শেবাচিম হাসপাতালে মৃগী রোগীদের ইইজি পরীক্ষা চালু
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) প্রথমবারের মতো চালু হলো ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) পরীক্ষা। এর ফলে মৃগী, মস্তিষ্কের টিউমার, মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীরা গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা স্বল্প খরচে শেবাচিম হাসপাতালেই করতে পারবেন। সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) পরীক্ষা-নিরীক্ষার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) মেশিন সরবরাহ করা হয়। মেশিনটি চালু ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর সিলেট জিএম ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওই প্রশিক্ষণে অংশ নেন শেবাচিম হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ ২ জন মেডিকেল টেকনিশিয়ান। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিউরোমেডিসিন ও স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী এম. মনিরুল ই
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম) প্রথমবারের মতো চালু হলো ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) পরীক্ষা। এর ফলে মৃগী, মস্তিষ্কের টিউমার, মেনিনজাইটিস, এনসেফালাইটিস, স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যায় ভুগছেন এমন রোগীরা গুরুত্বপূর্ণ এই পরীক্ষা স্বল্প খরচে শেবাচিম হাসপাতালেই করতে পারবেন।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) পরীক্ষা-নিরীক্ষার কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যভিত্তিক তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিনামূল্যে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একটি ইলেক্ট্রোএনসেফালোগ্রাফি (ইইজি) মেশিন সরবরাহ করা হয়। মেশিনটি চালু ও রক্ষণাবেক্ষণের বিষয়ে গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৪ অক্টোবর সিলেট জিএম ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ওই প্রশিক্ষণে অংশ নেন শেবাচিম হাসপাতালের নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞসহ ২ জন মেডিকেল টেকনিশিয়ান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নিউরোমেডিসিন ও স্নায়ু রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী এম. মনিরুল ইসলাম বলেন, ইইজি পরীক্ষাটি হলো হয় মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ পর্যবেক্ষণ ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে বিভিন্ন স্নায়বিক রোগ নির্ণয় করা হয়। বিশেষ করে মৃগী, ঘুমের ব্যাধি ও মস্তিষ্কের টিউমার, মস্তিষ্কের আঘাত, স্ট্রোক বা মস্তিষ্কের কার্যকারিতার পরিবর্তন শনাক্ত করতেও সাহায্য করে।
তিনি বলেন, মেশিনটি গরিব রোগীদের জন্য অনেকাংশে উপকার হবে। কারণ এই পরীক্ষা বেসরকারিভাবে করতে ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা কিংবা এর আরও বেশি টাকা খরচ হতো। কিন্তু সরকারি হাসপাতালে খরচ হবে মাত্র ৬শ’ টাকা।
হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. একেএম মশিউল মুনীর বলেন, এই মেশিনটি রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। এটি আমাদের হাসপাতালে আগে ছিল না। আমরা মেশিনটি ক্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করি, কিন্তু এরই মাঝে বিনামূল্যে যুক্তরাজ্যভিত্তিক তাফিদা রাকিব ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে একটি করে মেশিন বরিশাল, সিলেট ও ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সরবরাহ করা হয়।
ইইজি মেশিন উদ্বোধনীকালে আরও উপস্থিত ছিলেন, হাসপাতালের সহকারি পরিচালক (প্রশাসন) ডা. মো. মাহমুদ হাসান, সিনিয়র ক্লিনিক্যাল প্যাথোলজিস্ট ডা. আশিক দত্ত প্রমুখ।
শাওন খান/এনএইচআর/এমএস
What's Your Reaction?