ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের চুক্তিতে শুরু হচ্ছে ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স
বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে পরিবেশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুশাসন (ইএসজি) নিয়ে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চালু হতে যাচ্ছে একটি নতুন ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স। এ উপলক্ষে রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্ট একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ইএসজি মানে পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসন - এগুলো মিলিয়েই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব কতটা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করছে, তা বোঝা যায়। সাধারণত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হলেও গ্রাহক, কর্মী, সরবরাহকারী- সবার ক্ষেত্রেই এর গুরুত্ব বাড়ছে। এই কোর্সের লক্ষ্য হলো পেশাজীবী ও নতুন গ্র্যাজুয়েটদের এমন জ্ঞান দেওয়া, যা তাদের টেকসই ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ইএসজি বুঝে নিজের ব্যবসায় প্রয়োগ করতে উৎসাহিত করবে, যাতে তারা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে এবং সব স্টেকহোল্ডারের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে। কোর্সটিতে থাকবে- ইএসজি ফ্রেমওয়ার্ক, রিপোর্টিং, মাপজোখ, অর্থায়ন এবং বিভিন্ন শিল্পের কেস স্টাডি। তৈরি পোশাক কারখান
বাংলাদেশের রপ্তানিমুখী শিল্প, বিশেষ করে তৈরি পোশাক খাতে পরিবেশ, সামাজিক দায়বদ্ধতা ও সুশাসন (ইএসজি) নিয়ে দক্ষ জনবল তৈরির জন্য ব্র্যাক ইউনিভার্সিটিতে চালু হতে যাচ্ছে একটি নতুন ইএসজি সার্টিফিকেট কোর্স। এ উপলক্ষে রোববার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির মেরুল বাড্ডা ক্যাম্পাসে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্ট একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে।
ইএসজি মানে পরিবেশ, সমাজ ও সুশাসন - এগুলো মিলিয়েই প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের সামাজিক ও পরিবেশগত প্রভাব কতটা দায়িত্বশীলভাবে পরিচালনা করছে, তা বোঝা যায়। সাধারণত বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এটি ব্যবহৃত হলেও গ্রাহক, কর্মী, সরবরাহকারী- সবার ক্ষেত্রেই এর গুরুত্ব বাড়ছে।
এই কোর্সের লক্ষ্য হলো পেশাজীবী ও নতুন গ্র্যাজুয়েটদের এমন জ্ঞান দেওয়া, যা তাদের টেকসই ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করবে। একই সাথে প্রতিষ্ঠানগুলোকেও ইএসজি বুঝে নিজের ব্যবসায় প্রয়োগ করতে উৎসাহিত করবে, যাতে তারা টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে পারে এবং সব স্টেকহোল্ডারের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।
কোর্সটিতে থাকবে- ইএসজি ফ্রেমওয়ার্ক, রিপোর্টিং, মাপজোখ, অর্থায়ন এবং বিভিন্ন শিল্পের কেস স্টাডি। তৈরি পোশাক কারখানার কমপ্লায়েন্স, মানবসম্পদ ও সাস্টেইনিবিলিটি বিভাগের পেশাজীবীরা যেমন অংশ নিতে পারবেন, তেমনই গ্র্যাজুয়েট, উন্নয়ন কর্মী, বায়িং হাউস ও ব্র্যান্ডের কর্মীরাও অংশ নিয়ে দক্ষতা বাড়াতে পারবেন।
টেকসই উন্নয়ন নিয়ে কাজ করা বিভিন্ন শিল্পসংগঠনও এই উদ্যোগ থেকে উপকৃত হবে। কোর্সটি পরিচালিত হবে সুইসকন্টাক্টের ‘প্রমোটিং গ্রিন গ্রোথ ইন দ্য রেডিমেড গার্মেন্ট সেক্টর থ্রু স্কিলস (প্রোগ্রেস)’ প্রকল্পের আওতায়, যা অর্থায়ন করছে সুইডেন ও সুইজারল্যান্ডের দূতাবাস।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ইকোনমিকস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেস (ইএসএস) বিভাগের প্রফেসর শহিদুর রহমান জানান, গত সপ্তাহে ২৪টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান একটি ফোকাস গ্রুপ আলোচনায় নিজেদের প্রয়োজনীয় দক্ষতার বিষয়গুলো জানায়। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রয়োজনীয় দক্ষতাগুলো চিহ্নিত করছি। আশা করছি ১০ ডিসেম্বরের মধ্যে কার্যকর একটি কারিকুলাম তৈরি করতে পারবো।’ প্রথম ব্যাচের ভর্তি শুরু হবে ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে, আর দ্বিতীয় ব্যাচ মে-জুনে।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর সৈয়দ ফারহাত আনোয়ার বলেন, “আমরা অনেকদিন ধরে ইএসজি নিয়ে কাজ করছি এবং আন্তর্জাতিক পার্টনারদের সাথেও আলোচনা করেছি। আমাদের লক্ষ্য একাডেমিক কাজের পাশাপাশি মানুষের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কল্যাণে অবদান রাখা।”
সুইসকন্টাক্টের প্রোগ্রেস প্রকল্পের টিম লিডার ফারজানা আমিন বলেন, ‘বাংলাদেশের গার্মেন্টস খাতকে পরিবেশবান্ধব করা ও কার্বন নিঃসরণ কমাতে আমরা কাজ করছি। এই খাতে দক্ষ পেশাজীবী ও দেশীয় কনসালট্যান্ট খুবই কম। এই কোর্স ভবিষ্যতে একটি পোস্টগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রাম তৈরির ভিত্তি হিসেবে কাজ করবে।’
চুক্তিতে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির পক্ষে স্বাক্ষর করেন ট্রেজারার আরিফুল ইসলাম এবং সুইসকন্টাক্টের পক্ষে স্বাক্ষর করেন ফারজানা আমিন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির রেজিস্ট্রার ড. ডেভিড ডাউল্যান্ড, ইএসএস চেয়ার প্রফেসর ওয়াশিকুর রহমান খান, প্রফেসর সৈয়দ এ মামুন, কমিউনিকেশন্স ডিরেক্টর খায়রুল বাশারসহ সুইডেন দূতাবাস ও সুইসকন্টাক্টের কর্মকর্তারা।
ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ও সুইসকন্টাক্টের এই যৌথ উদ্যোগ জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে গুণগত শিক্ষা (এসডিজি-৪), সম্মানজনক কাজ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি (এসডিজি-৮), শিল্প–উদ্ভাবন–অবকাঠামো (এসডিজি-৯), দায়িত্বশীল উৎপাদন ও ব্যবহার (এসডিজি-১২) এবং অংশীদারিত্ব (এসডিজি-১৭) অর্জনে সহায়তা করবে।
What's Your Reaction?