মই বেয়ে উঠতে হয় আড়াই কোটি টাকার সেতুতে

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা লঞ্চঘাট ভায়া ফেরিঘাট সড়কে থানার খালের ওপর সেতুতে সংযোগ সড়ক নেই। ফলে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু কোনো কাজে আসছে না ওই অঞ্চলের মানুষের। সরেজমিন দেখা যায়, কাঠের তৈরি মই বেয়ে সেতুতে উঠতে হয়। নামতে ও হয় মই বেয়ে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বেশি ভোগান্তিতে বৃদ্ধ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা। জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা লঞ্চঘাট ভায়া ফেরিঘাট সড়কে থানার খালের ওপরের সেতু নির্মাণ করা হয় ২ বছর আগে। নির্মাণের দীর্ঘ সময় পরও সেতুর উভয়পাশের সংযোগ সড়কের কাজ (এপ্রোচ) শেষ না হওয়ায় কার্যত সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। ফলে দুর্ভোগও শেষ হচ্ছে না হাজার হাজার মানুষের। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নলছিটি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২মে আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় থানার খালের ওপর ৩১মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৩১৯টাকা। নির্মাণের সময় নির্ধারণ করা হয় এক বছর। যা ২০২৩ সালের ৬ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মেসার্স শান্ত এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হ

মই বেয়ে উঠতে হয় আড়াই কোটি টাকার সেতুতে

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা লঞ্চঘাট ভায়া ফেরিঘাট সড়কে থানার খালের ওপর সেতুতে সংযোগ সড়ক নেই। ফলে আড়াই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সেতু কোনো কাজে আসছে না ওই অঞ্চলের মানুষের।

সরেজমিন দেখা যায়, কাঠের তৈরি মই বেয়ে সেতুতে উঠতে হয়। নামতে ও হয় মই বেয়ে। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। বেশি ভোগান্তিতে বৃদ্ধ মানুষ ও শিক্ষার্থীরা।

জানা গেছে, ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলা লঞ্চঘাট ভায়া ফেরিঘাট সড়কে থানার খালের ওপরের সেতু নির্মাণ করা হয় ২ বছর আগে। নির্মাণের দীর্ঘ সময় পরও সেতুর উভয়পাশের সংযোগ সড়কের কাজ (এপ্রোচ) শেষ না হওয়ায় কার্যত সেতুটি কোনো কাজে আসছে না। ফলে দুর্ভোগও শেষ হচ্ছে না হাজার হাজার মানুষের।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) নলছিটি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২মে আইবিআরপি প্রকল্পের আওতায় থানার খালের ওপর ৩১মিটার আরসিসি গার্ডার সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়। এতে ব্যয় ধরা হয় ২ কোটি ৪৬ লাখ ৩ হাজার ৩১৯টাকা। নির্মাণের সময় নির্ধারণ করা হয় এক বছর। যা ২০২৩ সালের ৬ মার্চ শেষ হওয়ার কথা ছিলো। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে মেসার্স শান্ত এন্টারপ্রাইজকে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তবে সেতুর নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সংযোগ সড়কের (এপ্রোচ নির্মাণ) কাজ এখনও শুরুই হয়নি।

স্থানীয়রা বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রকল্প বাস্তবায়নে কাজের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনিয়ম করেছে। সেতু নির্মাণকাজ শেষ করার পরেও এটির দুই পাশে গোড়ায় মাটি দেওয়া হয়নি। ফলে সেতুটি এখন মৃত্যুফাঁদে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আবদুল রাজ্জাক জানান, সেতুর দুই পাশে সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের কোনো কাজেই আসছে না। মই দিয়ে সাঁকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সেতু পার হচ্ছি।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক কারাগারে থাকায় তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

নলছিটি উপজেলা প্রকৌশলী আজিজুল হক বলেন, সেতুর পাশে যাদের জমি রয়েছে তারা মাটি ভরাটে অসহযোগিতা করার কারণে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আর সংযোগ সড়ক নির্মাণ করেনি। এটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবগত করা হয়েছে। আশা করি দ্রুত এটির সমাধান করা হবে।

মো. আতিকুর রহমান/এনএইচআর/জেআইএম

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow