মুসলিম ব্রাদারহুডের কয়েকটি শাখাকে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’ ঘোষণার নির্দেশ ট্রাম্পের
মিশর, লেবানন ও জর্ডানে সক্রিয় মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখা ও গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করেন তিনি। ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন ব্রাদার হুড বহু দেশে সক্রিয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এর কিছু অংশকে নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে দেখে আসছে। নির্বাহী আদেশে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে লেবানন, মিশর ও জর্ডানে অবস্থিত মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোর কথা। আদেশে বলা হয়, এসব শাখা সহিংসতা চালায় অথবা সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে, যা তাদের নিজস্ব অঞ্চল, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ক্ষতি করে। মুসলিম ব্রাদারহুড ১৯২৮ সালে মিশরে প্রতিষ্ঠিত একটি প্যান-ইসলামিস্ট সংগঠন, যা পরে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, মিশরীয় স্কুলশিক্ষক হাসান আল-বান্না বিশ্বাস করতেন, সমাজে ইসলামী নীতির পুনর্জাগরণই মুসলিম বিশ্বকে পশ্চিমা ঔপনিবেশিকতা প্রতিরোধে সক্ষম করবে। যুক্তরাষ্ট্র কোনো সংগঠনকে আন্তর্জাতিক ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় অন্তর্ভু
মিশর, লেবানন ও জর্ডানে সক্রিয় মুসলিম ব্রাদারহুডের বিভিন্ন শাখা ও গোষ্ঠীকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে চিহ্নিত করার নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। স্থানীয় সময় সোমবার (২৪ নভেম্বর) এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ জারি করেন তিনি।
ইসলামী রাজনৈতিক সংগঠন ব্রাদার হুড বহু দেশে সক্রিয়। তবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে এর কিছু অংশকে নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে দেখে আসছে।
নির্বাহী আদেশে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে লেবানন, মিশর ও জর্ডানে অবস্থিত মুসলিম ব্রাদারহুডের শাখাগুলোর কথা। আদেশে বলা হয়, এসব শাখা সহিংসতা চালায় অথবা সহিংসতা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে, যা তাদের নিজস্ব অঞ্চল, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের ক্ষতি করে।
মুসলিম ব্রাদারহুড ১৯২৮ সালে মিশরে প্রতিষ্ঠিত একটি প্যান-ইসলামিস্ট সংগঠন, যা পরে আরব বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা, মিশরীয় স্কুলশিক্ষক হাসান আল-বান্না বিশ্বাস করতেন, সমাজে ইসলামী নীতির পুনর্জাগরণই মুসলিম বিশ্বকে পশ্চিমা ঔপনিবেশিকতা প্রতিরোধে সক্ষম করবে।
যুক্তরাষ্ট্র কোনো সংগঠনকে আন্তর্জাতিক ‘সন্ত্রাসী’ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে ওয়াশিংটন সে সংগঠনের যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সম্পদ জব্দ, সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ নিষিদ্ধসহ কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ পায়।
এখন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্টের ওপর দায়িত্ব পড়েছে প্রেসিডেন্টের আদেশে উল্লেখ থাকা শাখাগুলোকে নিষিদ্ধ ঘোষণার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার।
মুসলিম ব্রাদারহুডকে এরই মধ্যে কিছু দেশ সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে নিষিদ্ধ করেছে, যেমন মিশর ও সৌদি আরব। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে জর্ডানও সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। দেশটি অভিযোগ করে, মুসলিম ব্রাদারহুড অস্ত্র তৈরি ও মজুত করছে এবং দেশকে অস্থিতিশীল করার পরিকল্পনা করছে। চলতি বছরের মে মাসে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁও তার সরকারকে মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রভাব ও বিস্তার ঠেকাতে প্রয়োজনীয় প্রস্তাব তৈরির নির্দেশ দেন।
জর্ডানে সংগঠনটির ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে। যদিও ২০২০ সালে দেশটির শীর্ষ আদালত মুসলিম ব্রাদারহুডকে ভেঙে দেওয়ার রায় দেয়, কিন্তু অতীতে কর্তৃপক্ষ বহু সময়েই তাদের কার্যক্রমের প্রতি চোখ বন্ধ রেখেছে।
মিশরে ২০১৩ সাল থেকে মুসলিম ব্রাদারহুড নিষিদ্ধ। সে বছর সংগঠনটির নেতা ও নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসিকে সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি। এরপর থেকেই সিসি দেশ পরিচালনা করছেন ও এই সময়টাতে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।
জাতিসংঘে ইসরায়েলের দূত ডেনি ড্যানন ট্রাম্পের এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। সোমবার এক্সে দেওয়া পোস্টে তিনি লেখেন, এটি শুধু ইসরায়েলের জন্য নয়, বরং আরব বিশ্বের প্রতিবেশী দেশগুলোর জন্যও গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।
সূত্র: আল-জাজিরা
এসএএইচ
What's Your Reaction?