মৌলভীবাজারে চাহিদার তুলনায় কম অ্যান্টিভেনম
মৌলভীবাজারে সাপে কাটা রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। আবার অনেক সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম মজুত থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। ফলে রোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য যেতে হয় জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে। এতে বেড়ে যায় মৃত্যু ঝুঁকি। সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (১০ মাস) ৪১০ জনকে সাপে কেটেছে। এরমধ্যে মাত্র ২১ জন রোগীকে অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করা হয়েছে। চলতি বছর জেলায় প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৪০ জন সাপে কাটা রোগী বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসব হাসপাতালে রোগীদের তুলনায় পর্যাপ্ত প্রতিষেধক নেই। অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম মজুত থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় ৪১০ জন সাপে কাটা রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ রোগীকে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়েছে। জেলায় মাত্র ৯০ ভায়েল অ্যান্টিভেনম মজুত
মৌলভীবাজারে সাপে কাটা রোগীদের জন্য নেই পর্যাপ্ত প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম)। আবার অনেক সময় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম মজুত থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। ফলে রোগীদেরকে চিকিৎসার জন্য যেতে হয় জেলা ও বিভাগীয় হাসপাতালে। এতে বেড়ে যায় মৃত্যু ঝুঁকি।
সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সাপে কাটা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তিসংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করে জানা গেছে, গত জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত (১০ মাস) ৪১০ জনকে সাপে কেটেছে। এরমধ্যে মাত্র ২১ জন রোগীকে অ্যান্টিভেনম ব্যবহার করা হয়েছে।
চলতি বছর জেলায় প্রতি মাসে গড়ে প্রায় ৪০ জন সাপে কাটা রোগী বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন। তবে এসব হাসপাতালে রোগীদের তুলনায় পর্যাপ্ত প্রতিষেধক নেই। অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অ্যান্টিভেনম মজুত থাকলেও চিকিৎসকের অভাবে প্রতিষেধক (অ্যান্টিভেনম) ব্যবহার করা সম্ভব হয় না।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরে জেলায় ৪১০ জন সাপে কাটা রোগী সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ২১ রোগীকে অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করা হয়েছে। জেলায় মাত্র ৯০ ভায়েল অ্যান্টিভেনম মজুত আছে। প্রতিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ২০ ভায়েল করে অ্যান্টিভেনম মজুত থাকার কথা থাকলেও অনেক হাসপাতালে ১০টি করে মজুত রেখেছে। অ্যান্টিভেনমের দাম বেশি হওয়ায় একসঙ্গে বেশি করে কেনা যাচ্ছে না। চাহিদা অনুযায়ী অ্যান্টিভেনম ক্রয় করা যায় এখন। মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালেও চাহিদার তুলনায় অ্যান্টিভেনম অনেক কম রয়েছে। সেই হিসাবে জেলায় চাহিদার মাত্র ২২ শতাংশ ভায়াল মজুত রয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে এর আগে গত ২৩ অক্টোবর কমলগঞ্জ উপজেলার সদর ইউনিয়নের ফুলবাড়ি চা বাগানে চা পাতা উত্তোলনের সময় বিষধর গ্রিন পিট ভাইপার সাপের কামড়ে গুরুতর আহত হয়ে মাধবী মির্ধা (২৫) নামে এক নারী চা শ্রমিক। পরে তাকে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স চিকিৎসা নেওয়া হয়। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালে পৌঁছানোর পর প্রায় এক ঘণ্টা ধরে তাকে বসিয়ে রাখলেও কনসালট্যান্ট ও চিকিৎসা প্রক্রিয়া কিছুটা জটিল হওয়ায় অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করেননি।
জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত চিকিৎসকেরা বলছেন, সাপে কাটা রোগীকে অ্যান্টিভেনম দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট কিছু প্রক্রিয়া আছে। প্রথমে রোগীকে পরীক্ষা করতে হয় সাপ বিষধর কিনা। এতে প্রায় ৩০-৪০ মিনিট সময় লাগে। এরপর যেসব চিকিৎসক অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ করার জন্য প্রশিক্ষণ দিয়েছেন শুধু মাত্র তারাই এটি দিতে পারবেন। অনেক রোগী হাসপাতালে এসে মনে করেন একটা ইনজেকশন পুশ করলেই হয়ে যাবে।
মৌলভীবাজারের সিভিল সার্জন ডা. মো. মামুনুর রহমান বলেন, আমাদের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে সাপে কাটা রোগীদের জন্য প্রতিষেধক আছে। তবে চাহিদার তুলনায় কম। আমরা চাইলে পর্যাপ্ত প্রতিষেধক কিনতে পারি। প্রতিষেধকের দাম বেশি হওয়ায় অনেকেই বেশি মজুত রাখেন না। তবে আমরা বলে দিয়েছি প্রতিটা হাসপাতালে যেনো সবসময় কমপক্ষে দুজন রোগীর জন্য ভায়েল প্রস্তুত রাখা হয়। অনেক সময় হাসপাতালে কনসালটেন্ট না থাকায় আগে অ্যান্টিভেনম দেওয়া যেতো না। তবে এখন অনলাইনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
এনএইচআর/জেআইএম
What's Your Reaction?