যে পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা ভোটের নিবন্ধন করবেন

‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দেব মিলেমিশে’এই স্লোগান সামনে রেখে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিশ্বজুড়ে প্রবাসীদের জন্য অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আওতায় মালয়েশিয়া প্রবাসীরা ৯ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানায়, প্রবাস থেকে পোস্টাল ভোট দিতে হলে প্রথমে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য মোবাইলের প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে “Postal Vote BD” অ্যাপে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন অপশন নির্বাচন করতে হবে। মোবাইল নম্বর দিলে ওটিপি পাঠানো হবে, যা প্রবেশ করিয়ে নম্বরটি যাচাই করতে হবে। এরপর ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। পরবর্তী ধাপে পাসপোর্ট বা এনআইডির ছবি আপলোড করে প্রবাসের বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে। সব তথ্য যাচাই শেষে সাবমিট করলে রেজিস্ট্রেশন সফল হওয়ার নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে। এরপর ডাকযোগে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ব্যালটের খাম হাতে পাওয়ার পর ভেতরের নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাপ বা নির্ধারিত ল

যে পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা ভোটের নিবন্ধন করবেন

‘তোমার আমার বাংলাদেশে, ভোট দেব মিলেমিশে’এই স্লোগান সামনে রেখে প্রথমবারের মতো প্রবাসী বাংলাদেশিদের পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

বিশ্বজুড়ে প্রবাসীদের জন্য অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধন সময়সূচি ঘোষণা করা হয়েছে। এর আওতায় মালয়েশিয়া প্রবাসীরা ৯ থেকে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন।

মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন সূত্র জানায়, প্রবাস থেকে পোস্টাল ভোট দিতে হলে প্রথমে ভোটার হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। এজন্য মোবাইলের প্লে স্টোর বা অ্যাপ স্টোর থেকে “Postal Vote BD” অ্যাপে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন অপশন নির্বাচন করতে হবে।

মোবাইল নম্বর দিলে ওটিপি পাঠানো হবে, যা প্রবেশ করিয়ে নম্বরটি যাচাই করতে হবে। এরপর ফেস ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে জাতীয় পরিচয়পত্রের প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। পরবর্তী ধাপে পাসপোর্ট বা এনআইডির ছবি আপলোড করে প্রবাসের বর্তমান ঠিকানা দিতে হবে। সব তথ্য যাচাই শেষে সাবমিট করলে রেজিস্ট্রেশন সফল হওয়ার নোটিফিকেশন পাওয়া যাবে। এরপর ডাকযোগে ব্যালট পেপার পৌঁছানোর জন্য অপেক্ষা করতে হবে।

ব্যালটের খাম হাতে পাওয়ার পর ভেতরের নির্দেশনা অনুযায়ী অ্যাপ বা নির্ধারিত লিংকে লগইন করতে হবে। মোবাইল নম্বর ও এনআইডি যাচাইয়ের পর নতুন পিন সেট করতে হবে। ব্যালট পেপারের সঙ্গে দেওয়া কিউআর কোড স্ক্যান করলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি এলাকা দেখাবে। এরপর তালিকা থেকে পছন্দের প্রার্থী নির্বাচন করে ভোট দিতে হবে।

যে পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া প্রবাসীরা ভোটের নিবন্ধন করবেন

এ সময় ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করা বাধ্যতামূলক। স্বাক্ষর না থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে। ভোট দেওয়া ব্যালট পেপার এবং স্বাক্ষরযুক্ত ঘোষণাপত্র নির্ধারিত খামে ভরে ডাকযোগে বাংলাদেশে পাঠাতে হবে।

জাতীয় নির্বাচন কমিশনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজের তথ্যমতে, ১৯–২৩ নভেম্বর: পূর্ব এশিয়া, উত্তর আমেরিকা ও আফ্রিকার ৫০টি দেশ। ২৪–২৮ নভেম্বর: উত্তর আমেরিকার ১৪টি দেশ ও ওশেনিয়ার ২টি দেশ। ২৯ নভেম্বর–৩ ডিসেম্বর: ইউরোপের ৪২ দেশ। ৪–৮ ডিসেম্বর: সৌদি আরব। ৯–১৩ ডিসেম্বর: দক্ষিণ এশিয়ার ৭টি দেশ ও দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ১১টি দেশ (মালয়েশিয়া অন্তর্ভুক্ত)। ১৪–১৮ ডিসেম্বর: মধ্যপ্রাচ্যের বাকি ১৪টি দেশ (সৌদি ছাড়া)। ১৯–২৩ ডিসেম্বর: বাংলাদেশে অবস্থানরত বিশেষ তিন ধরনের ভোটার ও বাদপড়া প্রবাসীদের নিবন্ধন।

হাইকমিশন আরও জানায়, নিবন্ধন সম্পন্ন হলে প্রবাসীদের ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো শুরু হবে। প্রেরণের ১৬ থেকে ২৮ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যালট পৌঁছানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

ইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে ৫ দিন করে নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে এবং প্রবাসীরা ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনলাইনে নিবন্ধন করতে পারবেন।

এমআরএম/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow