ময়মনসিংহে বেড়েছে সবজির সরবরাহ, কমেছে দাম

ময়মনসিংহের বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কমেছে। তবে এই মূল্যহ্রাসে সন্তুষ্ট নন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। তাদের দাবি, বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হলে দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে। বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে শহরের শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে সবজি ও মাছের দাম কমার এই তথ্য জানা গেছে। ক্রেতা বিক্রেতারা জানান, বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে সবচেয়ে বেশি কমেছে টমেটোর দাম। কেজিতে ৪০ টাকা কমে টমেটো ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা কমেছে গোল বেগুন, ঢ্যাঁডশ, চিকন বেগুন, ঝিঙে, শসা ও কাঁচামরিচ। বর্তমানে গোল বেগুন ৮০, ঢ্যাঁডশ ৬০, চিকন বেগুন ৬০, ঝিঙে ৬০, শসা ৫০ ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ১০০, শিম ১০০, ধুন্দল ৫০, পটল ৬০, কাঁচা পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, চায়না গাজর ১২০ টাকা কেজিতে, লাউ ৫০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে। এদিকে বাজারে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মাছের দাম। গত সপ্তাহ রুই ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্র

ময়মনসিংহে বেড়েছে সবজির সরবরাহ, কমেছে দাম

ময়মনসিংহের বাজারে শীতকালীন সবজির সরবরাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কমেছে। তবে এই মূল্যহ্রাসে সন্তুষ্ট নন নিম্ন ও মধ্যম আয়ের ক্রেতারা। তাদের দাবি, বাজার নিয়মিত মনিটরিং করা হলে দাম আরও সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসবে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সকালে শহরের শম্ভুগঞ্জ বাজার ঘুরে সবজি ও মাছের দাম কমার এই তথ্য জানা গেছে।

ক্রেতা বিক্রেতারা জানান, বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। এতে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিতে ১০ টাকা কমেছে। তবে সবচেয়ে বেশি কমেছে টমেটোর দাম। কেজিতে ৪০ টাকা কমে টমেটো ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিতে ১০ টাকা কমেছে গোল বেগুন, ঢ্যাঁডশ, চিকন বেগুন, ঝিঙে, শসা ও কাঁচামরিচ।

বর্তমানে গোল বেগুন ৮০, ঢ্যাঁডশ ৬০, চিকন বেগুন ৬০, ঝিঙে ৬০, শসা ৫০ ও কাঁচামরিচ ১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া করলা ১০০, শিম ১০০, ধুন্দল ৫০, পটল ৬০, কাঁচা পেঁপে ৩০, মিষ্টি কুমড়া ৩০, চায়না গাজর ১২০ টাকা কেজিতে, লাউ ৫০ টাকা পিস, কাঁচা কলা ৩০ টাকা হালি ও লেবু ২০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে বাজারে কেজিতে সর্বোচ্চ ২০ টাকা পর্যন্ত কমেছে মাছের দাম। গত সপ্তাহ রুই ৩৫০-৪৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি বিক্রি হলেও এখন ৩৩০-৪৩০, কালবাউশ ৩৪০-৪০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৩১০-৩৮০, মৃগেল ২৯০-৩৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২৭০-৩২০, ট্যাংরা ৫৪০-৮১০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও ৫২০-৭৯০, শোল ৬১০-৮৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ৬০০-৬৫০, কৈ ২৬০-৩৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও এখন ২৫০-৩৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কাতলা ৩৫০-৪৩০ টাকা, সিলভার কার্প ২২০-২৯০ টাকা, তেলাপিয়া ২১০-২৯০ টাকা, পাঙাশ ১৭০-২০০ টাকা, পাবদা ৪০০-৫৩০ টাকা শিং ৩৫০-৬৫০ টাকা ও টাকি ৪২০-৫৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।

স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে কক মুরগি ২৯০, ব্রয়লার মুরগি ১৬০, খাসির মাংস ১ হাজার ১৫০ টাকা ও গরুর মাংস ৭৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে সবজি কেনার সময় কথা হয় আমিনুল ইসলাম নামের একজন ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, বাজারে শীতের সবজির সরবরাহ প্রচুর বেড়েছে। সে তুলনায় দাম সামান্য কমেছে। বাজার মনিটরিং জোরদার করা হলে দাম সহনীয় পর্যায়ে থাকবে বলে মনে করছি।

ময়মনসিংহে বেড়েছে সবজির সরবরাহ, কমেছে দাম

মাছ কেনার সময় কথা হয় জাকারিয়া নামের আরেকজন ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, অনেকদিন ধরে মাছের দামে উত্তাপ বিরাজ করছে। তবে এখন দাম কমেছে। যে-কোনো সময় অসাধু বিক্রেতারা আবারও দাম ইচ্ছামতো বাড়িয়ে নিজেদের পকেট ভারি করবে।

সবজি বিক্রেতা আরিফ হোসেন বলেন, সদর উপজেলার চরাঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে শীতকালীন সবজি আসতে শুরু করেছে। এতে দামও কিছুটা কমেছে। সরবরাহ বাড়লে দাম আরও কমে যাবে।

মাছ বিক্রেতা কাদির মিয়া বলেন, আমরা সিন্ডিকেট করে মাছ বিক্রি করছি না। আড়তদাররা দাম কমানোয় আমরাও কমিয়ে বিক্রি করতে পারছি। আড়তে দাম বাড়লে আমরাও দাম বাড়াতে বাধ্য হবো।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ময়মনসিংহের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুস ছালাম বলেন, প্রত্যেকটি বাজারে সবজির সরবরাহ বেড়েছে। ফলে সব বাজারেই সবজির দাম কমার কথা। যে-কোনো পণ্যের দাম অহেতুক বাড়ানো যাবে না।

কামরুজ্জামান মিন্টু/কেএইচকে/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow