রংপুরে কমেছে ডিমের দাম, বেড়েছে কাঁচামরিচের
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম কমেছে। তবে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচসহ কিছু সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংস, চাল-ডালসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের। মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক হালি পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা দরে। তবে একসঙ্গে ৩০ পিস ডিম কিনলে দাম পড়ছে ২৬০ থেকে ২৬৫ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিহালি ডিমের দাম পড়ছে ৩৪-৩৫ টাকা। গত সপ্তাহে ডিমের দাম ছিল ৩৬-৩৮ টাকা। সিটি বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আসলাম উদ্দিন বলেন, ডিমের দাম গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় আজ অনেক কমে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। দাম কমলে বিক্রিও বাড়ে। এদিকে, বাজারে প্রতিকেজি নতুন পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ওই দামে। আর পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা। তবে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে। সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি টমে
রংপুরের বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে পোলট্রি মুরগির ডিমের দাম কমেছে। তবে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচসহ কিছু সবজির। এছাড়া অপরিবর্তিত রয়েছে মাছ-মাংস, চাল-ডালসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।
মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) রংপুর নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা বাজারে এক হালি পোলট্রি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৩৬ টাকা দরে। তবে একসঙ্গে ৩০ পিস ডিম কিনলে দাম পড়ছে ২৬০ থেকে ২৬৫ টাকা। সেই হিসেবে প্রতিহালি ডিমের দাম পড়ছে ৩৪-৩৫ টাকা। গত সপ্তাহে ডিমের দাম ছিল ৩৬-৩৮ টাকা।
সিটি বাজারের পাইকারি ডিম বিক্রেতা আসলাম উদ্দিন বলেন, ডিমের দাম গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় আজ অনেক কমে বিক্রি হচ্ছে। এতে ক্রেতারাও সন্তুষ্ট। দাম কমলে বিক্রিও বাড়ে।
এদিকে, বাজারে প্রতিকেজি নতুন পেঁয়াজ গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া আমদানি করা পেঁয়াজও বিক্রি হচ্ছে ওই দামে। আর পাতা পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা। তবে দাম বেড়েছে কাঁচামরিচের। গত সপ্তাহে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৪০-৫০ টাকা দরে বিক্রি হলেও আজ বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা দরে।
সবজি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা পর্যায়ে প্রতি কেজি টমেটোর দাম কমে ৭০-৮০ টাকা থেকে হয়েছে ৬০-৭০ টাকা, গাজর গত সপ্তাহের মতোই ৫০-৬০ টাকা, মুলা ২৫-৩০ টাকা, ফুলকপি ১০-১৫ থেকে বেড়ে ২০-২৫ টাকা, বাঁধাকপি ১০-১৫ টাকা থেকে বেড়ে ২৫-২০ টাকা, চালকুমড়া (আকারভেদে) আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা, কাঁচকলার হালি ২০-২৫ টাকা, চিকন বেগুন ৩০-৪০ টাকা, গোল বেগুন ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৫০-৬০ টাকা, ঢ্যাঁড়শের দাম বেড়ে ৭০-৮০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা থেকে লাফিয়ে ৮০-৯০ টাকা, বরবটি ৫০-৬০ টাকা থেকে কমে ৪০-৫০ টাকা, শিম গত সপ্তাহের মতোই ৩০-৪০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, শসা আগের মতোই ৪০-৫০ টাকা থেকে বেড়ে ৬০-৭০ টাকা, করলা আগের মতোই ৭০-৮০ টাকা, লাউ (আকারভেদে) দাম ৩০-৪০ টাকা, লেবুর হালির ১৫-২০ টাকা, প্রতিকেজি ধনেপাতা ৩০-৪০ টাকা, সব ধরনের শাকের আঁটি ১০ থেকে ২০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
অপরদিকে, দেশি আদা গত সপ্তাহের মতোই ১২০-১৪০ টাকা, দেশি রসুন ১০০-১২০ টাকা, আমদানি করা রসুন ২২০-২৪০টাকা, শুকনা মরিচ আগের মতো ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শাপলা চত্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা হোসেন আলী জাগো নিউজকে বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম অপরিবর্তিত থাকলেও কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে। দাম ওঠানামা করে আমদানি ওপর। আমদানি কম হলে দাম বাড়ে। এছাড়া বেশ কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। তবে কমেছে দুই-একটা সবজির দাম।
মুরগি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ব্রয়লার মুরগি গত সপ্তাহের মতোই ১৫০-১৬০ টাকা, পাকিস্তানি সোনালী মুরগি ২৫০-২৮০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৫০০-৫২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে গরুর মাংস অপরিবর্তিত ৭২০-৭৫০ টাকা এবং খাসির মাংস ১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুলাটোল আমতলা বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমির হোসেন বলেন, মুরগির বাজার গত তিন সপ্তাহ ধরে স্থিতিশীল রয়েছে। দাম কমলে বিক্রিও বাড়ে।
খুচরা বাজারে কার্ডিনাল আলু পুরাতন গত সপ্তাহের তুলনায় দাম বেড়ে ১৩-১৫ টাকা থেকে হয়েছে ১৫-১৮ টাকা, বাজারে আসা নতুন কার্ডিনাল আলু বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা, সাদা নতুন আলু ১৮-২০ টাকা, পুরাতন ২৫-৩০ টাকা, বগুড়ার লাল পাকড়ি আলু ৩৫-৪০ টাকা, শিল আলু ৩০-৩৫ টাকা, ক্যারেজ আলু নতুন ২৫-৩০ টাকা এবং ঝাউ আলু গত সপ্তাহের মতোই ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
খুচরা বাজারে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল গত সপ্তাহের মতোই ১৯৫-২০০ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৮০-২০০ টাকা, মসুর ডাল আগের মতোই (চিকন) ১৫০-১৬০ টাকা, মাঝারি ১০০-১১০ টাকা, মুগডাল ১৬০-১৮০ টাকা, বুটের ডাল ১২০-১৩০ টাকা, খোলা চিনি ১০০-১১০ টাকা থেকে বেড়ে ১১০-১২০ টাকা, ছোলাবুট ১০০-১১০ টাকা, প্যাকেট আটা ৫৫ টাকা, খোলা আটা ৪৫-৫০ টাকা এবং ময়দা ৬৫-৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতোই স্বর্ণা (মোটা) ৪৮-৫০ টাকা, স্বর্ণা (চিকন) ৫৫-৬০ টাকা, বিআর২৮- ৬৫-৭০ টাকা, বিআর২৯- ৬০-৬৫ টাকা, জিরাশাইল ৭০-৭৫ টাকা, মিনিকেট ৮৫ এবং নাজিরশাইল ৮৫-৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, আকারভেদে রুইমাছ ৩০০-৩৮০ টাকা, টেংরা ৪০০-৫৬০ টাকা, মৃগেল ২২০-২৫০ টাকা, কারপু ২৫০-২৬০ টাকা, পাঙাশ ১৫০-২০০ টাকা, তেলাপিয়া ২০০-২৫০, কাতল ৩০০-৫০০ টাকা, বাটা ১৮০-২৪০ টাকা, শিং ৩০০-৪০০ টাকা, সিলভার কার্প ১৮০-২৬০ টাকা এবং গছিমাছ ৮০০-১২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিতু কবীর/এনএইচআর/এমএস
What's Your Reaction?