ধর্মেন্দ্রর নায়িকারা

মীনা কুমারী, জয়া ভাদুড়ি (বচ্চন), ওয়াহিদা রহমান, সায়রা বানুসহ বহু খ্যাতিমান অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন বলিউডের সুদর্শন হিরো ধর্মেন্দ্র দেওল। প্রায় সত্তরের বেশি নায়িকার নায়ক ছিলেন তিনি। তাদের অনেকে আজ প্রয়াত। কেউ কেউ আজও বেঁচে আছেন। তবে সফল ও জনপ্রিয় জুটি গড়েছিলেন হেমা মালিনীর সঙ্গে। পরে ১৯৮০ সালে তাকে বিয়েই করে ফেলেন ধর্মেন্দ্র কেওয়াল কৃষণ দেওল। হেমা মালিনীর সঙ্গে ৪০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। সেগুলোর ৩১টিতে তারা রোমান্টিক জুটি ছিলেন। ‘শোলে’, ‘সীতা অউর গীতা’ তাদের উল্লেখযোগ্য সিনেমা। এ ছাড়া মীনা কুমারীর সঙ্গে ‘কাজল’, ‘ফুল অউর পাথর’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন ধর্মেন্দ্র। বাঙালি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের সঙ্গে করেছেন ‘মমতা’ ছবিটি, শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে করেছেন ‘অনুপমা’, ‘মেরে হামদাম মেরে দোস্ত’-এর মতো প্রশংসিত সিনেমায়। ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে তাকে দেখা গেছে ‘খামোশি’ ছবিতে। অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া ভাদুড়ির সঙ্গে ‘গুড্ডি’ ছবিতে কাজ করেছেন ধর্মেন্দ্র। ধর্মেন্দ্রর নায়িকাদের মধ্যে আরও আছেন আশা পারেখ, নূতন, সায়রা বানু, রাখী, রেখা, জিনাত আমান, জয়াপ্রদা, পুনম ধিলোঁ, ডিম্পল কাপ

ধর্মেন্দ্রর নায়িকারা

মীনা কুমারী, জয়া ভাদুড়ি (বচ্চন), ওয়াহিদা রহমান, সায়রা বানুসহ বহু খ্যাতিমান অভিনেত্রীর সঙ্গে কাজ করেছেন বলিউডের সুদর্শন হিরো ধর্মেন্দ্র দেওল। প্রায় সত্তরের বেশি নায়িকার নায়ক ছিলেন তিনি। তাদের অনেকে আজ প্রয়াত। কেউ কেউ আজও বেঁচে আছেন। তবে সফল ও জনপ্রিয় জুটি গড়েছিলেন হেমা মালিনীর সঙ্গে। পরে ১৯৮০ সালে তাকে বিয়েই করে ফেলেন ধর্মেন্দ্র কেওয়াল কৃষণ দেওল।

হেমা মালিনীর সঙ্গে ৪০টির বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন ধর্মেন্দ্র। সেগুলোর ৩১টিতে তারা রোমান্টিক জুটি ছিলেন। ‘শোলে’, ‘সীতা অউর গীতা’ তাদের উল্লেখযোগ্য সিনেমা। এ ছাড়া মীনা কুমারীর সঙ্গে ‘কাজল’, ‘ফুল অউর পাথর’-এর মতো ছবিতে কাজ করেছেন ধর্মেন্দ্র। বাঙালি অভিনেত্রী সুচিত্রা সেনের সঙ্গে করেছেন ‘মমতা’ ছবিটি, শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে করেছেন ‘অনুপমা’, ‘মেরে হামদাম মেরে দোস্ত’-এর মতো প্রশংসিত সিনেমায়। ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে তাকে দেখা গেছে ‘খামোশি’ ছবিতে। অমিতাভ বচ্চনের স্ত্রী জয়া ভাদুড়ির সঙ্গে ‘গুড্ডি’ ছবিতে কাজ করেছেন ধর্মেন্দ্র।

ধর্মেন্দ্রর নায়িকাদের মধ্যে আরও আছেন আশা পারেখ, নূতন, সায়রা বানু, রাখী, রেখা, জিনাত আমান, জয়াপ্রদা, পুনম ধিলোঁ, ডিম্পল কাপাডিয়া প্রমুখ। বৃদ্ধ বয়সেও এখনকার অনেক তরুণী এই অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। মূলত বিভিন্ন প্রজন্মের নায়িকার সঙ্গে কাজ করার কারণে বলিউডের অন্যতম বহুমুখী এবং চিরসবুজ অভিনেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন ধর্মেন্দ্র দেওল।

