শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর নোয়াখালী জেলায় ছাত্রজনতা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে। সোমবার রাত ৮ টায় জেলা জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ গিয়ে শেষ হয়।পরে সাধারণ মানুষদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার যুগ্ন আহবায়ক মামুনুর রশিদ তুষার,জাস্টিস ফর জুলাইয়ে সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সীমান্ত, যুব অধিকার পরিষদের নোয়াখালী জেলার সভাপতি মোহাম্মদ রুবেলসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় বক্তারা বলেন,ফ্যাসিবাদী শাসকবর্গ আজ ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হয়েছে।ছাত্র-জনতা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ইতিহাসে নিজের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামীলীগের বহু বছরের দমনপীড়ন, স্বৈরশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিপীড়িত মানুষের আর্তচিৎকার সব কিছুর জবাব আজ জনগণের আদালত দিয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায় শুধু একটি ব্যক্তির বিচার নয়।এটি দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়।আজকের রায় আমাদের সামনে একটি

শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ে নোয়াখালীতে আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ

ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পর নোয়াখালী জেলায় ছাত্রজনতা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে।

সোমবার রাত ৮ টায় জেলা জামে মসজিদ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ গিয়ে শেষ হয়।পরে সাধারণ মানুষদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ করে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নোয়াখালী জেলার যুগ্ন আহবায়ক মামুনুর রশিদ তুষার,জাস্টিস ফর জুলাইয়ে সদস্য সচিব ইয়াসিন আরাফাত,বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মেহেদী হাসান সীমান্ত, যুব অধিকার পরিষদের নোয়াখালী জেলার সভাপতি মোহাম্মদ রুবেলসহ সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় বক্তারা বলেন,ফ্যাসিবাদী শাসকবর্গ আজ ন্যায়বিচারের মুখোমুখি হয়েছে।ছাত্র-জনতা দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে ইতিহাসে নিজের অবস্থান তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। আওয়ামীলীগের বহু বছরের দমনপীড়ন, স্বৈরশাসন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, নিপীড়িত মানুষের আর্তচিৎকার সব কিছুর জবাব আজ জনগণের আদালত দিয়েছে। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত ফাঁসির রায় শুধু একটি ব্যক্তির বিচার নয়।এটি দেশের মানুষের দীর্ঘদিনের অন্যায়ের বিরুদ্ধে জনগণের বিজয়।আজকের রায় আমাদের সামনে একটি সত্য স্পষ্ট করে দিয়েছে অত্যাচারীর শেষ আছে, কিন্তু জনগণের শক্তির শেষ নেই।গণতন্ত্রকে বন্দি করে যে ক্ষমতার মসনদ রক্ত দিয়ে সাজানো হয়েছিল, আজ তার পতন নিশ্চিত হয়েছে আইন, ন্যায় ও জনগণের সম্মিলিত শক্তির কাছে।এ রায় এসেছে হাজার হাজার শহীদের রক্ত, নির্যাতিত ছাত্রদের কান্না,নিখোঁজ পরিবারগুলোর আহাজারি, মায়ের বুকফাটা দীর্ঘশ্বাসের ওপর দাঁড়িয়ে।

বক্তারা আরোও বলেন,এ বাংলার মাটিতে কেউ আর ক্ষমতার দম্ভে জনগণের কণ্ঠ চেপে ধরতে পারবে না।কেউ রাতের আঁধারে মানুষ গুম করে অবাধে শাসন করে যাবে এ যুগ শেষ।কেউ রাষ্ট্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করে নিরীহ মানুষ হত্যা করবে সেই সাহস আর কোনো স্বৈরশাসকের থাকবে না।আজকের এই রায় প্রমাণ করেছে।বাংলাদেশ কারো বংশগত সম্পত্তি নয়।এই দেশ ১৮ কোটি মানুষের।জনগণের শক্তি যখন জাগে, তখন সবচেয়ে শক্তিশালী শাসকরাও কাগজের মতো ভেসে যায়।আজকের রায় কেবল অতীতের বিচার নয় এটি ভবিষ্যতের জন্য সতর্কবার্তা যে কেউ জনগণের বিরুদ্ধে যাবে।যে কেউ দমানোর রাজনীতি করবে।যে কেউ গণতন্ত্র হত্যা করবে, জনগণ তাকে ছাড়বে না।

বক্তারা অঙ্গীকার করে বলেন, বাংলাদেশে আর কখনও স্বৈরশাসনের জন্ম হতে দেব না।ক্ষমতায় গিয়ে যারা স্বৈরাচারের মত আচরণ করবে তারা শেখ হাসিনার মতই পরিণতি হবে। শেখ হাসিনার অন্যায়ের বিচারের রায় হয়েছে, বিচার হয়েছে।এবার আমাদের দায়িত্ব গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিকভাবে শক্তিশালী করা।দেশকে গড়ে তোলা, দুর্নীতি নির্মূল করা, মানবাধিকারকে সম্মান করা, বিচারব্যবস্থাকে স্বাধীন রাখা।বাংলার মানুষ আজ প্রমাণ করেছে ন্যায়ের পথ কখনও থামে না।ন্যায়ের শিকড় গভীর।অবশেষে ন্যায়ই জয়ী হয়।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow