মধ্যরাতে সাংবাদিককে ডিবি পরিচয়ে বাসা থেকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ
দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীর নতুন বাড্ডার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমা। মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের বাসা থেকে সোহেলকে ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) পোশাক গায়ে দেওয়া পাঁচ ব্যক্তি আটক করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন সুমাইয়া সীমা। সোহেলের স্ত্রীর ভাষ্য, ওই পাঁচজনের একজন নিজেকে আশরাফুল পরিচয় দিয়ে বলেন, সোহেলের সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান কথা বলতে চান। এজন্য তাকে নিতে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে। আরও পড়ুনডিবির অভিযানে গ্রেফতার যুবলীগের আরও ৪ নেতাকর্মীমিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিতে স্ব-নিয়ন্ত্রিত কাঠামোর ওপর গুরুত্বারোপ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সীমা বলেন, তিনি শুয়ে পড়েছিলেন, সোহেল তখনো ল্যাপটপে কাজ করছিলেন। এ সময় কলিংবেলের শব্দ পেয়ে সোহেল গিয়ে দরজা খুলে দেখেন ডিবির জ্যাকেট গায়ে পাঁচজন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে পাশের রুম থেকে তিনি এসে জানতে চান তারা কিসের জন্য এসেছেন। তখন ওই কর্মকর্তা সোহেলকে নিতে আসার কারণ তুলে ধরেন। যুক্তরাজ্য প
দৈনিক ভোরের কাগজের অনলাইন প্রধান মিজানুর রহমান সোহেলকে গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে রাজধানীর নতুন বাড্ডার বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন তার স্ত্রী সুমাইয়া সীমা।
মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তাদের বাসা থেকে সোহেলকে ডিবির (গোয়েন্দা পুলিশ) পোশাক গায়ে দেওয়া পাঁচ ব্যক্তি আটক করে নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন সুমাইয়া সীমা।
সোহেলের স্ত্রীর ভাষ্য, ওই পাঁচজনের একজন নিজেকে আশরাফুল পরিচয় দিয়ে বলেন, সোহেলের সঙ্গে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান কথা বলতে চান। এজন্য তাকে নিতে এসেছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই আবার তাকে ফিরিয়ে দিয়ে যাওয়া হবে।
আরও পড়ুন
ডিবির অভিযানে গ্রেফতার যুবলীগের আরও ৪ নেতাকর্মী
মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিতে স্ব-নিয়ন্ত্রিত কাঠামোর ওপর গুরুত্বারোপ
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সীমা বলেন, তিনি শুয়ে পড়েছিলেন, সোহেল তখনো ল্যাপটপে কাজ করছিলেন। এ সময় কলিংবেলের শব্দ পেয়ে সোহেল গিয়ে দরজা খুলে দেখেন ডিবির জ্যাকেট গায়ে পাঁচজন দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। পরে পাশের রুম থেকে তিনি এসে জানতে চান তারা কিসের জন্য এসেছেন। তখন ওই কর্মকর্তা সোহেলকে নিতে আসার কারণ তুলে ধরেন।
যুক্তরাজ্য প্রবাসী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের তার ফেসবুকে পোস্টে দাবি করেছেন, সোহেলকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে ঢাকা মহানগর ডিবির প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলামের সঙ্গে তার কথা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা ডিবি কার্যালয়ে সোহেলকে নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন বলেও সায়ের তার পোস্টে উল্লেখ করেছেন।
সোহেল তথ্যপ্রযুক্তি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন- সেন্টার ফর টেকনোলজি জার্নালিজম (সিটিজে)-এর সহ-সভাপতি।
সোহেলকে তুলে নেওয়ার বিষয়ে সিটিজে’র সাধারণ সম্পাদক সাইফ আহমাদ রাতে টেলিযোগাযোগ ও প্রযুক্তি বিটের সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো বার্তায় বলেন, রাত ১২টার পর তাকে (সোহেল) বাসা থেকে তুলে নেওয়ার ঘটনা শুধু উদ্বেগের নয়, গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর সরাসরি আঘাত। ডিবিপ্রধান ঘটনাটি স্বীকার করলেও এত গভীর রাতে একজন সাংবাদিককে কেন এভাবে নেওয়া হলো, তার স্বচ্ছ ব্যাখ্যা অত্যন্ত জরুরি।
টিটি/ইএ/এমএস
What's Your Reaction?