গত ৩১ অক্টোবর প্রথম রুটিন চেকআপের জন্য ভারতের মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল ধর্মেন্দ্র দেওলকে। সেসময় শ্বাসকষ্ট ছিল অভিনেতার। পরে ১০ নভেম্বর তার অবস্থার অবনতি হলে ছড়িয়ে পড়ে মৃত্যুর ভুয়া খবর। এর দুদিন পর অভিনেতাকে বাড়িতে নেওয়া হয়। সেখানেই চলছিল তার চিকিৎসা। আজ সোমবার সকালে ধর্মেন্দ্র অবস্থার অবনতি হয় বলে ধারণা করছে ভারতীয় গণমাধ্যম। সকালেই তার বাড়ির সামনে অ্যাম্বুলেন্স দেখা যায়।

ধর্মেন্দ্রর বাড়িতে অ্যাম্বুলেন্স পৌঁছানোর পর পরই বাড়িটির ৫০ মিটারের মধ্যে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। দেশটির সংবাদ সংস্থা এএনআই এইকটি ভিডিও পোস্ট করে জানিয়েছে, মুম্বাইয়ের শ্মশানে নেওয়া হয়েছে অভিনেতার মরদেহ। সেখানে দেখা গেছে বলিউডের অনেক তারকাকে।

ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে আমি অত্যন্ত মর্মাহত। তিনি কেবল একজন অভিনেতা ছিলেন না, তিনি ছিলেন ভারতীয় সংস্কৃতির এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। তার অভিনয় অংসখ্য মানুষকে আনন্দ দিয়েছে। ধর্মেন্দ্রজি তার সরলতা, নম্রতা এবং উষ্ণতার জন্য সমানভাবে প্রশংসিত ছিলেন। এই দুঃখের সময়ে আমি তার পরিবার ও অনুরাগীদের পাশে আছি।’

১৯৩৫ সালে ব্রিটিশ ইন্ডিয়ার লুধিয়ানার (বর্তমান পাঞ্জাব) এক জাঠ পরিবারে জন্ম ধর্মেন্দ্রর। বাবা ছিলেন স্কুলের হেডমাস্টার। পড়াশোনায় তেমন আগ্রহ ছিল না তার। দিলীপ কুমার ও মতিলালের অভিনয় দেখে স্বপ্ন দেখতেন, একদিন তিনিও হবেন রুপালি পর্দার নায়ক! মাত্র ১৯ বছর বয়সে বাবা তাকে বিয়ে করিয়ে দেন প্রকাশ কৌরের সঙ্গে।

১৯৫৮ সালে ফিল্মফেয়ারের ট্যালেন্ট হান্ট কম্পিটিশনে অংশ নিতে চিঠি পাঠান ধর্মেন্দ্র। জয়ীও হন তিনি। সেই দিনের কথা স্মরণ করে একবার বলেছিলেন, ‘মেহবুব স্টুডিওতে প্রতিযোগিতার ফল প্রকাশের দিন চিন্তায় আমার গলা থেকে জল নামছিল না। আমার সঙ্গে আরও অনেক প্রতিভাবান অভিনেতা অংশ নিয়েছিলেন, তারাও নিজের সেরাটা উজাড় করে দিয়েছিলেন। কে জিতবে কেউ জানতো না।’

‘বন্দিনী’ সিনেমার জন্য নির্বাচিত হন ধর্মেন্দ্র। যদিও মুক্তির দিক থেকে তার প্রথম সিনেমা ১৯৬০ সালের ‘দিল ভি তেরা হাম ভি তেরে’। ছবিটি ফ্লপ করে। পরে ১৯৬১ সালে তার ‘শোলা অউর শবনম’ ছবিটি হিট হয়। এপর ১৯৬৬ সালে ‘ফুল ও পাথ্থর’ ছবির মাধ্যমে বলিউডের এক নম্বর অ্যাকশন হিরো হয়ে ওঠেন ধর্মেন্দ্র। এরপর একে একে কাজ করেন ‘জীবন মৃত্যু’, ‘ইয়াদো কি বারাত’, ‘চারাস’, ‘চুপকে চুপকে’, ‘সীতা অউর গীতা’, ‘শোলে’, ‘দোস্ত’, ‘আজাদ’, ‘ডি বার্নিং ট্রেন’সহ বহু ছবিতে।

আরএমডি

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow