সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাব্বানীর এমফিলের ছাত্রত্ব ও ডাকসুর পদ বাতিল

নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর এমফিল প্রোগ্রামের ছাত্রত্ব বাতিল ও ডাকসুর জিএস পদ অবৈধ ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল। বুধবার (২৬ নভেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ। অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, রাব্বানীর বিরুদ্ধে আগেই উত্থাপিত কয়েকটি অভিযোগ সিন্ডিকেটে পর্যালোচনার পর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের সুপারিশ অনুযায়ী তার ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল। চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে এমফিলে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য মনে হওয়ায় রাব্বানীর ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে সিন্ডিকেট এবং বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপনের নির্দেশ দেয়। একই অভিযোগে গত ৯ এপ্রিলও তার এমফিল ভর্তি সাময়িক বাতিল করা হয়, যা পরে একাডেমিক কাউন্সিলে তোলা হয়। গত ২৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে হামলার ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ভুক্তভোগী জিএস প্

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাব্বানীর এমফিলের ছাত্রত্ব ও ডাকসুর পদ বাতিল

নিষিদ্ধঘোষিত বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর এমফিল প্রোগ্রামের ছাত্রত্ব বাতিল ও ডাকসুর জিএস পদ অবৈধ ঘোষণা করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) একাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ।

অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ জাগো নিউজকে বলেন, রাব্বানীর বিরুদ্ধে আগেই উত্থাপিত কয়েকটি অভিযোগ সিন্ডিকেটে পর্যালোচনার পর তদন্ত কমিটির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়। ওই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সিন্ডিকেটের সুপারিশ অনুযায়ী তার ছাত্রত্ব বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় একাডেমিক কাউন্সিল।

চলতি বছরের ৪ সেপ্টেম্বর জালিয়াতির মাধ্যমে এমফিলে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে সত্য মনে হওয়ায় রাব্বানীর ভর্তি সাময়িকভাবে স্থগিত করে সিন্ডিকেট এবং বিষয়টি একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপনের নির্দেশ দেয়। একই অভিযোগে গত ৯ এপ্রিলও তার এমফিল ভর্তি সাময়িক বাতিল করা হয়, যা পরে একাডেমিক কাউন্সিলে তোলা হয়।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারির সিন্ডিকেট সভায় ২০১৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ডাকসু ভবনে হামলার ঘটনার তদন্তে একটি কমিটি গঠন করা হয়। ভুক্তভোগী জিএস প্রার্থী মো. রাশেদ খান ও ছাত্র অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক মো. সানাউল্লাহ হকের আবেদনের ভিত্তিতে গঠিত এ কমিটির প্রধান ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।

তদন্ত প্রতিবেদনে ২০১৯ সালের ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ যাচাই, সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা, অবৈধভাবে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টদের সদস্যপদ বাতিল এবং ভুক্তভোগী প্রার্থীদের যথাযথ মূল্যায়নের সুপারিশ করা হয়।

তদন্ত পরিবেদনে বলা হয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০১৯ অনুষ্ঠানের বিষয়ে কিছু প্রার্থী/প্যানেলের পক্ষ হতে ভোটদান, অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের ভোট কেন্দ্রে ঢুকতে না দেওয়া, ভোট কারচুপি করা, ভোট দানের জন্য কৃত্রিম লাইন সৃষ্টি করা, ভোট কেন্দ্র দখল করা, ব্যালট পেপারে অবৈধভাবে সিল মারা, ভোট দানে ভয়ভীতি প্রদর্শন করা, অবৈধ উপায়ে ভর্তি হয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা, ব্যালট বাক্সসহ নানা কারচুপি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য অধিকতর তদন্তের প্রয়োজন।

প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণাদি ও সংশ্লিষ্ট পক্ষসমূহের সাক্ষাৎকার হতে প্রাপ্ত তথ্যসমূহ পর্যালোচনা করে কমিটির কাছে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে যে, ক্রিমিনোলজি বিভাগের (১) জনাব গোলাম রাব্বানী (২) মেহজাবিন হক ও (৩) ফাহমিদা তাসনিম অনি-এর এম.ফিল প্রোগ্রামে ভর্তি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে সম্পূর্ণ অবৈধভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে সম্পন্ন হয়েছে। অতএব উক্ত ভর্তি আইনের দৃষ্টিতে সম্পূর্ণ বাতিল বলে গণ্য হবে। এমতাবস্থায় বৈধ ছাত্রত্ব না থাকার কারণে গত ২০১৯ সালের ১১ মার্চে অনুষ্ঠিত ডাকসু নির্বাচনে জনাব গোলাম রাব্বানীর প্রার্থীতা বৈধ ছিল না। সুতরাং, এই কমিটি জনাব গোলাম রাব্বানীর জিএস নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টিকে অবৈধ ঘোষণার জোর সুপারিশ করে।

এফএআর/এমএএইচ/এমএস

What's Your Reaction?

like

dislike

love

funny

angry

sad

wow