা। সেখানে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে গেটে সতর্কতামূলক লেখা ‘কুকুর হতে সাবধান’। যত ভেতরে পা রাখবেন; ততই বিস্মিত হবেন। চোখের সামনে ভেসে উঠবে অনন্য এক কুকুরের জগত। কোনোটা খুশিতে ল্যাজ নাড়ছে তো, অন্যটি ছুটে এসে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। আবার কেউ চোখে মায়া নিয়ে তাকিয়ে। প্রতিটি কুকুরের আলাদা নাম, আলাদা আচরণ ও আলাদা গল্প আছে। টারজান, কাল্লু, চিংকু, লাল্লি, বল্টু—সবাই যেন সাইহান সামিনের পরিবারের সদস্য।
সামিনের বাবা-মা জানান, বছর কয়েক আগে ছোট্ট সামিন বাড়ির সামনের রাস্তায় ৩টি বাচ্চা কুকুর দেখতে পায়। নাম দেয়—
১০ বছরের শিশু সাইহান সামিন। এ বয়সে যার কুকুর দেখলে ভয়ে কাঁপার কথা। কিংবা কুকুরকে তাড়িয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু সেই সামিনের কাছেই সবচেয়ে নিরাপদ কুকুর। কেবল পোষা কুকুরই নয়, রাস্তার বেওয়ারশি কুকুরের ঠাঁই মিলে সামিনের বাড়িতে। আর সামিন পরম যত্নে পুষে।
যে সমাজে নিরীহ কুকুরছানাকে হত্যার মতো নির্মম ঘটনা ঘটছে, সেখানে সামিনের কুকুরের প্রতি ভালোবাসা অনেকটা বিরল। সামিন সিলেটের সাংবাদিক দম্পতি সাদিকুর রহমান সাকি ও সুবর্ণা হামিদের দ্বিতীয় সন্তান।
সিলেট নগরীর আম্বরখানা বড়বাজার এলাকার গোয়াইটুলায় সামিনদের বাসা। সেখানে ঢুকতেই প্রথমে চোখে পড়বে গেটে সতর্কতামূলক লেখা ‘কুকুর হতে সাবধান’। যত ভেতরে পা রাখবেন; ততই বিস্মিত হবেন। চোখের সামনে ভেসে উঠবে অনন্য এক কুকুরের জগত। কোনোটা খুশিতে ল্যাজ নাড়ছে তো, অন্যটি ছুটে এসে অভ্যর্থনা জানাচ্ছে। আবার কেউ চোখে মায়া নিয়ে তাকিয়ে। প্রতিটি কুকুরের আলাদা নাম, আলাদা আচরণ ও আলাদা গল্প আছে। টারজান, কাল্লু, চিংকু, লাল্লি, বল্টু—সবাই যেন সাইহান সামিনের পরিবারের সদস্য।
সামিনের বাবা-মা জানান, বছর কয়েক আগে ছোট্ট সামিন বাড়ির সামনের রাস্তায় ৩টি বাচ্চা কুকুর দেখতে পায়। নাম দেয়—লালু, কালু ও ডন। প্রতিদিন খাবার দিয়ে, কোলে করে, সময় দিয়ে তাদের বড় করতে করতে একসময় সংখ্যাটি ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। কেউ অসুস্থ ছিল, কেউ ফেলে যাওয়া, কেউ গাড়ির ধাক্কা খেয়ে আহত— সবাইকে আশ্রয় দিয়েছে সামিন। আজ সেই সংখ্যা অর্ধশতাধিক।
ছোট্ট সামিন কালবেলাকে বলেন, ‘ওরা কথা বলতে পারে না, তাই ওদের জন্য আমার মন কাঁদে। সবাই ওদের ভয় পায়, কেউ মারধরও করে। কিন্তু ওরা আমার কাছে পরিবার।’ কথা বলতে বলতে সামিনের চোখে এসব প্রাণীদের জন্য এক অদ্ভুত মমতার ঝিলিক দেখা গেলো।
সামিনের এমন উদ্যোগে বেশ গর্বিত বাবা সাদিকুর রহমান সাকী। তিনি বলেন, ‘ওর ছোটোবেলা থেকেই প্রাণীদের প্রতি বেজায় মায়া। আমরা প্রথমে ভয় পেয়েছিলাম। এতগুলো কুকুর ছোট সামিন সামলাবে কীভাবে? কিন্তু দেখলাম প্রতিদিন সময় দিয়ে, খাওয়ানো থেকে সেবা—সবই ও করার চেষ্টা করে। আমরা শুধু ওকে সহযোগিতা করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকের সমাজে যেখানে আমরা মানুষের মধ্যেও নিষ্ঠুরতা দেখি, সেখানে আমার ছেলের প্রাণীদের প্রতি এই ভালোবাসা আমাদের জানিয়ে দেয় এখনো পৃথিবীতে মানবতা-মায়া মমতা ফুরিয়ে যায়নি।’