ভূমিকম্পের সময় যে দোয়া পড়তে বলেছেন রাসুল (সা.)

ভূমিকম্প মহান আল্লাহর মহাশক্তির ভিতর ছোট একটি নিদর্শন মাত্র। এতে বার্তা দেয় যে, মানুষ যেন নিজেদের আচার-আচরণ শুধরে নেয়। কারো উপর অত্যাচার না করে এবং গুনাহ ও পাপ থেকে দূরে থাকে। মহান সৃষ্টিকর্তাকে অনেক বেশি স্মরণ করে ও তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাসুল (সা.) ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন। হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে, তোমাদের সম্পদ এতো বাড়বে যে, উপচে পড়বে। (বুখারি, হাদিস : ৯৭৯) রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে। উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদুররু মা`আস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামি`ই ওয়াহুয়া সামিয়ুল আলিম। ভূমিকম্প হবার সময় মাটির দিকে বা নিচের দিকে তাকিয়ে ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা শারিকালাহু, ফাবি আইয়্যে আ’লাঈ রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ পড়তে থাকবেন যতক্ষণ ভূমিকম্প শেষ না হয়। এ ছাড়া দুর্যোগের সময় আরও যে দোয়া পড়া যেতে পারে। উচ্চারণ: আ

ভূমিকম্পের সময় যে দোয়া পড়তে বলেছেন রাসুল (সা.)

ভূমিকম্প মহান আল্লাহর মহাশক্তির ভিতর ছোট একটি নিদর্শন মাত্র। এতে বার্তা দেয় যে, মানুষ যেন নিজেদের আচার-আচরণ শুধরে নেয়। কারো উপর অত্যাচার না করে এবং গুনাহ ও পাপ থেকে দূরে থাকে। মহান সৃষ্টিকর্তাকে অনেক বেশি স্মরণ করে ও তার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। রাসুল (সা.) ভূমিকম্পসহ যেকোনো দুর্যোগে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাইতে বলেছেন।

হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, যে পর্যন্ত না ইলম উঠিয়ে নেওয়া হবে, অধিক পরিমাণে ভূমিকম্প হবে, সময় সংকুচিত হয়ে আসবে, ফিতনা প্রকাশ পাবে এবং খুনখারাবি বাড়বে, তোমাদের সম্পদ এতো বাড়বে যে, উপচে পড়বে। (বুখারি, হাদিস : ৯৭৯)

রাসুল (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি এই দোয়া তিনবার পড়বে সে ভূমি ও আকাশের দুর্যোগ থেকে হেফাজতে থাকবে।

উচ্চারণ: বিসমিল্লাহিল লাজি লা ইয়াদুররু মা`আস মিহি শাইয়ুন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামি`ই ওয়াহুয়া সামিয়ুল আলিম।

ভূমিকম্প হবার সময় মাটির দিকে বা নিচের দিকে তাকিয়ে ‘আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবর, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, লা শারিকালাহু, ফাবি আইয়্যে আ’লাঈ রাব্বিকুমা তুকাজ্জিবান’ পড়তে থাকবেন যতক্ষণ ভূমিকম্প শেষ না হয়।

এ ছাড়া দুর্যোগের সময় আরও যে দোয়া পড়া যেতে পারে। উচ্চারণ: আন্তা ওয়ালিয়্যুনা ফাগফিরলানা ওয়ার হাম্না, ওয়া আন্তা খইরুল গফিরিন।

অর্থ – হে আল্লাহ, আপনি যে আমাদের রক্ষক- সুতরাং আমাদেরকে ক্ষমা করে দিন এবং আমাদের উপর করুনা করুন। তাছাড়া আপনি-ই তো সর্বাধিক ক্ষমাকারী। [সুরা আরাফ আয়াত ১৫৫]

রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, যখন অবৈধ উপায়ে সম্পদ অর্জিত হবে, কাউকে বিশ্বাস করে সম্পদ গচ্ছিত রাখা হবে কিন্তু তার খেয়ানত করা হবে, জাকাতকে দেখা হবে জরিমানা হিসেবে, ধর্মীয় শিক্ষা ছাড়া বিদ্যা অর্জন করা হবে, পুরুষ তার স্ত্রীর আনুগত্য করবে কিন্তু মায়ের সঙ্গে বিরূপ আচরণ করবে, বন্ধুকে কাছে টেনে নিয়ে পিতাকে দূরে সরিয়ে দেবে, মসজিদে উচ্চস্বরে শোরগোল হবে, জাতির সবচেয়ে দুর্বল ব্যক্তিটি সমাজের শাসকরূপে আবির্ভূত হবে, সবচেয়ে নিকৃষ্ট ব্যক্তি হবে নেতা, একজন মানুষ যে খারাপ কাজ করে খ্যাতি অর্জন করবে, তাকে তার খারাপ কাজের ভয়ে সম্মান প্রদর্শন করা হবে, বাদ্যযন্ত্র এবং নারী শিল্পীর ব্যাপক প্রচলন হবে, মদ পান করা হবে, লোকজন তাদের পূর্ববর্তী মানুষগুলোকে অভিশাপ দেবে, এমন সময় তীব্র বাতাস প্রবাহিত হবে এবং এমন একটি ভূমিকম্প হবে যা সেই ভূমিকে তলিয়ে দেবে (তিরমিজি, হাদিস নং-১৪৪৭)।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow