ভূমিকম্পের পর হলে থাকতে বেশ ট্রমা ফিল হচ্ছিল
পরপর চার দফায় ভূমিকম্প অনুভুত হওয়ায় ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশের পর থেকেই আবাসিক হলগুলো দ্রুত ফাঁকা হতে শুরু করেছে। জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী মাহিদুল আলম বলেন, দেওয়ালের ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়া এসব সমস্যা আগের। ভূমিকম্পের পর হলে থাকতে বেশ ট্রমা ফিল হচ্ছিল। প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে যারা থাকতে চান তাদের বাধ্য করা উচিত নয়, কারণ টিউশনি আছে, চাকরির পড়া আছে। রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল বিশেষ করে মেয়েদের হলগুলো থেকে অনেককে বের হতে দেখা যায়। সকাল থেকেই শামসুন্নাহার হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রোকেয়া হলের সামনে ব্যাগ, লাগেজ হাতে শিক্ষার্থীদের বেরিয়ে যেতে দেখা যায়। ছেলেদের হলগুলোর পরিস্থিতিও ছিল প্রায় একইরকম, মুহসীন হল ,জহুরুল হক, বিজয় একাত্তর হল ও স্যার এ. এফ রহমানসহ অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীদের ধীরে ধীরে হল ত্যাগ করতে দেখা যায়। আরও পড়ুন:ঢাবি ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশহল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরাভূমিকম্প আতঙ্কে দৈনন্দিন কাজ বাদ দিলে বাড়তে পারে মানসিক চাপ মেয়ে শিক্ষার
পরপর চার দফায় ভূমিকম্প অনুভুত হওয়ায় ঝুঁকি বিবেচনায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের জারি করা নোটিশের পর থেকেই আবাসিক হলগুলো দ্রুত ফাঁকা হতে শুরু করেছে। জহুরুল হক হলের শিক্ষার্থী মাহিদুল আলম বলেন, দেওয়ালের ফাটল, ছাদের পলেস্তারা খসে পড়া এসব সমস্যা আগের। ভূমিকম্পের পর হলে থাকতে বেশ ট্রমা ফিল হচ্ছিল। প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। তবে যারা থাকতে চান তাদের বাধ্য করা উচিত নয়, কারণ টিউশনি আছে, চাকরির পড়া আছে।
রোববার (২৩ নভেম্বর) সকাল থেকেই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন হল বিশেষ করে মেয়েদের হলগুলো থেকে অনেককে বের হতে দেখা যায়। সকাল থেকেই শামসুন্নাহার হল, বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হল, রোকেয়া হলের সামনে ব্যাগ, লাগেজ হাতে শিক্ষার্থীদের বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।
ছেলেদের হলগুলোর পরিস্থিতিও ছিল প্রায় একইরকম, মুহসীন হল ,জহুরুল হক, বিজয় একাত্তর হল ও স্যার এ. এফ রহমানসহ অন্যান্য হলের শিক্ষার্থীদের ধীরে ধীরে হল ত্যাগ করতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন:
ঢাবি ১৫ দিনের জন্য বন্ধ ঘোষণা, শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
হল ছাড়তে শুরু করেছেন ঢাবি শিক্ষার্থীরা
ভূমিকম্প আতঙ্কে দৈনন্দিন কাজ বাদ দিলে বাড়তে পারে মানসিক চাপ
মেয়ে শিক্ষার্থীরা বেশিরভাগই প্রশাসনের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। রোকেয়া হলের শিক্ষার্থী হাসবুন্নার মাইশা জাগো নিউজকে বলেন, হলের ভবনগুলোর অবস্থা নিয়ে আমরা অনেক দিন ধরেই উদ্বিগ্ন। ভূমিকম্পের পর সেই দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। এখন ঝুঁকি এড়ানোই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
শামসুন্নাহার হলের আরেক শিক্ষার্থী জানান, আমরা পরিবার থেকেও চাপ পাচ্ছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ায় অন্তত আমরা নিশ্চিত থাকতে পারছি যে নিরাপত্তার দিকটাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
তবে অনেকেই জানাচ্ছেন, হঠাৎ হল ছাড়তে হওয়ায় তারা বড় ধরনের অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থী টিউশনি করে নিজের খরচ চালান কিংবা সরকারি-বেসরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছেন, তাদের জন্য পরিস্থিতি আরও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মুহসীন হলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সজীব হাসান বলেন, আমার টিউশনি আছে হাতিরঝিলে। হলে থাকলে যাতায়াত সহজ ছিল। এখন কোথায় থাকবো? অন্য কোথাও উঠলে টিউশনি বা পড়াশোনার রুটিন পুরো বদলে যাবে।
আরও পড়ুন:
ঢাবির ঝুঁকিপূর্ণ হলে বসবাস, নীতিনির্ধারকদের ঘুম ভাঙবে কবে?
হজরত আলী নামে আরেকজন চাকরি পরীক্ষার্থী বলেন, আমি বিসিএসের প্রস্তুতি নিচ্ছি, চাকরির পরীক্ষা দিচ্ছি বিভিন্ন জায়গায়। এখন কী বাড়ি যাওয়ার সময়? হলে রিডিংরুমে সবার সঙ্গে পড়াশোনার একটা পরিবেশ থাকে। এখন সবকিছু ওলট-পালট হয়ে গেলো।
শিক্ষার্থীদের মিশ্র প্রতিক্রিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী ভাবছে এমন প্রশ্নে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, আমরা একটি অনিশ্চিত ঝুঁকির কথা চিন্তা করে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিক্ষার্থীদের মাঝে যে ট্রমা এবং ভীতি তৈরি হয়েছে, সেটি যেন এই সময়ের মধ্যে কাটিয়ে উঠতে পারে। পাশাপাশি আমাদের যে ভবনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ, সেগুলো কীভাবে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে সংস্কার করে থাকার উপযোগী করা যায়, সেটিও আমরা এই সময়ের মধ্যে চেষ্টা করবো।
এফএআর/এসএনআর/এমএস
What's Your Reaction?