রেকর্ড ভেঙেও আকরামকে শীর্ষে রাখলেন স্টার্ক
গ্যাবার আলোঝলমলে ডে–নাইট টেস্টে ইতিহাস নিজের করে নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। রেকর্ডবুকে নাম উঠল টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি পেসার হিসেবে।তবু প্রথম দিন শেষে অস্ট্রেলীয় তারকাকে দেখে মনে হলো না তিনি কোনো ঐতিহাসিক কীর্তির ভারে উচ্ছ্বসিত। বরং বিনয়ী স্বরে একটাই কথা—ওয়াসিম আকরাম এখনো অনেক ওপরে।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম আকরামের ৪১৪ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ছুঁয়ে থাকা ছিল ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের আলোচনার বিষয়। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম দিনেই সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যান স্টার্ক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় উইকেট শিকার করে ক্যারিয়ারে পৌঁছে যান ৪১৮ উইকেটে। তবে এই মাইলফলকের পরও নিজেকে আকরামের সঙ্গে এক কাতারে ভাবতে নারাজ ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার।
দিনের খেলা শেষে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনের সঙ্গে আলাপে স্টার্ক বলেন, “ওয়াসিম এখনো আমার চেয়েও অনেক ভালো বোলার। আমার কাছে সে-ই বাঁহাতি পেসারদের শীর্ষে, এমনকি ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলারদের একজন। ওই পর্যায়ে আমার নাম আসছে—এটা ভালো লাগার, কিন্তু আমি শুধু নিজের মতো করে পারফর্ম করে যেতে চাই।”
স্টার্কের এই কীর্তি এসেছে বিশেষ এক প্রেক্ষাপটে।
গ্যাবার আলোঝলমলে ডে–নাইট টেস্টে ইতিহাস নিজের করে নিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। রেকর্ডবুকে নাম উঠল টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি পেসার হিসেবে।তবু প্রথম দিন শেষে অস্ট্রেলীয় তারকাকে দেখে মনে হলো না তিনি কোনো ঐতিহাসিক কীর্তির ভারে উচ্ছ্বসিত। বরং বিনয়ী স্বরে একটাই কথা—ওয়াসিম আকরাম এখনো অনেক ওপরে।
পাকিস্তানের কিংবদন্তি বাঁহাতি পেসার ওয়াসিম আকরামের ৪১৪ টেস্ট উইকেটের রেকর্ড ছুঁয়ে থাকা ছিল ক্রিকেটের দীর্ঘদিনের আলোচনার বিষয়। ব্রিসবেনে দ্বিতীয় অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম দিনেই সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যান স্টার্ক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ছয় উইকেট শিকার করে ক্যারিয়ারে পৌঁছে যান ৪১৮ উইকেটে। তবে এই মাইলফলকের পরও নিজেকে আকরামের সঙ্গে এক কাতারে ভাবতে নারাজ ৩৫ বছর বয়সী এই পেসার।
দিনের খেলা শেষে সাবেক ইংল্যান্ড অধিনায়ক মাইকেল ভনের সঙ্গে আলাপে স্টার্ক বলেন, “ওয়াসিম এখনো আমার চেয়েও অনেক ভালো বোলার। আমার কাছে সে-ই বাঁহাতি পেসারদের শীর্ষে, এমনকি ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা বোলারদের একজন। ওই পর্যায়ে আমার নাম আসছে—এটা ভালো লাগার, কিন্তু আমি শুধু নিজের মতো করে পারফর্ম করে যেতে চাই।”
স্টার্কের এই কীর্তি এসেছে বিশেষ এক প্রেক্ষাপটে। চোটের কারণে বাইরে প্যাট কামিন্স ও জশ হ্যাজলউড, বিশ্রামে নাথান লায়ন। প্রায় একাই দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হয়েছিল তাকে। সেই আক্রমণের নেতৃত্ব দিয়েই প্রথম স্পেলে তিন উইকেট, পরে হ্যারি ব্রুককে স্লিপে ধরিয়ে রেকর্ড ভাঙা—ইংল্যান্ড ব্যাটিংকে কার্যত একাই চেপে ধরেন তিনি।
নিজের সাফল্যের রহস্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে গোলাপি বল নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন স্টার্ক, “আমাকে প্রায়ই জিজ্ঞেস করা হয়, কেন পিঙ্ক বল এত ভালো কাজ করে। সত্যি বলতে আমি নিজেও পুরোটা জানি না। আজ বলটা সাদা বলের মতোই লাগছিল, শুধু একটু নরম ছিল।”
পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারসেরা ৭/৫৮ নেওয়ার পর গ্যাবায় ছয় উইকেট—চলতি অ্যাশেজে ইতিমধ্যেই ১৬ উইকেট স্টার্কের ঝুলিতে। এই পারফরম্যান্স তাকে টেস্ট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় ১৫তম স্থানে তুলে এনেছে। হারভজন সিংকে পেছনে ফেলেছেন তিনি, সামনে এখন শন পোলক ও রিচার্ড হ্যাডলির মতো নাম।
এছাড়া সবধরনের বোলারের মধ্যে বাঁহাতিদের হিসাবে তাকালে সামনে রয়েছে আরেক কিংবদন্তি—রাঙ্গানা হেরাথের ৪৩৩ উইকেট। চাইলে সেটিও ছুঁতে পারেন স্টার্ক।
তবে রেকর্ডের গল্প যত বড়ই হোক, স্টার্কের চোখে এখনও একটাই মানদণ্ড—ওয়াসিম আকরাম। ইতিহাসে নিজের নাম তুলে ধরেও যেভাবে তিনি সেই কিংবদন্তিকে শ্রদ্ধার শীর্ষে রাখলেন, সেটাই হয়তো এই রেকর্ডের সবচেয়ে বড় সৌন্দর্য।