শেখ হাসিনার পক্ষে নিয়োগ পাওয়া আইনজীবী কোন আদালতে প্র্যাকটিস করেন
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন আদালত। আলোচিত এ মামলাটি ছিল ‘চিফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনা ও অন্যান্য’। এ মামলায় আইনের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা পলাতক আসামি। তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) ছিলেন নিম্ন আদালতের আইনজীবী মো. আমির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী। তিনি সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন দুই দশক আগে ২০০৫ সালে। প্রসিকিউশন থেকে আদালতে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনিও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী। আরও পড়ুনশেখ হাসিনার রায়ে ‘ক্ষুব্ধ’ তার আইনজীবী আপিলে যাওয়ার সুযোগ নেই: শেখ হাসিনার আইনজীবী রাষ্ট্রপ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে করা মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। গতকাল সোমবার (১৭ নভেম্বর) এই রায় ঘোষণা করেন আদালত।
আলোচিত এ মামলাটি ছিল ‘চিফ প্রসিকিউটর বনাম শেখ হাসিনা ও অন্যান্য’। এ মামলায় আইনের দৃষ্টিতে শেখ হাসিনা পলাতক আসামি। তার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স) ছিলেন নিম্ন আদালতের আইনজীবী মো. আমির হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান। ১৯৯৬ সাল থেকে তিনি সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী। তিনি সর্বোচ্চ আদালত আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন দুই দশক আগে ২০০৫ সালে।
প্রসিকিউশন থেকে আদালতে বক্তব্য রাখেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনি অ্যাটর্নি জেনারেলের পদমর্যাদায় চিফ প্রসিকিউটর হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন। দুই যুগেরও বেশি সময় ধরে তিনিও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী।
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনার রায়ে ‘ক্ষুব্ধ’ তার আইনজীবী
আপিলে যাওয়ার সুযোগ নেই: শেখ হাসিনার আইনজীবী
রাষ্ট্রপক্ষে বা প্রসিকিউশনের পক্ষে এমন বাঘা বাঘা আইনজীবী বক্তব্য রাখলেও শেখ হাসিনার পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে যিনি নিয়োগ পান তিনি উচ্চ আদালতে প্র্যাকটিস করেন না। তিনি শুধুমাত্র বিচারিক আদালতে প্র্যাকটিস করেন।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী মো. আমির হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ‘আমি সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে প্র্যাকটিস করি না। শুধু জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করি। ট্রাইব্যুনাল আমাকে আরও কয়েকজন পলাতক আসামির পক্ষে স্টেট ডিফেন্স হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। জজ কোর্টের আইনজীবী হয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মামলা পরিচালনা করতে কোনো আইনগত বাধা নেই।’
শেখ হাসিনার পক্ষে প্রথমে স্টেট ডিফেন্স নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল আমিনুল গনি টিটুকে। তবে ওই নিয়োগের আগে শেখ হাসিনার ফাঁসি চেয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন আমিনুল গনি টিটু। তাকে স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল নিয়োগ দেওয়ার পর দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এরপর শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জান খান কামালের পক্ষে মো. আমির হোসেনকে আইনজীবী নিয়োগ করে রাষ্ট্র।
এফএইচ/কেএসআর
What's Your Reaction?