শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ঢাবিতে ডাকসুর আনন্দ মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এ সময় ‘জুলাই যোদ্ধারা’ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেন। সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় হলো’, ‘খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ভোটচোরের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়। এর আগে টিএসসির পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ডাকসুর নেতারা। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, ‘যেদিন হাসিনাকে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হবে, সেদিনই আমরা চূড়ান্ত খুশি হবো।’ ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ সতেরো বছর ধরে গুম, খুন, হত

শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়ে ঢাবিতে ডাকসুর আনন্দ মিছিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত মৃত্যুদণ্ডের রায়কে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ মিছিল করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু)। এ সময় ‘জুলাই যোদ্ধারা’ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে মিষ্টি বিতরণ করেন।

সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি চত্বর থেকে আনন্দ মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

এ সময় মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ‘এই মুহূর্তে খবর এলো, খুনি হাসিনার ফাঁসির রায় হলো’, ‘খুনি হাসিনার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন, ভোটচোরের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘লড়াই লড়াই লড়াই চাই, লড়াই করে বাঁচতে চাই’, ‘গোলামী না আজাদি, আজাদি আজাদি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এর আগে টিএসসির পায়রা চত্বরে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে ডাকসুর নেতারা। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এবি জুবায়ের বলেন, ‘যেদিন হাসিনাকে দিল্লি থেকে বাংলাদেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হবে, সেদিনই আমরা চূড়ান্ত খুশি হবো।’

ডাকসুর পরিবহন সম্পাদক আসিফ আবদুল্লাহ বলেন, ‘দীর্ঘ সতেরো বছর ধরে গুম, খুন, হত্যা, নির্যাতনের মাধ্যমে বাংলাদেশকে ভারতের একটি রাজ্যে পরিণত করা হয়েছিল। এই রায়ের মধ্য দিয়ে সেসবের ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়েছে। অনতিবিলম্বে হাসিনা ও তার দোসরদের ভরত থেকে নিয়ে বিচার করতে হবে।’ 

ডাকসুর সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মুসাদ্দিক আলী বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচারের প্রতিফলন হয়েছে। ধন্যবাদ জানাই এই ট্রাইব্যুনালকে। হাসিনাকে ভারত থেকে এনে ফাঁসি কার্যকর করতে হবে। কালবিলম্ব না করে পররাষ্ট্র দপ্তরের মাধ্যমে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনুন।’ 

এ ছাড়াও সমাবেশে বিভিন্ন হল সংসদের ভিপি-জিএসরা বক্তব্য দেন।

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow