শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার অনুরোধ, হতে পারে শাস্তি

‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দন্ডিত ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। সোমবার সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে—যা এনসিএসএ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। এসব প্রচারিত বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের সরাসরি আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। এনসিএসএ জানায়, দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর নীতির পরিপন্থী। বিশেষ করে অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, কোনো তথ্য দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করলে কিংবা জাতিগত বা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা অপসারণ বা ব্লক করার ক্ষমতা রাখে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও

শেখ হাসিনার বক্তব্য গণমাধ্যমে প্রচার না করার অনুরোধ, হতে পারে শাস্তি

‘জাতীয় নিরাপত্তা’ ও জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে মানবতাবিরোধী অপরাধে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ দন্ডিত ব্যক্তিদের বক্তব্য প্রচার না করার অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় সাইবার সুরক্ষা এজেন্সি (এনসিএসএ)। সোমবার সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশে বিভিন্ন প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন সংবাদমাধ্যম দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামি শেখ হাসিনার বক্তব্য ও বিবৃতি প্রচার করছে—যা এনসিএসএ উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে। এসব প্রচারিত বক্তব্যে সামাজিক স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা ও অপরাধমূলক কার্যকলাপের সরাসরি আহ্বান বা নির্দেশনা রয়েছে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি।

এনসিএসএ জানায়, দণ্ডপ্রাপ্ত ও পলাতক আসামিদের বক্তব্য প্রচার ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৫’-এর নীতির পরিপন্থী। বিশেষ করে অধ্যাদেশের ধারা ৮(২) অনুযায়ী, কোনো তথ্য দেশের অখণ্ডতা, নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করলে কিংবা জাতিগত বা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়ালে আইন–শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা অপসারণ বা ব্লক করার ক্ষমতা রাখে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, অধ্যাদেশের ধারা ২৬(১) অনুযায়ী ছদ্ম পরিচয় বা অবৈধ প্রবেশের মাধ্যমে ঘৃণা, জাতিগত বিদ্বেষ বা সহিংসতা প্ররোচনামূলক বক্তব্য প্রচার অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে। ধারা ২৬(২) অনুযায়ী, এ ধরনের অপরাধে সর্বোচ্চ দুই বছর কারাদণ্ড অথবা সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড কিংবা উভয় দণ্ডের বিধান রয়েছে।

গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানিয়ে এনসিএসএ বলেছে, তারা সাংবাদিকতার স্বাধীনতাকে সম্মান করে; তবে সহিংসতা, বিশৃঙ্খলা বা উসকানিমূলক যেকোনো বক্তব্য প্রচার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং আইনি দায়বদ্ধতার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow